Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

ঢাকার লন্ড্রি সার্ভিস: ওয়াশিং মেশিন যখন আধুনিক ধোপা

কাস্টমাইজড ওয়াশিং মেশিনে মানসম্মত সেবা আর  অনলাইন সার্ভিস চালু করার মাধ্যমে শহুরে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। অটোমেটিক ও সেমি-অটোমেটিক এসব মেশিন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছে, নাকি কেড়ে নিয়েছে শতাব্দী প্রাচীন একটি পেশা— সে বিতর্ক অবশ্য থেকেই যায়।
ঢাকার লন্ড্রি সার্ভিস: ওয়াশিং মেশিন যখন আধুনিক ধোপা

ফিচার

জুনায়েত রাসেল
07 May, 2024, 07:10 pm
Last modified: 08 May, 2024, 12:33 pm

Related News

  • উশুতে মেডেল পেলে চাকরি মিলবে, তাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সান্ত্বনারা
  • নুসরাত, সুমাইয়ারা ছিল কোচিং ক্লাস শুরুর অপেক্ষায়...
  • ২০ বছর ধরে কালু মিয়ার কালাভুনায় মজে আছে সিনেপাড়া
  • বাটি ছাঁট থেকে রোনাল্ডো কাট: সেলুনগুলো যেভাবে বদলে যাচ্ছে জেন্টস পারলারে
  • ঈদের সাজগোজ থেকে খাবার; আগের রাতে মায়ের জাদুতেই ঈদ আনন্দ পায় পূর্ণতা

ঢাকার লন্ড্রি সার্ভিস: ওয়াশিং মেশিন যখন আধুনিক ধোপা

কাস্টমাইজড ওয়াশিং মেশিনে মানসম্মত সেবা আর  অনলাইন সার্ভিস চালু করার মাধ্যমে শহুরে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। অটোমেটিক ও সেমি-অটোমেটিক এসব মেশিন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছে, নাকি কেড়ে নিয়েছে শতাব্দী প্রাচীন একটি পেশা— সে বিতর্ক অবশ্য থেকেই যায়।
জুনায়েত রাসেল
07 May, 2024, 07:10 pm
Last modified: 08 May, 2024, 12:33 pm
ছবি: জুনায়েত রাসেল/টিবিএস

আশির দশকের কথা। তখনও ঢাকার এদিক-ওদিক উঁকিঝুঁকি দিলে দেখা মিলতো বেশকিছু লেক আর ঝিলের। বসুন্ধরা ও বনানীতে এমনই একাধিক ঝিলে সকাল-বিকেল জামাকাপড় ধোয়ার কাজ করতেন মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। নিজের নয়, ধোপা হিসেবে ধুয়ে দিতেন খদ্দেরের কাপড়। কাপড় প্রতি তার মজুরি ছিলো মাত্র পঞ্চাশ পয়সা! সারাদিন পানিতে নেমে কাজ করতেন, হাত পা ক্ষয়ে ক্ষয়ে যেত সোডা আর সাবানের ক্ষারে। এত খাটুনির পরেও দিনশেষে যেটুকু আয় হতো, তা দিয়ে মাস চলতো কোনোরকমে।

এককালের সেই 'ধোপা' শহিদুল ইসলামই আজ ২০২৪ সালে এসে চাকরি করেন একটি ওয়াশিং সার্ভিস কোম্পানিতে। এখন তিনি একজন কেমিস্ট! কোন কাপড়ে কতটুকু সাবান-সোডা লাগবে সেটি বাতলে দেওয়াই তার কাজ। প্রযুক্তি তাকে শুধু হাড়ভাঙা খাটুনি থেকেই মুক্তি দেয়নি, তার জীবিকাকে করেছে অনেক সহজ।

ঢাকা শহরে 'ধোপা' আজ একটি বিলুপ্তপ্রায় পেশা। লন্ড্রিগুলো এখন মেশিনের মাধ্যমেই কাপড় ধোলাই করে। ফলে এই আধুনিকযুগে এসে আর আগের দিনের মতো হাতে-পায়ে কষ্ট করে কাপড় ধোয়া লোকেদের দেখা মেলে না বললেই চলে।

যদিও ঢাকা শহরে খুঁজে খুঁজে বুড়িগঙ্গার তীরে জনাকয়েক মানুষকে পাওয়া গেল– যারা আজও পানিতে কাপড় ধুয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন, রাজধানীর অন্য কোথাও আর তাদের দেখা মেলে না। এর বদলে চোখে পড়ে বড় বড় সব লন্ড্রি আর ওয়াশিং সার্ভিস কোম্পানির। 

কাস্টমাইজড ওয়াশিং মেশিনে মানসম্মত সেবা আর  অনলাইন সার্ভিস চালু করার মাধ্যমে শহুরে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। অটোমেটিক ও সেমি-অটোমেটিক এসব মেশিন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছে, নাকি কেড়ে নিয়েছে শতাব্দী প্রাচীন একটি পেশা— সে বিতর্ক অবশ্য থেকেই যায়।

ছবি: জুনায়েত রাসেল/টিবিএস

মেশিন যখন 'আধুনিক ধোপা'

মধ্য বাড্ডার পোস্ট অফিস রোড। আঁকাবাঁকা রাস্তা পেরিয়ে একটু এগোলোই নাকে এসে লাগে সাবান আর সোডার তীব্র গন্ধ। উৎস অনুসন্ধান করে একটি কারখানায় ঢুকতেই চোখে পড়লো বিরাট কর্মযজ্ঞ। 

ভেতরে বিশাল জায়গাজুড়ে কাজ করছেন জনা দশেক মানুষ। কোনো বিরাম নেই কারো। একটি বড় অংশ জুড়ে নানা ধরনের কাপড়ের স্তুপ। একপাশে সেসব কাপড় আলাদা করছেন কয়েকজন কর্মী। অন্যপাশে ধোয়া কাপড়গুলো ভাজ করে রাখছেন দুজন। একজন আবার ব্যস্ত কাপড় ইস্ত্রিতে। এতসব মানুষের ভীড়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে বেশ কয়েকটি দৈত্যাকার যন্ত্র। ওরাই এখানকার প্রধান কর্মী!

'ধোপার ধোলাই' নামক একটি অনলাইন লন্ড্রি সার্ভিস কোম্পানির কারখানা এটি। মূল অফিস বনানীতে হলেও ধোয়া-শুকানোর কাজ চলে বাড্ডার এই কারখানায়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছিল অনলাইন কার্যক্রম। মানুষের ব্যক্তিগত জামা-কাপড় ছাড়াও হাসপাতাল ও আবাসিক হোটেলের মতো প্রতিষ্ঠানের কাপড় ধুয়ে থাকে এই প্রতিষ্ঠান। এটি ছাড়াও রাজধানীর শনির আখড়া ও উত্তরা এলাকায় আধুনিক এ ধরনের লন্ড্রি সার্ভিসের সন্ধান পাওয়া যায়। এর পাশপাশি শহরের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট লন্ড্রিগুলোতো রয়েছেই।

সকাল সকাল গিয়ে দেখা গেল, কারখানার ওয়াশিং মেশিনগুলো বিরামহীন ঘুরছে। কাপড় শুকানোর যন্ত্রগুলো আপাতত বন্ধ। ওয়াশিং মেশিনেগুলো বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত সাধারণ কোনো মেশিন নয়। রীতিমতো কাস্টমাইজ করে বানানো। সাধারণ একটি কাপড় ধোয়ার যন্ত্রের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ক্ষমতা এসব যন্ত্রের। যেকোনো ধরনের জামা-কাপড় ধোয়ার জন্যই রয়েছে আলাদা আলাদা প্রোগ্রাম; আলাদা ব্যবস্থা। শুধু ধোয়া নয়, ভেজা কাপড়গুলো শুকানোর জন্যও রয়েছে ভিন্ন ধরনের যন্ত্র। একজন ধোপার যে কাজ ছিল, সেটিই আরও বেশি দক্ষতার সাথে করে এই যন্ত্রগুলো। এসব যন্ত্রই যেন আধুনিক কালের 'ধোপা'!

ছবি: জুনায়েত রাসেল/টিবিএস

যেভাবে কাজ করে যন্ত্রগুলো

'ধোপার ধোলাই' কারখানায় ওয়াশিং মেশিন রয়েছে মোট ৩টি। দুটি বৃহৎ মেশিনের পাশাপাশি বাসাবাড়িতে কাপড় ধোয়ার একটি ছোট মেশিনও আছে। বড় যন্ত্রগুলো মূলত চীন থেকে আনা। এরপর নিজেদের মতো করে পরিবর্তন করে নেওয়া হয়েছে ওগুলো। 

বাড্ডা এই পাঁচতলা বাজার এলাকায় একাধিক কারখানায় গিয়েও একই ধরনের কাস্টমাইজড মেশিনের দেখা মিললো। 'ভাই ভাই ওয়াশিং' ফ্যাক্টরিতে দুটি ওয়াশিং মেশিন। চীন থেকে এনে নিজেদের সুবিধা মতো পরিবর্তন করে নিয়েছেন মালিক।

একজন কর্মী জানালেন, এসব মেশিনের একেকটা একসঙ্গে প্রায় ১০০ টির বেশি জামা-কাপড় ধুয়ে দিতে পারে। কম্বল বা এ জাতীয় কোনো ভারি কাপড় হলেও একসাথে ২০টি ধোয়ার ক্ষমতা রাখে এই যন্ত্র।

ধোয়া শেষে কাপড়ের পানি বের করার জন্য ব্যবহৃত হয় হাইড্রো নামের আরেকটি যন্ত্র। একে স্পিনারও বলা হয়। কারখানার কর্মী মোহাম্মাদ হাফেজ জানালেন, "ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কাপড়ের প্রায় নব্বই শতাংশ পানি বের করে দেয় এই যন্ত্র। এখান থেকে কাপড়গুলোকে নেওয়া হয় ড্রায়ার নামক অন্য আরেক যন্ত্রে। সেখানেই মূলত শুকিয়ে ফেলার কাজটি সম্পূর্ণ হয়।"

ওয়েট ওয়াশিং করার পাশাপাশি এসব কারখানায় ড্রাই ক্লিনিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। খরচও হয় তুলনামূলক বেশি। যেসব দামি কাপড় পানি দিয়ে ধোঁয়া হলে ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে, সেসব কাপড়ই ড্রাই ক্লিন করা হয়।

প্রতিটি কারখানাতেই মেশিনগুলো চালানোর দায়িত্ব থাকেন একাধিক কর্মী। এরমধ্যে একজনকে বলা হয়  'কেমিস্ট'। যার দায়িত্ব কাপড়ের পরিস্থিতি বুঝে যথাযথ পরিস্কারক দ্রব্য ব্যবহার করা। ধোপার ধোলাই'য়ে এই কেমিস্ট পদেই কাজ করেন মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, "আমরা শর্টিং করার সময়ই বুঝি কোন কাপড়টা বেশি ময়লা, কোনটা কম ময়লা। ওইভাবে আলাদা করা হয়। ময়লাটিতে কেমিক্যাল বেশি লাগে। প্রেশার বেশি লাগে। কোনটায় গরম পানি দেওয়া লাগবে, কোনটায় ঠাণ্ডা পানি দিতে হবে– সব আগেই বুঝতে হয়। কাপড় দেওয়ার পর ময়লা বুঝে টাইম সেট করে দেওয়া হয় মেশিনে, ততক্ষণ চলে, তারপর বন্ধ হয়ে যায়।"

কত ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, "১০০ পিস কাপড়ে জন্য আড়াইশ গ্রাম গুড়া সাবান, আধা কেজি সোডা, কয়েকটা পঁচা সাবান। তারপর অন্যান্য কিছু কেমিক্যাল দেওয়া লাগে। কিছু কাজ আছে হাতে করতে হয়। বিভিন্ন রকমের কেমিক্যাল আছে। যে কাপড়ে যেইটা খাটে, সেইটাই ব্যবহার করা হয়।"

ছবি: জুনায়েত রাসেল/টিবিএস

এখনও দরকার হয় হাতের ছোঁয়া

'জন হেনরি' গানে কবীর সুমন যেমন লিখেছিলেন- 'যন্ত্রে মানুষে লড়াই চললো, হেনরির হলো জয়', তেমনটির দেখা পাওয়া গেলো এসব ওয়াশিং সার্ভিস কারখানায় গিয়ে। যন্ত্র 'ধোপা' নামক পেশাটির জায়গা দখল করেছে বটে, তবু আজও মানুষই যন্ত্র পরিচালনা করে। আবার এমন কিছু কাজ থাকে, যা করতে পারে শুধু মানুষই।

ওয়াশিং মেশিনে ধোয়ার পর কাপড়ে লেগে থাকা ছোট-বড় দাগ ওঠানোর জন্য কারখানাগুলো মুখাপেক্ষী থাকে কিছু দক্ষ কারিগরের। এমনই একজন মোহাম্মদ দুলাল। সত্তুরের দশক থেকে কাপড় ধোয়ার সাথে জড়িত তিনি। এখন কাজ করেন একটি কারখানার। কাপড়ের দাগ দূরীকরণে অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে ঢাকায় বিভিন্ন কারখানায় ডাক পড়ে ষাটোর্ধ্ব দুলালের। 

মোহাম্মদপুরের লিপা লন্ড্রি কিংবা কিং ম্যান লন্ড্রিতে নিয়মিত যান ফরমায়েশি কাজ করতে যান তিনি।

ধোপার ধোলাই'য়ে নিজের কাজ সম্পর্কে বলেন, "দাগ পড়লে, স্পট পড়লে, এক কাপড়ের রঙ আরেক কাপড়ে লাগলে আমরা হাতে এগুলা উঠায় ফেলি। এগুলা মেশিনে করা যায় না। বিভিন্ন কেমিক্যালের সাহায্য এই কাজগুলো করে থাকি। মেশিন সব পারলেও এই কাজ কোনোদিন পারবে না।"

ছবি: জুনায়েত রাসেল/টিবিএস

যেসব সেবা পাওয়া যায়

'ধোপার ধোলাই' কারখানার ম্যানেজার মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানালেন, মানসম্মত কাজ আর অনলাইনে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার কারণে দ্রুতই জনপ্রিয়তা পেয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠান। বললেন, মূলত ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্ডার পেয়ে থাকেন। তারপর নিজেদের পিক-আপ রাইডারেরা সেসব কাপড় সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন ফ্যাক্টরিতে। "রাইডাররা কাপড় নিয়ে আসার পর শর্ট আউট হয়, ট্রাকিং হয়। এখানে কাপড় ধোয়ার পর সঠিকভাবে প্যাকেজিং হয়ে আবার সেই রাইডারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সে গিয়ে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসে।"

প্রায় সব ওয়াশিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোই এভাবে অনলাইন সেবা দিয়ে থাকে। ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা থাকে মূল্য তালিকা। ধোপার ধোলাই'য়ে সাধারণ কোনো পরিধানের জামা-কাপড় ধোয়া ও ইস্ত্রি করতে ৬০ টাকা খরচ করতে হয় গ্রাহকে। বড় ধরনের কম্বল শুরু হয় ৫০০ টাকা থেকে। জ্যাকেট ১৮০ টাকা, মশারি ১২০ টাকা, শাড়ির মতো পোশাক ২০০ টাকা। অন্যদিকে, বোরকা কিংবা চাদর ধুয়ে নিতে হলে খরচ করতে হয় ১৫০ টাকা করে। 

তবে প্রতিটি কাপড় ড্রাই ক্লিন করতে খরচ তুলনামূলক বেশি পড়ে। একটি জ্যাকেট ড্রাই ক্লিন করতে খরচ হয় ২৬০ টাকা, শাড়ি ৪০০ টাকা। ওয়াশিং সার্ভিস কোম্পানিগুলোর দাবি, সময় ও পরিশ্রম বেশি বলেই এই দ্বিগুণ খরচ।

ধোপার ধোলাই- এর কার্যক্রম চলে সমগ্র ঢাকাজুড়ে। এই কারখানাটির মতো আরও অসংখ্য প্রতিষ্ঠান এখন ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে উঠেছে। তেজগাঁও শিল্প এলাকায় একটি কারখানা 'কুইক ওয়াশ লন্ড্রি'। এখানে কাজ করেন প্রায় ২৩ জন কর্মী। তাদের লন্ড্রিগুলো ছড়িয়ে রয়েছে সমগ্র ঢাকাজুড়ে। এসব কারখানার বেশিরভাগ কর্মীই আগে কোনোদিন কাপড় ধোয়া পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তবে এমন ধরনের কারখানা তাদের মতো অনেকেরই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছে বলে জানালেন তারা।

ছবি: জুনায়েত রাসেল/টিবিএস

হারিয়ে যাবে পেশাদার ধোপারা!

ঢাকার মতো দ্রুত বর্ধমান শহরগুলোতে প্রাকৃতিক পানির উৎস নেই বললেই চলে। এমন অবস্থায় পেশাদার ধোপদের অনুপস্থিতিতে এসব যন্ত্র ভিত্তিক কারখানায় এই পেশার ভবিষ্যৎ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গ্রামগঞ্জে এখনও যেসব ধোপাদের দেখা যায়, ক্রমে তারাও হারিয়ে যাবে এমনটিই ধারণা তাদের।

বুড়িগঙ্গার তীরে এই পেশায় নিয়জিত ধোপারাও মনে করেন, কালের আবর্তনে একসময় হারিয়েই যাবে তাদের পূর্বপুরুষের এই পেশা। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড'কে তারা জানিয়েছেন, আগে মজুরি কম থাকলে তা সে সময়ের বাজার অনুযায়ী অপ্রতুল ছিল না। আগে ভালোবেসে কাজ করলেও এখন আর পেট চলে না। তাছাড়া, শহরের এসব যন্ত্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো হওয়ার ফলে এখন আর তাদের চাহিদাও তেমন নেই।

"আগের দিনের ধোপাদের তো পুরান ঢাকা ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না। সবাই তো এই আধুনিকায়নের মধ্যে চলে আসছে। মানুষ চায় দ্রুত এবং ভালো কাজ, সেটা ধোপাদের দ্বারা সম্ভব হয় না। এখন তো মানুষের এই সময় নাই। আমরা বাসায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কাপড় ধুয়ে পৌঁছে দিই, প্রতিষ্ঠানগুলোতে তো ডেলিভারি দেই প্রতিদিন। এজন্য এই আধুনিক পদ্ধতিই সবাই চায়," বললেন 'ধোপার ধোলাই'য়ের ম্যানেজার মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক।

"হাতে একটা কাপড় যখন আপনি ওয়াশ করবেন তখন কিন্তু কাপড়ের ফাইবার ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। মেশিনে সেটি হবে না। হলেও কম। তাই এসব মেশিনই এখন এই পেশার ভবিষ্যৎ," যোগ করেন তিনি।

Related Topics

টপ নিউজ

ধোপা / কাপড় ধোয়া / লন্ড্রি / লন্ড্রি সার্ভিস / ওয়াশিং মেশিন / ফিচার

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • জোরপূর্বক অপুকে দিয়ে চাঁদাবাজির স্বীকারোক্তির ভিডিও বানিয়েছেন ইশরাক, সংবাদ সম্মেলনে দাবি স্ত্রীর
  • রাস্তায় হাঁটছিলেন নরওয়ের অর্থমন্ত্রী, আচমকা ফোন করে নোবেল ‘দাবি করে বসেন’ ট্রাম্প
  • সেপ্টেম্বর নয়, ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি
  • রোনালদো-জর্জিনার বাগদান ঘিরে সৌদি আরবে সমালোচনা-হাসিঠাট্টা, কেন?
  • সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বেড়ে দ্বিগুণ

Related News

  • উশুতে মেডেল পেলে চাকরি মিলবে, তাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সান্ত্বনারা
  • নুসরাত, সুমাইয়ারা ছিল কোচিং ক্লাস শুরুর অপেক্ষায়...
  • ২০ বছর ধরে কালু মিয়ার কালাভুনায় মজে আছে সিনেপাড়া
  • বাটি ছাঁট থেকে রোনাল্ডো কাট: সেলুনগুলো যেভাবে বদলে যাচ্ছে জেন্টস পারলারে
  • ঈদের সাজগোজ থেকে খাবার; আগের রাতে মায়ের জাদুতেই ঈদ আনন্দ পায় পূর্ণতা

Most Read

1
বাংলাদেশ

জোরপূর্বক অপুকে দিয়ে চাঁদাবাজির স্বীকারোক্তির ভিডিও বানিয়েছেন ইশরাক, সংবাদ সম্মেলনে দাবি স্ত্রীর

2
আন্তর্জাতিক

রাস্তায় হাঁটছিলেন নরওয়ের অর্থমন্ত্রী, আচমকা ফোন করে নোবেল ‘দাবি করে বসেন’ ট্রাম্প

3
বাংলাদেশ

সেপ্টেম্বর নয়, ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি

4
খেলা

রোনালদো-জর্জিনার বাগদান ঘিরে সৌদি আরবে সমালোচনা-হাসিঠাট্টা, কেন?

5
বাংলাদেশ

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বেড়ে দ্বিগুণ

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab