মাইলস্টোনের দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৯-এ কমিয়ে আনল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর (বিএএফ) যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত নিহতদের হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করে সংস্থাটি।
তালিকায় রয়েছেন যুদ্ধবিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম, মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষিকা মেহরিন চৌধুরী ও মাসুকা বেগম এবং অভিভাবক রজনী ইসলাম।
তবে নিহতদের মধ্যে এখনো ছয়জনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি বলে তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকাটি স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান।
তালিকায় উল্লেখ কড়া হয়, ২৯টি মরদেহের মধ্যে ২১টি ইতোমধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, আর সাতটি রাখা হয়েছে মর্গে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে, ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টার ও গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে একজন করে মারা গেছেন।

এর আগে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন ১৬৫ জন।
তবে গতকাল দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ওই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে, আর আহতের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে।
তবে আজ ভোররাত ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন এক শিশু মারা যায়। এর ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়।