ট্রাম্পের সমাবেশে আচমকা চিৎকার: 'গেট ডাউন! গেট ডাউন! গুলি... !'

হামলা হয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর। পেনিসিলভানিয়াতে নির্বাচনী সমাবেশে মঞ্চে বক্তব্য দেয়ার সময় তার ওপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
'মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন' ক্যাপ পরিহিত ট্রাম্প তার বক্তৃতায় সবে অভিবাসন নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন, এমন সময় তার ডান দিক থেকে বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়। গুলির শব্দে ধারণা করা হচ্ছে ছোট ক্যালিবারের কোনো অস্ত্র দিয়ে আততায়ীরা হামলা চালিয়েছে।
গুলির শব্দ শোনার সাথে সাথে সবাই মাটিতে শুয়ে পড়ে। দেহরক্ষীরা তাকে ঘিরে ফেলার আগে ট্রাম্প মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ভিড়ের মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। চারপাশে লোকজন চিৎকার করে বলছিল, 'নেমে যাও, নেমে যাও, গুলি চলেছে'। খানিকক্ষণ পরই অবশ্য উঠে দাঁড়ান ট্রাম্প। ঘটনার পরপরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ট্রাম্পকে দ্রুত একটি গাড়িতে তোলেন। এ সময় ট্রাম্পের কান ও গাল বেয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়।
মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার সময় রক্তাক্ত ট্রাম্পকে মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচু করে 'ফাইট, ফাইট, ফাইট' বলতে দেখা যায়। তার সমর্থকরা ভয়ের ঘোরে থাকলেও ট্রাম্পকে দাঁড়াতে দেখে 'ইউএসএ, ইউএসএ' বলে সবাই উল্লাস শুরু করে। ট্রাম্পকে তারপর সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা মানববর্ম তৈরি করে বাম দিকের সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে একটি গাড়িতে তোলেন। একটি সাঁজোয়া ট্রাকও এসে যোগ দেয় ততক্ষণে।
এ ঘটনায় অন্তত একজন বন্দুকধারী ও প্রচারসভায় উপস্থিত একজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সিক্রেট সার্ভিস। এছাড়া আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। গুলিতে আহত হয়েছেন ট্রাম্প, তবে তা গুরুতর নয়।
সিক্রেট সার্ভিস বলেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট নিরাপদে আছেন, গুলি করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়েছে। একজন মুখপাত্রও নিশ্চিত করেছেন, ট্রাম্প 'ঠিক আছেন'। এক ব্যক্তি চিৎকার করে বলেন, 'ট্রাম্প আজই নির্বাচিত হয়েছেন, বন্ধুরা। তিনি একজন শহীদ'।
পুলিশ আর মিলিটারি পোশাক পরা লোকজন গুলির শব্দের কাছে স্টেডিয়ামের ব্লিচার থেকে এক ব্যক্তিকে বের করে আনেন। এ ঘটনায় অন্তত একজন বন্দুকধারী ও প্রচারসভায় উপস্থিত একজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সিক্রেট সার্ভিস। এছাড়া আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
সিক্রেট সার্ভিস দ্রুত মানুষদের সরিয়ে দিয়ে এই এলাকাকে 'ক্রাইম সিন' হিসেবে ঘোষণা করে এবং হলুদ টেপ দিয়ে অংশগুলো চিহ্নিত করে। জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে ব্লিচারে রক্ত দেখা যাচ্ছিল। আহতদের পিটসবার্গের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই মেডিকেল হেলিকপ্টার এসে পৌঁছায়।