Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

এইসব মাচাং ঘর আর দেখা যাবে না!

মূল ঘরের লাগোয়া করে খোলা ও ছাদবিহীন অংশকে বলা হয় মাচাং ঘর। পাহাড়ের ১১টি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীই এ ধরনের ঘর তৈরি করে থাকে। ফলে বংশ পরম্পরায় এটি হয়ে উঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের ঐতিহ্যবাহী ঘর। বিশেষ করে গ্রামে বসবাসকারী জুমচাষিরা সেখানে কাপড় এবং ধান শুকায়। আর রাত হলে সেখানে বসে রূপকথার কাহিনি ও খোশ গল্পে মেতে ওঠে তারা। 
এইসব মাচাং ঘর আর দেখা যাবে না!

ফিচার

উসিথোয়াই মারমা, বান্দরবান
04 December, 2023, 01:15 pm
Last modified: 04 December, 2023, 01:28 pm

Related News

  • ভারত সফরে গেলেন সন্তু লারমা
  • পাহাড়ে শুরু বর্ষবরণ উৎসব
  • পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃতিতে ক্যামেরা-ট্র্যাপে ধরা পড়ল দুর্লভ মর্মর বিড়াল
  • পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরিবীক্ষণে নতুন কমিটি
  • শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিকভাবে পার্বত্য অঞ্চলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

এইসব মাচাং ঘর আর দেখা যাবে না!

মূল ঘরের লাগোয়া করে খোলা ও ছাদবিহীন অংশকে বলা হয় মাচাং ঘর। পাহাড়ের ১১টি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীই এ ধরনের ঘর তৈরি করে থাকে। ফলে বংশ পরম্পরায় এটি হয়ে উঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের ঐতিহ্যবাহী ঘর। বিশেষ করে গ্রামে বসবাসকারী জুমচাষিরা সেখানে কাপড় এবং ধান শুকায়। আর রাত হলে সেখানে বসে রূপকথার কাহিনি ও খোশ গল্পে মেতে ওঠে তারা। 
উসিথোয়াই মারমা, বান্দরবান
04 December, 2023, 01:15 pm
Last modified: 04 December, 2023, 01:28 pm

বন জঙ্গলের হিংস্র বণ্যপ্রাণী থেকে বাঁচার জন্য একসময় পাহাড়ি মানুষদের বেছে নিতে হয়েছিল নানা কৌশল। বসতবাড়ি নির্মাণেও আত্মরক্ষার তাগিদে মাটি থেকে বেশ উঁচু করে বানাতে হতো ঘর। নিচে থাকত গাছ-বাঁশের অনেক খুঁটি। তিন পার্বত্য জেলার এলাকায় পাহাড়িদের কাছে এমন আদলে ঘরের নাম মাচাং ঘর। 

মূল ঘরের লাগোয়া করে খোলা ও ছাদবিহীন অংশকে বলা হয় মাচাং ঘর। পাহাড়ের ১১টি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীই এ ধরনের ঘর তৈরি করে থাকে। ফলে বংশ পরম্পরায় এটি হয়ে উঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের ঐতিহ্যবাহী ঘর। বিশেষ করে গ্রামে বসবাসকারী জুমচাষিরা সেখানে কাপড় এবং ধান শুকায়। আর রাত হলে সেখানে বসে রূপকথার কাহিনি ও খোশ গল্পে মেতে ওঠে তারা। 

স্থানীয়রা বলছেন, সেই মাচাং ঘর এখন বিলুপ্তির পথে। একদিকে বন উজাড়ের কারণে আগের মতো গাছ-বাঁশ পাওয়া যায় না, অন্যদিকে কিছু সচ্ছল ব্যক্তিও মাচাং ঘরের বদলে পাকা ঘরবাড়ি তৈরিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফলে অনেকের আশঙ্কা, একসময় দুর্গম এলাকা ছাড়া আর দেখতে পাওয়া যাবে না এই মাচাং ঘর। 

বান্দরবান জেলা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে চিমি ডলু পাড়া। দুই শতাধিক মারমা পরিবার রয়েছে এ পাড়ায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায় অসংখ্য মাচাং ঘর। মাচাংয়ে কেউ কাপড় শুকায়। কেউ জড়ো করে রাখে খেত থেকে নিয়ে আসা নানা রকমের সবজি।

চিমি ডলু পাড়ার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব হ্লামেচিং মারমা মাচাং ঘরে বসে শীতে রোদ পোহাচ্ছিলেন। কথা হয় তার সঙ্গে। 

দীর্ঘশ্বাস ফেলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, 'বয়স হওয়ার সাথে সাথে মাচাং ঘরও বিলুপ্ত হচ্ছে। চোখের সামনে এখন পুরনো ঘর ভেঙে তৈরি করা হচ্ছে ইট কংক্রিটের পাকার বাড়ি। নতুন প্রজন্মরা একসময় এরকম মাচাং ঘর দেখার সুযোগ পাবে না। ছোট থাকতে মাচাংয়ে বসে আমরাও রাজা-রানি ও রূপকথার গল্প শুনেছি। সারাদিন কাজ শেষে সেখানে পাটি বিছিয়ে পরিবারের সবাই কত গল্প করত। এমনই হতো গল্প শুনে শুনে ঘুমিয়ে পড়তাম আমরা।'

পাহাড়িদের দীর্ঘ ঐতিহ্যের মাচাং ঘর। ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন

একই পাড়ার বাসিন্দা মেহ্লাচিং মারমা এবং মংপু মারমা বলেন, বনে আগের মতো গাছ-বাঁশ পাওয়া যায় না। কিনতে গেলেও অনেক টাকা। এ কারণে বর্তমান ঘরটা ভেঙে দেওয়ার পর সামনে মাচাং অংশটা আর রাখব না। শুধু মূল ঘরটাই থাকবে। 

তবে গাছ-বাঁশের সংকট থাকলেও অনেকে এখনো ঐতিহ্যবাহী ঘর হিসেবে মাচাং তৈরি করে রাখার ইচ্ছা পোষণ করেন। এমনই এক ব্যক্তি এই চিমি ডলু পাড়ার বাসিন্দা উচিংসা মারমা।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, 'এটা ঠিক, কিছুটা গাছ-বাঁশের সংকট রয়েছে। শুধু এ কারণে ঐতিহ্যবাহী একটা ঘর বানাব না সেটা হয় না। খরচ একটু বেশি হলেও দূর থেকে গাছ-বাঁশ সংগ্রহ করে মাচাং তৈরি করব। মাচাং ঘর নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে।'

জুমচাষিরা এসব মাচাং ঘরে কাপড় ও ধান শুকায়। ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন

দীর্ঘ সময় চট্টগ্রাম শহরে পড়াশুনা করা একই পাড়ার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট উছো অং মারমা বলেন, সারা বছর রোদে-বৃষ্টিতে থাকায় এই ঘরের স্থায়িত্ব কম। দুই থেকে তিন বছরের বেশি টিকে না এই মাচাং ঘর। ফলে বারবার খরচের কারণে নতুন করে বানাতে পারে না অনেকেই।

'এ কারণে অনেকে তিন-চার বছর টাকা জমিয়ে মাটির ঘর অথবা পাকা বাড়ি তৈরি করে থাকে। মাচাং ঘর তৈরির করার দিকে ঝোঁকে না আর। ইট-পাথরের পাকা ঘর তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই। সামর্থ্য থাকলেও সচ্ছল ব্যক্তিরা এখন মাচাং ঘর তৈরি করে না,' বলেন তিনি।

ম্রো ও খুমী সমাজের প্রবীণরা মাচাংয়ে বসে এখনও নাতি-নাতনিদের বিভিন্ন রূপকথার গুল্প শোনান। ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন

এদিকে শহরে বালাঘাটা এলাকার বাসিন্দা সুফল চাকমা বলেন, চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের মধ্যেও মাচাং ঘর তৈরির প্রবণতা অনেক কমে গেছে। শুধু দুর্গম এলাকা ছাড়া আর কোথাও মাচাং ঘর চোখে পড়ে না। স্থায়িত্বের কথা চিন্তা করে বেশিরভাগ মানুষ এখন সামর্থ্য অনুসারে মাটির ঘর অথবা পাকা ঘর তৈরি করে থাকে।

তবে বান্দরবান জেলায় ম্রো ও খুমী জনগোষ্ঠীর নব্বই ভাগ মানুষ এখনও মাচাং ঘর তৈরি করে থাকে জানিয়েছেন লেখক ও তরুণ গবেষক ইয়াঙান ম্রো বলেন, মাচাংয়ে ধান ও কাপড় শুকানো থেকে শুরু করে অনেক ধরনের কাজে লাগে। বাইরে থেকে মাছ-মাংস নিয়ে আসলে সেখানে বসে কাটা হয়। অতিথি কেউ ঘরে আসলে সেখানে হাত-মুখ ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়। এছাড়া ঘরে যাবতীয় খরচের পানি মাচাংয়ের এক কোণে অনেকগুলো লাউ খোলের পানির পাত্র রাখে।

ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন

এছাড়া ম্রো ও খুমী সমাজের বয়স্ক ব্যক্তিরা রাতে মাচাংয়ে বসে এখনও নাতি-নাতনিদের বিভিন্ন রূপকথার গুল্প শোনান। যুবক-যুবতীদেরও প্রেম-গল্প আড্ডার চল রয়েছে বলেন জানান তিনি।

পাহাড়ে এখন মাচাং ঘর দেখা যায় কেবল প্রত্যন্ত অঞ্চলে। ফলে এই মাচাং ঘর এক সময় বিলুপ্তি হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন বলে মনে করেন বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের পরিচালক মংনুচিং মারমা। 

ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন

তিনি বলেন, 'একসময় শহরে পর্যন্ত মাচাং ঘর থাকলেও সময়ের পরিবর্তনে বিলুপ্ত হতে পারে। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী এই ঘরকে ধরে রাখতে হলে ভিন্ন আদলে রক্ষা করতে হবে। এ কারণে অনেকেই এখন পাকা বাড়ি করার পরও ঘরের উঠানে অথবা লাগোয়া করে মাচাং ঘর তৈরি করে থাকে।'

ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন

 

Related Topics

টপ নিউজ

মাচাং ঘর / পার্বত্য চট্টগ্রাম / পাহাড়ি এলাকা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
  • আগস্টের মধ্যে ই-স্কুটার ও ই-বাইক বাজারে আনছে রাষ্ট্রায়ত্ত অ্যাটলাস বাংলাদেশ
  • বনানীতে ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
  • অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পর অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি প্রত্যাহার এনবিআর কর্মকর্তাদের
  • দেশের প্রথম ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট গোপালগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জে স্থানান্তরের পরিকল্পনা সরকারের

Related News

  • ভারত সফরে গেলেন সন্তু লারমা
  • পাহাড়ে শুরু বর্ষবরণ উৎসব
  • পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃতিতে ক্যামেরা-ট্র্যাপে ধরা পড়ল দুর্লভ মর্মর বিড়াল
  • পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরিবীক্ষণে নতুন কমিটি
  • শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিকভাবে পার্বত্য অঞ্চলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

Most Read

1
বাংলাদেশ

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

2
বাংলাদেশ

আগস্টের মধ্যে ই-স্কুটার ও ই-বাইক বাজারে আনছে রাষ্ট্রায়ত্ত অ্যাটলাস বাংলাদেশ

3
বাংলাদেশ

বনানীতে ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

4
অর্থনীতি

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পর অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি প্রত্যাহার এনবিআর কর্মকর্তাদের

5
বাংলাদেশ

দেশের প্রথম ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট গোপালগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জে স্থানান্তরের পরিকল্পনা সরকারের

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab