প্রাক-নির্বাচন অপপ্রচার প্রতিরোধে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্প্রতি আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ সময় তিনি বলেন, 'আমরা মনে করি আমাদের আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। কারণ নির্বাচনের আগে আরও প্রচারণা হতে পারে।'
তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে কাজ করে আসছে।
সাবরিন বলেন, তথ্য, আইন ও পররাষ্ট্রবিষয়ক তিনটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি কমিটি কাজ করছে।
গত সপ্তাহে এক আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা এবং দেশের অর্জনকে ক্ষুণ্ন করার প্রচেষ্টাকে মোকাবিলায় বাস্তবসম্মত ও কার্যকর পদক্ষেপের উপর জোর দেন।
যেখান থেকে বিভ্রান্তি ও বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে তা চিহ্নিত করার এবং তথ্যের ভিত্তিতে যথাযথ পাল্টা প্রচেষ্টার মাধ্যমে তা মোকাবিলার উপর তারা জোর দেন।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, 'তিনটি জায়গায় আপনাদের মনোযোগ দিতে হবে: লন্ডন, ব্রাসেলস ও ওয়াশিংটন ডিসি। সেখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।'
বৈঠকে ফেরদৌসী শাহরিয়ারকেও পরিচয় করিয়ে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। যিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের একটি সেলের নেতৃত্ব দেবেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সেহেলী সাবরিন বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সুবিধার্থে বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কেউ আগ্রহী হলে সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন এই বছরের ডিসেম্বর বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, 'যেকোনো পর্যবেক্ষকের সুবিধার্থে আমরা আমাদের নিজস্ব আইন এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়মগুলো অনুসরণ করব।'
তিনি আরও জানান, তারা এখনও কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার কাছ থেকে কোনো অনুরোধ পাননি।