ট্রাম্প একইসঙ্গে যুদ্ধ ও শান্তির কথা বলছেন, কোনটা বিশ্বাস করব: ইরানের প্রেসিডেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তির কথা বললেও তার বক্তব্য বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
আজ শনিবার (১৭ মে) এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ট্রাম্প একদিকে শান্তির বার্তা দেন, আরেকদিকে দেন যুদ্ধের হুমকি।
"একইসঙ্গে তিনি শান্তির কথা বলেন, আবার সবচেয়ে উন্নত গণবিধ্বংসী অস্ত্রের হুমকিও দেন—আমরা কোনটিকে বিশ্বাস করব?" বলেন পেজেশকিয়ান।
তিনি জানান, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে, তবে হুমকিতে ভয় পায় না।
"আমরা যুদ্ধ চাচ্ছি না," বলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।
ওমানে গত রোববার ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচকদের মধ্যে চতুর্থ দফা আলোচনা হয়েছে, যার পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতি চলছে।
এনবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উপদেষ্টা আলি শামখানি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে রাজি হয়, তবে ইরানও একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ইরান কখনো পরমাণু অস্ত্র তৈরি করবে না—এমন প্রতিশ্রুতি দিতে প্রস্তুত রয়েছে। শুধু শান্তিপূর্ণ বেসামরিক ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করবে এবং আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের তা পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেবে।
তবে এখানেই রয়েছে মূল সমস্যা জট পাকাচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা চাইছেন, ইরান যেন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়, যা তেহরান স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন, তারা সমৃদ্ধকরণের মাত্রা কমাতে প্রস্তুত, তবে সম্পূর্ণ বন্ধ করতে চান না। পাশাপাশি ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে (যা ট্রাম্প ২০১৮ সালে বাতিল করেছিলেন) যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুদ রাখার অনুমতি ছিল, তার চেয়ে কমে রাজি নন তারা।
সূত্র জানিয়েছে, ইরান ধাপে ধাপে মজুদ ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিতে চায়, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা একধাপে চায়। এছাড়া কোথায় পাঠানো হবে এই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম—এই বিষয়েও দ্বিমত রয়েছে।