Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Monday
May 19, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
MONDAY, MAY 19, 2025
ক্রায়োনিক্স: ২ লাখ ডলারে মৃত্যুকে পরাজিত করার টিকিট? জমিয়ে রাখা শরীর আবার প্রাণ পাবে!

আন্তর্জাতিক

শার্লট লুইটন, বিবিসি
18 January, 2025, 04:05 pm
Last modified: 18 January, 2025, 04:47 pm

Related News

  • ট্রাম্পের ‘হুমকি’ খারিজ করে ইরানের প্রেসিডেন্ট জানালেন; পরমাণু আলোচনা চলবে
  • যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এফটিএ আলোচনা শুরু, পোশাক রপ্তানিতে খুলতে পারে বড় সম্ভাবনার দ্বার
  • ট্রাম্প একইসঙ্গে যুদ্ধ ও শান্তির কথা বলছেন, কোনটা বিশ্বাস করব: ইরানের প্রেসিডেন্ট
  • যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কযুদ্ধকে সুযোগ হিসেবে দেখতে হবে, ভয়ের কিছু নেই: দেবপ্রিয়
  • ‘১৮০ সন্তানের বাবা’ দাবি করা শুক্রাণু দাতার পিতৃত্বের অধিকার খারিজ

ক্রায়োনিক্স: ২ লাখ ডলারে মৃত্যুকে পরাজিত করার টিকিট? জমিয়ে রাখা শরীর আবার প্রাণ পাবে!

প্রায় অর্ধ শতাব্দী আগে মিশিগানে বিশ্বের প্রথম ক্রায়োনিক্স ল্যাবের যাত্রা শুরু হয়, যা শুরু থেকেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছে—কেউ এটিকে মানবজাতির ভবিষ্যৎ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ একে পুরোপুরি অসম্ভব বলে উড়িয়ে দেন।
শার্লট লুইটন, বিবিসি
18 January, 2025, 04:05 pm
Last modified: 18 January, 2025, 04:47 pm
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

সেন্ট্রাল বার্লিনের পার্কের সবুজ চত্বরের পাশে দাঁড়ানো একটি ছোট্ট অ্যাম্বুলেন্স। দেখতে অনেকটেই খেলনার মতো। গায়ে কমলা রঙের মোটা একটি দাগ। আর ছাদ থেকে ঝুলছে তারের জটলা। তবে দেখতে যেমনই হোক, এটি আসলে এক যুগান্তকারী প্রকল্পের অংশ—টুমোরো ডট বায়ো নামের ইউরোপের প্রথম ক্রায়োনিক্স (শরীর হিমায়িত করে সংরক্ষণ) ল্যাবের তিনটি বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্সের একটি। 

টুমোরো ডট বায়োর লক্ষ্য? মৃত্যু পরবর্তী সময়ে রোগীদের বরফে জমাটবদ্ধ করা, আর একদিন তাদের জীবিত করে তোলা—মূল্য মাত্র দুই লাখ মার্কিন ডলার। 

টুমোরো ডট বায়োর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা একসময়ের ক্যানসার গবেষক এমিল কেন্ডজিওরা। কিন্তু ক্যানসারের চিকিৎসায় অগ্রগতি না দেখে হতাশ হয়ে তিনি ক্রায়োনিক্স নিয়ে কাজ শুরু করেন। 

প্রায় অর্ধ শতাব্দী আগে মিশিগানে বিশ্বের প্রথম ক্রায়োনিক্স ল্যাব খোলা হয়, যা তখন থেকেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে—একদল এটিকে মানবজাতির ভবিষ্যৎ মনে করেন, আরেকদল এটিকে পুরোপুরি অসম্ভব বলে উড়িয়ে দেন। কিন্তু কেন্ডজিওরা বলছেন, মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।

এ পর্যন্ত তারা তিন বা চারজন মানুষের দেহ এবং পাঁচটি পোষা প্রাণী ক্রায়োপ্রিজার্ভ (হিমায়িত সংরক্ষণ) করেছেন। ভবিষ্যতে এভাবে বেঁচে ফেরার জন্য এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০ মানুষ নিবন্ধন করেছেন। 

২০২৫ সালে তারা তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারিত করে পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চালু করতে যাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত কেউই সফলভাবে ক্রায়োপ্রিজারভেশন থেকে ফিরে আসেনি। এমনকি যদি কেউ ফিরে আসেও, তাহলে মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। 

কিংস কলেজ লন্ডনের স্নায়ুবিজ্ঞান অধ্যাপক ক্লাইভ কোয়েন এই ধারণাকে সরাসরি 'হাস্যকর' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, ন্যানোটেকনোলজি (যেখানে অণু-পরমাণুর স্তরে চিকিৎসা করা হয়) বা কানেক্টোমিক্স (যেখানে মস্তিষ্কের নিউরনের সম্পূর্ণ মানচিত্র তৈরি করা হয়)—এসব কৌশল দিয়ে তাত্ত্বিক বিজ্ঞানের সঙ্গে বাস্তবতার ফারাক ঘোচানো সম্ভব হবে, এমন দাবি আসলে অতিরঞ্জন মাত্র।

তবে সমালোচনার তোয়াক্কা করছে না প্রতিষ্ঠানটি। কেউ যদি তাদের সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং চিকিৎসক নিশ্চিত করেন যে তিনি জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছেছেন, তখনই তারা রোগীর কাছে অ্যাম্বুলেন্স পাঠায়। 

যখন আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে মৃত ঘোষণা করা হয়, তখনই তাদের বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয় এবং ক্রায়োনিক্স প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাদের অন্যতম অনুপ্রেরণা হলো এমন রোগীরা, যাদের হৃদস্পন্দন প্রচণ্ড ঠান্ডায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু পরে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হয়েছিল। 

যেমন- ১৯৯৯ সালে নরওয়েতে স্কি করতে গিয়ে আনা ব্যাগেনহোম নামে এক নারী দুই ঘণ্টার জন্য ক্লিনিক্যালি মৃত ছিলেন, কিন্তু পরে তাকে বাঁচিয়ে তোলা হয়।

এই প্রক্রিয়ায় দেহকে শূন্য ডিগ্রির নিচে ঠান্ডা করা হয় এবং এতে ক্রায়োপ্রটেকটিভ ফ্লুইড (বিশেষ সংরক্ষণ তরল) প্রবাহিত করা হয়। 

কেন্ডজিওরা ব্যাখ্যা করেন, "শূন্য ডিগ্রির নিচে গেলে শরীরকে বরফে জমতে দেওয়া যাবে না, বরং ক্রায়োপ্রিজারভ করতে হবে। না হলে শরীরের ভেতরে বরফ কণার সৃষ্টি হবে, যা টিস্যুগুলো ধ্বংস করে দেবে।"

ছবি: শার্লট লুইটন

এই সমস্যার সমাধানে শরীরের সমস্ত পানি প্রতিস্থাপন করা হয় ক্রায়োপ্রটেকটিভ এজেন্ট দিয়ে, যাতে বরফ জমতে না পারে। এই বিশেষ দ্রবণের মূল উপাদান হলো ডাইমিথাইল সালফক্সাইড ও ইথিলিন গ্লাইকোল (যা সাধারণত অ্যান্টিফ্রিজে ব্যবহৃত হয়)। এরপর খুব দ্রুত এক নির্দিষ্ট শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় শরীরকে মাইনাস ১২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামিয়ে আনা হয়, তারপর ধীরগতিতে ঠান্ডা করে মাইনাস ১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামানো হয়।

শরীর যখন মাইনাস ১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়, তখন রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় সুইজারল্যান্ডের এক সংরক্ষণাগারে। কেন্ডজিওরা বলেন, এখানে এসে শুরু হয় অপেক্ষার খেলা—"আপনাকে শুধু ধৈর্য ধরে থাকতে হবে।"

তার পরিকল্পনা? তিনি বলেন, "একসময় চিকিৎসাবিজ্ঞান এতটাই উন্নত হবে যে, ক্যানসার বা যে কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়ে থাকুক না কেন, সেটির নিরাময় সম্ভব হবে। একই সঙ্গে ক্রায়োপ্রিজারভেশন প্রক্রিয়ায় মৃতকে জীবিত করা যাবে।"

কিন্তু সেটা কি ৫০ বছর, ১০০ বছর, নাকি ১,০০০ বছর পর ঘটবে—তা কেউ জানে না। তবে কেন্ডজিওরা এটাকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন না। তিনি বলেন, "যতক্ষণ পর্যন্ত তাপমাত্রা ঠিক রাখা যায়, ততক্ষণ শরীর এই অবস্থাতেই থাকবে—যতদিনই লাগুক না কেন।"

বিজ্ঞান না কল্পবিজ্ঞান?

অনেকের কাছেই এই ধারণাটি উন্মাদনা আর ডিস্টোপিয়ানের মাঝামাঝি কিছু মনে হতে পারে। কেন্ডজিওরা অবশ্য মনে করেন, তাত্ত্বিকভাবে এর পক্ষে কোনো বাধা নেই। কিন্তু বাস্তবতা? এখন পর্যন্ত কেউই ক্রায়োপ্রিজারভেশন থেকে ফিরে আসেনি।

বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত এমন কোনো প্রাণীর সন্ধান পাননি, যার জটিল মস্তিষ্ক ক্রায়োপ্রিজারভেশন থেকে ফিরে আসতে পেরেছে। কিছু গবেষণায় ইঁদুরের মস্তিষ্ক সংরক্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে, যেখানে দেহে এমবালমিং ফ্লুইড ঢুকিয়ে তা অক্ষত রাখা সম্ভব হয়েছে। তবে এটি করা হয়েছে তখন, যখন প্রাণীর হৃদস্পন্দন সচল ছিল—যার অর্থ, এই প্রক্রিয়াতেই প্রাণীটি মারা গেছে।

কেন্ডজিওরা মনে করেন, মানুষের আপত্তির প্রধান কারণ হলো মৃত্যু থেকে কাউকে ফিরিয়ে আনার ধারণাটাই আমাদের কাছে অবাস্তব লাগে। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বহু প্রযুক্তিই একসময় অসম্ভব মনে হতো, যা পরে বাস্তব হয়েছে।

"একজন মানুষের হৃদপিণ্ড নিয়ে সেটি আরেকজনের দেহে বসানো—প্রথম শুনলে ব্যাপারটা অদ্ভুত শোনায়, তাই না? কিন্তু আজ আমরা প্রতিদিন এটি করছি," যোগ করেন তিনি। তার মতে, ক্রায়োনিক্সও হয়তো একদিন এমনই সাধারণ ব্যাপার হয়ে যাবে।

প্রাণ ফিরে পাওয়া?

ক্রায়োনিক্সের পক্ষে একটি আশার আলো দেখা যায় সি ডট এলেগানস (C. elegans) নামে এক ধরনের গোলকৃমির গবেষণায়। এই ক্ষুদ্র কীটকে সম্পূর্ণ হিমায়িত করার পর আবার তার পূর্ণ কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও, ইঁদুরের অঙ্গ পুনরুজ্জীবনের কিছু সাফল্য দেখা গেছে।

২০২৩ সালে মিনেসোটা ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক ইঁদুরের কিডনি ক্রায়োজেনিকভাবে ১০০ দিন সংরক্ষণ করে পরে পুনরায় উষ্ণ করে তা ইঁদুরের দেহে প্রতিস্থাপন করেন। মাত্র ৩০ দিনের মধ্যেই কিডনির স্বাভাবিক কার্যকারিতা ফিরে আসে।

তবে পুরো বিষয়টি এখনো অনেকটাই পরীক্ষামূলক। কেন্ডজিওরা মনে করেন, অর্থায়নের সীমাবদ্ধতার কারণেই এই গবেষণা এত ধীরে এগোচ্ছে। তিনি বলেন, "যেসব জিনিস এখনো প্রমাণিত হয়নি, তার অনেক কিছু হয়তো একসময় কাজ করবে—শুধু এখনো কেউ চেষ্টা করেনি।" 

টুমোরো ডট বায়োর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এমিল কেন্ডজিওরা। ছবি: শার্লট লুইটন

তবে একইভাবে, বহু চিকিৎসাবিজ্ঞানী বলছেন, যখন এসব পদ্ধতি মানুষের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে, তখন হয়তো কিছুই সফল হবে না।

ক্রায়োনিক্স কেবল জীবিতদের সংরক্ষণই নয়, এটি আসলে 'লাইফ-এক্সটেনশন' বা মানুব আয়ু বৃদ্ধির বৈজ্ঞানিক গবেষণার একটি অংশ। বর্তমানে এই ক্ষেত্রটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যেখানে আলোচনা চলছে সুস্থ জীবন দীর্ঘ করার উপায় নিয়ে। নানা রকম সাপ্লিমেন্ট, পডকাস্ট, বই এবং টনিক এই ধারণাকে ঘিরে গড়ে উঠলেও, প্রকৃতপক্ষে এসবের অনেক কিছুই এখনো পরীক্ষাধীন।

বিজ্ঞান না বিভ্রান্তি? 

কিংস কলেজ লন্ডনের স্নায়ুবিজ্ঞানী ক্লাইভ কোয়েন ক্রায়োনিক্সকে দেখেন অত্যন্ত সন্দেহের চোখে। তার মতে, এটি আসলে অ্যান্টিফ্রিজের ওপর ভিত্তি করে এক ভুল বিশ্বাস এবং জীববিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা ও মৃত্যুর প্রকৃত প্রকৃতি সম্পর্কে ভুল ধারণা।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, হৃদপিণ্ড থেমে গেলে আমাদের কোষ দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হতে শুরু করে, যার ফলে দেহে মারাত্মক ক্ষতি হয়। যদি ক্রায়োপ্রিজারভেশন করা হয়, তারপর একসময় আবার উষ্ণ করা হয়, তাহলে মৃত্যুর পর যে পচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, সেটি পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠবে।

কোয়েন মনে করেন, এর চেয়ে ভালো গবেষণার ক্ষেত্র হলো ক্রায়োজেনিক্স—অর্থাৎ টিস্যু ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে দীর্ঘমেয়াদে হিমায়িত রাখা, যাতে সেগুলো পরে ব্যবহার করা যায়। তবে অনেকে বিশ্বাস করেন, জীবনকে দীর্ঘায়িত করার চাবিকাঠি হলো মৃত্যুকেই উল্টে দেওয়া।

২০১২ সালে নিউইয়র্কের এক হাসপাতালে, যেখানে এক চিকিৎসক 'পুনরুজ্জীবন' নিয়ে কাজ করছিলেন, সেখানে দেখা যায়, মৃত ঘোষণার পরপরই সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হলে ৩৩ শতাংশ রোগীকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল। তুলনামূলকভাবে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে এই হার ছিল প্রায় অর্ধেক।

ব্রেন-ক্রায়োনিক্স (মস্তিষ্ক হিমায়িত রাখা) এবং পুরো শরীর সংরক্ষণের মতো পদ্ধতিগুলো নিয়ে নৈতিক বিতর্ক বেশ তীব্র। টুমোরো ডট বায়ো তাদের গ্রাহকদের দেহ সংরক্ষণ করে সুইজারল্যান্ডের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের অধীনে, যা কেন্ডজিওরার মতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। 

তবে বাস্তবে শত শত বছর পর যখন কোনো বংশধর তার পূর্বপুরুষের হিমায়িত দেহের আইনি দায়িত্ব পাবে, তখন বিষয়টি কেমন হবে? কল্পনা করাই কঠিন।

যারা ক্রায়োনিক্সকে সমর্থন করেন, তারা আশা করেন যে, যে রোগে রোগী মারা গিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে তার প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যাবে এবং তাদের আবার জীবিত করা সম্ভব হবে। কিন্তু এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর যদি সেই রোগের প্রতিষেধক পাওয়া যায়ও, তাহলে অন্য কোনো কারণে দ্বিতীয়বার তার জীবন থেমে যাবে না—এমন নিশ্চয়তাই বা কোথায়? 

ক্রায়োনিক্সের আরেকটি বড় বাধা হলো এর অত্যধিক ব্যয়। অনেক পরিবারই হয়তো তাদের প্রিয়জনের মৃত্যুর পর এই অসম্ভব স্বপ্নের পেছনে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদ খরচ করাকে মেনে নেবে না।

কিন্তু কেন্ডজিওরা বলেন, নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা সব নৈতিক বিতর্কের ঊর্ধ্বে। তার যুক্তি হলো, বহু মানুষ আছেন, যারা তাদের শেষ জীবনে এসে আরেকটি সুপার ইয়ট কেনেন। তাহলে ভবিষ্যতে ফেরার সম্ভাবনার জন্য ২ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা কি খুব অযৌক্তিক?

কেন্ডজিওরা জানান, তাদের বেশিরভাগ গ্রাহকের বয়স ষাটের নিচে এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে ক্রায়োনিক্স ফি পরিশোধ করেন। কেউ এটা তাদের সংস্থার মাধ্যমে করে, কেউ স্বাধীনভাবে।

৫১ বছর বয়সী লুইস হ্যারিসন ক্রায়োনিক্সে নাম লেখানোর পেছনে কারণ হিসেবে বললেন, "আমি ভবিষ্যতে হয়ত জীবিত হয়ে ফিরতে পারব—এই ধারণাটি আমাকে মুগ্ধ করেছিল। এটি যেন এক ধরনের টাইম ট্রাভেল! একেবারেই ফেরার কোনো সুযোগ না থাকার চেয়ে, সামান্য হলেও আশা রাখাটা আমার কাছে বেশি যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে।"

লুইস হ্যারিসন, যিনি প্রতি মাসে প্রায় ৮৭ ডলার করে পরিশোধ করেন সদস্যপদ ও জীবনবীমার পেছনে, স্বীকার করেন যে তার সিদ্ধান্ত অনেকের কাছে অবাক করার মতো।

তিনি বলেন, "মানুষ আমাকে প্রায়ই বলে, এটা কতটা ভয়ানক! তুমি যখন জেগে উঠবে, তখন তোমার পরিচিত সবাই চলে যাবে। কিন্তু এতে আমি বিচলিত হই না—আমরা জীবদ্দশায়ও অনেক কাছের মানুষকে হারাই, তবু বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে নেই।"

টুমোরো ডট বায়ো আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কার্যক্রম বিস্তারের মাধ্যমে তারা আরও এমন লোকেদের আকৃষ্ট করতে পারবে, যারা ভবিষ্যৎ বিশ্বকে কেমন দেখতে পারে, তা নিয়ে কৌতূহলী।

১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ক্রায়োনিক্স সংস্থা ক্রায়োনিক্স ইন্সটিটিউট জানায়, এখন পর্যন্ত ২ হাজার মানুষ তাদের পরিষেবার জন্য নাম লিখিয়েছেন, যার মধ্যে ২৬৩ জন ইতোমধ্যে 'সাসপেনশনে' আছেন।

তারা জানান, এই ধারণাটি মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের সদস্যসংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে।


অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন

Related Topics

টপ নিউজ

মৃত্যু / জীবন ফিরে পাওয়া / চিকিৎসা / যুক্তরাষ্ট্র / রোগী

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • বাংলাদেশকে এড়িয়ে মিয়ানমার হয়ে সমুদ্রপথে কলকাতার সঙ্গে যুক্ত হবে উত্তর-পূর্ব ভারত: দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
  • ঢাকায় এক কুয়া আছে, কুয়ায় পানিও আছে, সে পানি ওয়াসার চেয়ে ভালো!
  • ১২৫ বছরে কারও চোখে পড়েনি ভ্যান গখের চিত্রকর্মে লুকানো এই বৈজ্ঞানিক রহস্য
  • স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পোশাক-ফলসহ ৭ পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিল ভারত
  • যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এফটিএ আলোচনা শুরু, পোশাক রপ্তানিতে খুলতে পারে বড় সম্ভাবনার দ্বার
  • স্টিভ লং: জার্মান ইউটিউবারের বাংলাদেশে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

Related News

  • ট্রাম্পের ‘হুমকি’ খারিজ করে ইরানের প্রেসিডেন্ট জানালেন; পরমাণু আলোচনা চলবে
  • যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এফটিএ আলোচনা শুরু, পোশাক রপ্তানিতে খুলতে পারে বড় সম্ভাবনার দ্বার
  • ট্রাম্প একইসঙ্গে যুদ্ধ ও শান্তির কথা বলছেন, কোনটা বিশ্বাস করব: ইরানের প্রেসিডেন্ট
  • যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কযুদ্ধকে সুযোগ হিসেবে দেখতে হবে, ভয়ের কিছু নেই: দেবপ্রিয়
  • ‘১৮০ সন্তানের বাবা’ দাবি করা শুক্রাণু দাতার পিতৃত্বের অধিকার খারিজ

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশকে এড়িয়ে মিয়ানমার হয়ে সমুদ্রপথে কলকাতার সঙ্গে যুক্ত হবে উত্তর-পূর্ব ভারত: দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

2
ফিচার

ঢাকায় এক কুয়া আছে, কুয়ায় পানিও আছে, সে পানি ওয়াসার চেয়ে ভালো!

3
আন্তর্জাতিক

১২৫ বছরে কারও চোখে পড়েনি ভ্যান গখের চিত্রকর্মে লুকানো এই বৈজ্ঞানিক রহস্য

4
বাংলাদেশ

স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পোশাক-ফলসহ ৭ পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিল ভারত

5
অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এফটিএ আলোচনা শুরু, পোশাক রপ্তানিতে খুলতে পারে বড় সম্ভাবনার দ্বার

6
ফিচার

স্টিভ লং: জার্মান ইউটিউবারের বাংলাদেশে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net