ঢাকায় গ্রেপ্তার প্রায় ৩ হাজার, সারা দেশে ১১ হাজার

১৬ জুলাই থেকে বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত রাজধানীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ২ হাজার ৯৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ২৭২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের একজন কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, এর মধ্যে অন্তত ৫৩টি মামলায় কোটা সংস্কারের প্রতিবাদে শুরু হওয়া সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সময় শিক্ষার্থী, পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন রাজনৈতিক নেতার মৃত্যু-সংক্রান্ত হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভিন্ন মামলায় প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করেছে বলে জানান তিনি।
১৮ জুলাই থেকে গত ১৩ দিনে রাজধানী ও ৫১ জেলায় দায়ের করা ৬৭২টি মামলায় শিক্ষার্থী এবং বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সদস্যসহ অন্তত ১১ হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে।
এসব মামলায় কয়েক হাজার ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে এবং অসংখ্য অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিতে আসামি করা হয়েছে।
ডিএমপি কর্মকর্তার তথ্যমতে, সহিংসতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলাগুলো করা হয়েছে। আর বেশিরভাগ মামলাই দায়ের করেছে পুলিশ।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, 'অপরাধীদের' ধরতে ব্লক রেইড অব্যাহত থাকবে।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যা, নাশকতা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা ৩৪টি মামলায় ১৬ জুলাই রাত থেকে ৩১ জুলাই সকাল পর্যন্ত ৯৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রামের পুলিশ।
চট্টগ্রামে দায়ের করা ৩৪টি মামলার মধ্যে ২৩টি চট্টগ্রাম মহানগরীর থানায় এবং ১১টি মামলা চট্টগ্রাম জেলার থানায় দায়ের করা হয়েছে।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ তারেক আজিজ টিবিএসকে বলেন, 'গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩টি মামলায় ১২ জনসহ মোট ৫৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
আর জেলা পুলিশ গত ২৫ ঘণ্টায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করায় ১১ মামলায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৪০৫ জন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ।