ঐকমত্য কমিশনের এনসিসি সংস্কার, নতুন কমিটিতে নেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত 'জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের' (এনসিসি) নতুন সংস্কার কমিটিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি থাকছেন না।
বুধবার (২৫ জুন) তিনি বলেন, প্রস্তাবে তিনটি পরিবর্তন এসেছে, অ্যাটর্নি জেনারেল ও তিন বাহিনীর প্রধানের নিয়োগ বাদ দেওয়া হয়েছে এবং এর কাঠামোগত পরিবর্তনে প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতি থাকছেন না। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে পুনর্বার প্রশ্ন উঠেছে, কিন্তু নিয়োগ কমিটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় কোনও ঐক্যমত্য বা সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
আলী রিয়াজ বলেন, আগামী সপ্তাহে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব পেশ করা হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত আলোচনা সভায় অধিকাংশ দলের প্রস্তাব এবং বর্তমান পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে কমিশন এনসিরি প্রস্তাব সংশোধন করেছে। এনসিসির পরিবর্তে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি নিয়ে প্রস্তাবনা এনেছি। অধিকাংশ দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। কিছু কিছু দল আপত্তি জানিয়েছে। যারা স্বাগত জানিয়েছে তারা পরামর্শ দিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব আগামী সপ্তাহে পেশ করা হবে।
আলী রীয়াজ বলেন, বিদ্যমান সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি অটুট রাখার বিষয়ে কিছু দলের মত রয়েছে। এ কারণে ঐক্যমত হয়নি। অধিকাংশ দল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতির বিষয়ে মত দিয়েছে।
তিনি বলেন, এই কমিটি হবে সাত সদস্যবিশিষ্ট, যেখানে সভাপতি থাকবেন নিম্নকক্ষের স্পিকার। প্রস্তাবিত কমিটিতে থাকবেন- প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার (নিম্নকক্ষ), স্পিকার (উচ্চকক্ষ), বিরোধীদলীয় নেতা, প্রধান বিরোধী দল ছাড়া অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর একজন প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি (আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন), প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। সভাপতিত্ব করবেন নিম্নকক্ষের স্পিকার।