ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রায় হামলায় ৭ পুলিশ আহত, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ

ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যাওয়ার পথে পুলিশের ওপর হামলা করলে সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) পুলিশ সদর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'নারী বিক্ষোভকারীদের নখের আঁচড়ে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। পরে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে এবং লাঠি ও ইট-পাটকেল দিয়ে হামলা চালায়।'
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, সংঘর্ষে সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের বিবৃতি অনুযায়ী, সংঘর্ষের সময় রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন গুরুতর আহত হন। এছাড়া রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম, দুই নারী পুলিশ কর্মকর্তা এবং তিনজন পুরুষ কনস্টেবলও আহত হন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'পুলিশ সংযম ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে।'
পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।
বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-কে জানান, বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার দিকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, পুলিশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে তাদের থামালে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘ মল্লার বসু দাবি করেছেন, সংঘর্ষের সময় পুলিশ ১০-১২ জন বিক্ষোভকারীকে আহত করেছে। তিনি টিবিএস-কে বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণভাবে স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে।'
এর আগে এদিন কয়েক ডজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী শাহবাগে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
তারা সাম্প্রতিক সময়ে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, ধর্ষণ ও নির্যাতন বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন।