‘ইংল্যান্ডের ভাগ্য ভালো কোহলি-রাহুল খেলেনি’

বাজবল নিয়ে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজে বিস্তর চর্চা হয়েছে। বাজবল কার্যকরী হয়নি বলে ইংলিশদের ভরাডুবি হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। তবে ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ক্রিকেটার জিওফ বয়কটের ভিন্ন মত। ভারতের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধোনে টেস্ট সিরিজ হারের কারণ হিসেবে ইংল্যান্ডের নির্বিষ বোলিংকে উল্লেখ করেন সাবেক এই ব্যাটসম্যান।
তার মতে, এমন নখদন্তহীন বোলিংয়ে কোনও দলই ভয় পাবে না ইংল্যান্ডকে। বড় ব্যবধানে সিরিজ হারের পরও ইংল্যান্ডের ভাগ্য ভালো বলেই মনে করেন বয়কট। কারণ হিসেবে বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের না থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। সিরিজে কোন ম্যাচ খেলেননি সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান কোহলি, রাহুল খেলেন একটি ম্যাচ। বয়কট মনে করেন, এ দুজন থাকলে পথ আরও কঠিন হতো ইংল্যান্ডের জন্য।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের দলে নেয়নি ভারত। কোহলি ব্যক্তিগত কারণে সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ান, একটি টেস্ট খেলে চোট পাওয়া রাহুল সিরিজ থেকে ছিটকে যান। চোটের জন্য শেষ তিন টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি শ্রেয়াস আইয়ারও। সব মিলিয়ে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ খুব একটা মজবুত ছিল না।
এ ছাড়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ভারতের ৫জন ক্রিকেটারের অভিষেক হয়, তাদের মধ্যে উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেলসহ ৪ জন ব্যাটসম্যান। যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমান গিলেরও টেস্ট খেলার খুব একটা অভিজ্ঞতা নেই। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান বলতে কেবল অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এরপরও ইংলিশ বোলাররা সুবিধা করতে পারেননি। ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে ভারত, তাও আবার হায়দরাবাদের প্রথম টেস্ট হেরে পিছিয়ে পড়ার পরও।
ইংল্যান্ডের স্পিন বোলিং বিভাগ শক্ত ছিল না। জ্যাক লিচ চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পরে ইংল্যান্ডকে কাজ চালাতে হয় নবাগত টম হার্টলি, শোয়েব বশির ও রেহান আহমেদকে দিয়ে। সিরিজে লড়াইটা হয় ভারতের অনভিজ্ঞ ব্যাটিং ও ইংল্যান্ডের অনভিজ্ঞ স্পিন বোলিংয়ের মধ্যে। যেখানে শেষ হাসি হাসেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।
টেলিগ্রাফের কলামে বয়কট লিখেছেন, 'ইংল্যান্ডের ভাগ্য ভালো ছিল বিরাট কোহলি পুরো সিরিজে খেলতে পারেনি এবং লোকেশ রাহুল মাত্র একটি টেস্ট খেলেছে। ইংল্যান্ডের স্পিনার বলতে অল্প পরিমাণে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা দুই অনভিজ্ঞ বালক টম হার্টলি ও শোয়েব বশির। মার্ক উডের মতো একজন পেসার, যার বলের অল্প নড়াচড়া বিশেষ কার্যকরী নয়।'
জেমস অ্যান্ডারসনের ক্যারিয়ারের শেষ দিকে দাঁড়িয়ে বলে তাকে নিতান্তই অল্প ব্যবহার করা হয়। আর বেন স্টোকসের মতো একজন অলরাউন্ডার, যে কিনা শেষ টেস্টে কয়েক ওভার হাত ঘোরানোর আগ পর্যন্ত বোলিং করার জন্য ফিট ছিল না। এমন বোলিং লাইনআপকে কেউই ভয় পাবে না। সুতরাং, ৪-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হার অবাক করার মতো কিছু নয়।' লেখেন বয়কট।