Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Friday
June 13, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
FRIDAY, JUNE 13, 2025
ঘর তার দুর্লভ সব সুরমাদানির ভাঁড়ার

ফিচার

সালেহ শফিক
15 June, 2023, 02:20 pm
Last modified: 15 June, 2023, 02:28 pm

Related News

  • প্রাচীনতম সেলুন ট্রুফিট এন্ড হিল: যেভাবে বাকিংহাম প্যালেস থেকে গুলশানে
  • এক পিতার অদ্ভুত শখ, কন্যার জন্য সংগ্রহ করেন কুপিবাতি!
  • বই সংগ্রহই তাদের নেশা!
  • ইতিহাসের ধুলিমাখা পুরাকীর্তি ও সংগ্রাহকদের ঝলমলে দুনিয়া
  • বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পুরনো সংবাদপত্রের প্রিন্ট সংস্করণ

ঘর তার দুর্লভ সব সুরমাদানির ভাঁড়ার

প্রায় ২০০ সুরমাদানির ভাণ্ডার গড়ে তুলেছেন মামুন হোসেন। এরমধ্যে পকেট সুরমাদানি আছে ২০টির বেশি। বেশিরভাগই পিতলের তৈরি। পকেট সুরমাদানিগুলো আকারে ছোট হলেও নজর কাড়ে বেশি কারণ এগুলোর গড়ন যেমন ব্যতিক্রমী হয় আবার গায়ে দারুণ সব কারুকাজও থাকে। লিড সালফাইড নামের এক রকমের খনিজ থেকে আহরণ করা হয় সুরমা। আরবীতে একে বলা হয় 'কুহল'।
সালেহ শফিক
15 June, 2023, 02:20 pm
Last modified: 15 June, 2023, 02:28 pm
ছবি- মামুন হোসেনের সৌজন্যে

মামুন হোসেন অচলের বয়স এখন ৩৬। বাড়ি গোপালগঞ্জ; তবে ছোটবেলা কেটেছে চাঁদপুরে। বাবা লঞ্চের মেকানিক ছিলেন। সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় মামুনের মুদ্রা সংগ্রহের ঝোঁক তৈরি হয়। বিদেশ থেকে আসা আত্মীয়-স্বজন বা প্রতিবেশীরাই ছিল মাধ্যম। তাদের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে মুদ্রার ছোটখাটো ভাণ্ডার গড়ে তুলছিলেন মামুন। দুই-চার টাকা জমলে বন্ধুদের কাছ থেকেও কিনতেন কিছু কিছু। কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব, জাপানের মুদ্রা ছিল মামুনের সংগ্রহে বেশি। কিছু ছিল ব্রিটিশ ভারতের মুদ্রা।

এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর পড়াশোনা আর এগোয়নি তার। ঢাকায় ছিল চাচাতো ভাইয়ের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি। ভাই বলেছিলেন, ঘরে বসে না থেকে ঢাকায় এসে কাজ শিখে নিতে। ঢাকার মীরপুরের পূরবী সিনেমা হলের কাছে ছিল ভাইয়ের কারখানা। ভাইয়ের বদৌলতে হেলপার (সর্বনিম্ন পদ) হয়ে কাজে ঢুকতে হয়নি মামুনকে। অ্যাসিস্ট্যান্ট মেশিনম্যান হওয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন শুরুতেই।

একদিন পূরবী হল প্রাঙ্গনে এক বৃদ্ধকে দেখলেন লেস ফিতা, আতরের শিশি ইত্যাদির সঙ্গে কয়েনও বিক্রি করতে। পুরনো শখ আবার মাথা চাড়া দিল। বৃদ্ধের কাছ থেকে মাঝে মধ্যেই কয়েন কিনতেন মামুন। সেগুলো বিক্রয় ডটকমে বিক্রিও করতেন। 

শখের দাম একটু বেশিই

ছবি- মামুন হোসেনের সৌজন্যে

পুরান ঢাকার অ্যান্টিক (পুরানো জিনিষপত্র) শপগুলোর খবর পেতে অবশ্য কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছিল মামুনের। চীন বা ভিয়েতনামে তৈরি একটি ফুলদানি (দুইপাশে দুটি ড্রাগনসহ) প্রথম কিনেছিলেন অ্যান্টিক শপ থেকে। কিছু হুক্কা, সোরাহিও কিনেছিলেন। যত কিনতেন তার সবগুলো যে সংগ্রহে রাখতেন তা নয়, ভালো সংগ্রাহক পেলে বিক্রি করে দিতেন অনলাইন মার্কেট মারফত। মামুন বলছিলেন, 'সবাই সবকিছু সংগ্রহ করে না আবার যে যেটা সংগ্রহ করে তার জন্য পাগলপারা থাকে।'

অ্যান্টিক শপগুলোয় মামুন যান সপ্তাহে তিন-চারবার। নতুন কিছু এলে অল্পসময়ের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। প্রত্যেক সংগ্রাহকই খোঁজ নিতে থাকেন নিয়মিত। তাই আগেভাগে না গেলে হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই থাকে বেশি। আর বিক্রেতা যখন বুঝতে পারেন, জিনিসটির ভালো চাহিদা তৈরি হতে পারে, তখন লাগামছাড়া দাম হাঁকেন।

ছবি- মামুন হোসেনের সৌজন্যে

২০১৭ সালের কথা। এমনই এক অ্যান্টিক শপ থেকে একটি সুরমাদানি মামুন পেয়েছিলেন, যা হয়তো বিক্রেতা সের দরে কিনে এনেছেন; কিন্তু ৭০০ টাকা দাম হেঁকে গো ধরে বসে থাকলেন। সেটি ছিল একটি পকেট সুরমাদানি। পৌনে দুই ইঞ্চি হবে দৈর্ঘ্যে; কিন্তু ব্যতিক্রমী গড়ন তার। মামুন সেটি কিনে এনে বিক্রি করে দিয়েছিলেন দিনকয় পর। এরপর আবার যখন পুরান ঢাকার অ্যান্টিক শপগুলোয় যান, আরো কিছু সুরমাদানি দেখতে পান। তখন ভাবলেন সুরমাদানি সংগ্রহে তিনি বিশেষ হয়ে উঠবেন। এটিই হবে তার থিমেটিক কালেকশন (বিষয়ভিত্তিক সংগ্রহ)। 

ছবি- মামুন হোসেনের সৌজন্যে

প্রথমত, এর প্রতি তখনো কেউ সেভাবে নজর দেননি। দ্বিতীয়ত, মুসলমান হিসেবে তার ধর্ম অনুভূতিও এর সঙ্গে জড়িত। এটা। মামুন এবার আফসোস করতে থাকলেন ওই সুরমাদানির জন্য, যা কিছুদিন আগেই বিক্রি করে দিয়েছেন। সেটি ফিরিয়ে আনতে তিনি ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকলেন। ক্রেতা ভালো মনের মানুষ, আর সুরমাদানি তার বিশেষ সংগ্রহের বিষয়ও ছিল না। তাই কেনা দামেই ছয়মাস পরে তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মামুনকে।  

কৌটার মাথায় হাতি

২০১৪ সালে বিয়ে করেন মামুন। ততদিনে তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক। সংসারের খরচ বেড়েছে, রোজগার তেমন বাড়েনি, কিন্তু সংগ্রহের নেশা মামুনকে আরো বেশি করে পেয়ে বসেছে। অন্যকোনো পুরনো কোনো জিনিস (যেমন: রুপার পালকি, গাছে পানি ছিটানোর স্প্রে, আওরঙ্গজেবের আমলের সিলমোহর, তালা, সেন্ট্রাল টোবাকো অ্যাসোসিয়েশনের পিয়ন ব্যাজ, গাছা, চেরাগ বাতি) খুঁজে আনলে সেগুলো বিক্রি করে সুরমাদানির সংগ্রহ বাড়িয়ে চলেন তিনি। কোনো পুরনো জিনিস সংগ্রহের পরপরই তিনি সেগুলো নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে কিছু পড়াশোনা করেন আর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অভিজ্ঞদের মতামত চান। 

ছবি- মামুন হোসেনের সৌজন্যে

তার সংগ্রহ করা রুপার পালকিটির ওজন ৬ ভরির মতো। এর গায়ে খুব সূক্ষ্ম নকশা করা। আগের দিনের কারিগরেরাও যে কত উদ্ভাবনী শক্তির অধিকারী ছিলেন তা বোঝা গেল মামুনের কাছে থাকা নিত্যপ্রয়োজনীয় ছোটখাটো জিনিস রাখার একটি কৌটা থেকে। কৌটার মাথায় একটি হাতি বসানো। হাতিটা কৌটার সৌন্দর্য যেমন বাড়িয়েছে সেসঙ্গে এটি হ্যান্ডেল হিসেবেও কাজ করছে। 

তার সংগ্রহে থাকা একটি তালা সম্পর্কে মামুন বলেন, "ইয়েল আমেরিকান এক তালা প্রস্তুতকারক কোম্পানি। আমার সংগ্রহে থাকা তালাটি উনিশ শতকের সত্তরের দশকে তৈরি। বিশ্বের প্রাচীনতম লক প্রস্তুতকারকদের মধ্যে একটি হলো এই ইয়েল কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি অস্ট্রেলিয়া, গ্রিস, ভারত, কুয়েতসহ বিশ্বের ১২০টি দেশে পণ্য সরবরাহ করত। আমেরিকার কানেকটিকাটে ১৮৬৮ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।"

ছবি- মামুন হোসেনের সৌজন্যে

একটি ট্রফি সংগ্রহ করেছিলেন মামুন, যেটি ১৯৪৭ সালের। ময়মনসিংহের বোররচর মির্ধাপাড়া, বিদ্যাগঞ্জ হাইস্কুলের ট্রফি। ট্রফিতে মো. নূর হোসেন মিয়ার নাম লেখা, তিনি ছিলেন স্কুলটির প্রধানশিক্ষক। কাপড় শুকাতে দেওয়ার কাঠের ক্লিপও সংগ্রহে রেখেছেন মামুন। আছে পানি ধরে রাখার পাত্র। এর গায়ে সুন্দর ফুলেল নকশা। অজু বা পূজার কাজে ব্যবহার করা হতো এটি। ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরানো, ওজন ১ কেজি। এতসবের মধ্যেও তার চোখজুড়ানো সংগ্রহ সুরমাদানির। এই প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে আমরা সুদূর অতীত থেকে ঘুরে আসি একবার।

সুরমার প্রাচীনকাল

ছবি- মামুন হোসেনের সৌজন্যে

লিড সালফাইড নামের এক রকমের খনিজ থেকে আহরণ করা হয় সুরমা। আরবীতে একে বলা হয় 'কুহল'। চোখের বহু প্রাচীন প্রসাধনী এই সুরমা। এর ব্যবহার বেশি দেখা যায় মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া আর পশ্চিম আফ্রিকায়। মূলত নারীরা এটি বেশি ব্যবহার করলেও, পুরুষ আর শিশুদের মধ্যেও এর ব্যবহার দেখা যায়। ঐতিহ্য আর দেশভেদে এর ব্যবহারে ভিন্নতা দেখা যায়।

খ্রিস্টপূর্ব ৩১০০ অব্দেও যে মিসরীয়রা সুরমা ব্যবহার করত তার নজির পাওয়া গেছে। তখন বিশ্বাস করা হতো, সূর্যরশ্মির প্রখরতা থেকে চোখ বাঁচাতে সুরমা কার্যকর। 

ছবি- মামুন হোসেনের সৌজন্যে

প্রাচীন মিসরের রানী হাতশেপসুৎ সুরমার সঙ্গে সুগন্ধি যুক্ত করে চোখে লাগাতেন। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের মিসরীয় সুরমাদানি প্যারিসের লুভ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। মুসলিম পণ্ডিত ইবনে আবি শায়বা প্রাচীনকালে সুরমা ব্যবহারের কিছু তথ্য উদ্ধার করেছেন। তা থেকে জানা যায়, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্য প্রাচ্যের নারীরা মুখেও সুরমা লাগাতেন। ইয়েমেনে সুরমা ব্যবহারের ইতিহাসও প্রাচীন। জন্মদানের পরপরই অনেক নারী সন্তানের চোখে সুরমা পরিয়ে দিতেন। তাদের ধারণা ছিল, এতে সন্তানের চোখ শক্তিশালী হয়ে উঠবে, কেউ আবার বিশ্বাস করতেন শয়তান থেকে এটি সন্তানকে রক্ষা করবে। 

ভারতবর্ষে সুরমা

ভারতবর্ষের প্রায় সব জায়গাতেই সুরমা ব্যবহারের চল আছে। পাঞ্জাবী, সিলেটি এবং উর্দুতে একে সুরমা নামেই ডাকা হয়। গুজরাটে ডাকা হয় অন্জন নামে; বাংলা আর হিন্দিতে বলা হয় কাজল; তেলেগু ভাষায় বলে কাতুকা আর তামিলরা কান মাই বলে। 

ছবি- মামুন হোসেনের সৌজন্যে

কর্ণাটকের নারীরা সাধারণত ঘরেই কাজল তৈরি করেন। শিশুদেরও সেখানে কাজল পরানো হয়। এটা চোখ শীতল রাখে এবং সূর্যের তাপ থেকে চোখকে সুরক্ষা দেয় বলে ভাবে কর্ণাটকের মানুষ।

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে কাজলের সঙ্গে কর্পূর এবং আরো কিছু ওষুধি দ্রব্য মিশিয়ে ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে এটা কেবল প্রসাধনী নয়, সেসঙ্গে চোখের জন্য ওষুধও। উৎসবাদিতে চোখে সুরমা পরা পাঞ্জাবের পুরুষদের বহু পুরানো ঐতিহ্য। সাধারণত মায়েরা এটি পরিয়ে দিয়ে থাকেন। কুদৃষ্টি থেকে সন্তানদের বাঁচাতে অনেক মা সন্তানের কপালে গোল করে কাজল পরিয়ে রাখেন। শত শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ভারতনাট্যম এবং ওড়িশি নাচের নৃ্ত্যশিল্পীরা চোখের চারধারে পুরু করে কাজল টানেন যেন চোখের ওপর দর্শকদের নজর পড়ে থাকে। কারণ চোখ দিয়ে এসব নৃত্যের গুরুত্বপূর্ণ ভাব-অনুভব প্রকাশ করা হয়।

আছে হরেক রকমের সুরমাদানি 

ছবি- মামুন হোসেনের সৌজন্যে

প্রায় ২০০ সুরমাদানির ভাণ্ডার গড়ে তুলেছেন মামুন হোসেন। এরমধ্যে পকেট সুরমাদানি আছে ২০টির বেশি। বেশিরভাগই পিতলের তৈরি। পকেট সুরমাদানিগুলো আকারে ছোট হলেও নজর কাড়ে বেশি কারণ এগুলোর গড়ন যেমন ব্যতিক্রমী হয় আবার গায়ে দারুণ সব কারুকাজও থাকে। 

কয়েকটি আছে মাছ আকৃতির, রুই বা মৃগেল মাছের মতো। একটি দেখলাম রুপচাঁদার মতো। চ্যাপ্টা এক পায়া ভিতের ওপর দাঁড় করানো পেট মোটা সুরমাদানি দেখলাম বেশ কিছু। কোনো কোনোটার পেটের দিকটায় দুই থেকে তিনটি ধাপও আছে। সুরমাদানির অপরিহার্য অঙ্গ এর স্টিক বা দণ্ড। এগুলোর মাথার গড়ন হয় পাতার মতো।

ছবি- মামুন হোসেনের সৌজন্যে

  
একটি একহারা লম্বা সুরমাদানিও দেখলাম যার স্টিকের মাথা চাবির মাথার মতো। কোনো কোনো সুরমাদানির পেট ও পায়ায় রঙিন পাথর থেকে খুড়ে আনা পাতা, ফুল বসানো। পুঁতি দিয়ে সেগুলোর চাকচিক্য আরো বাড়ানো হয়েছে। গোটা তিনেক সুরমাদানি দেখলাম যেগুলো ৯-১২টি তলবিশিষ্ট। ত্রিভুজ আকৃতির খোপ এসব তল গড়তে সাহায্য করেছে। চারপায়া সুরমাদানিও দেখেছি কয়েকটি। এগুলোর পায়ার ওপর একটি মঞ্চ থাকে আর মঞ্চের মধ্যিখানে থাকে নাতিদীর্ঘ একটি স্তম্ভ, মূলত এর ওপরই গোলাকার খোল (যেখানে সুরমা রাখা হয়) তৈরি হয়। একটির খোল আবার তৈরি করা করা হয়েছে তারার মতো করে। কোনো কোনো সুরমাদানির খোলের একধারে মুহাম্মদ (স.) লেখা, অন্যধারে আয়না বসানো। 

তিনটি সুরমাদানির একটি সেট দেখলাম সেগুলো একই গড়নের কিন্তু একটি থেকে আরেকটি ছোট। একটির খোল এতই সুগোল যে চোখ সরাতে দেয় না, বৈচিত্র্য আছে এর পায়াতেও। প্রজাপতি গড়নের একটি সুরমাদানি দেখেও চমকে গেলাম। কয়েকটি আম আকৃতির সুরমাদানি আছে মামুনের কাছে। একটি সুরমাদানির গায়ে ঘড়ি লাগানো। কাটাও ছিল এককালে, কালের ধাক্কায় কাটা খুলে কোথায় পড়ে গেছে এখন আর হদিস পাওয়া সম্ভব নয়।

ছবি- মামুন হোসেনের সৌজন্যে

দেখছিলাম, আর অবাক হচ্ছিলাম এই ভেবে যে, এসব ছোট ছোট জিনিসগুলো কতই না বৈচিত্র্যপূর্ণ। মনে হচ্ছিল কারিগরদের ছিল শিল্পীমন। তারা প্রত্যেকবারই নতুন কিছু করতে চাইতেন। সুরমাদানি গড়া ছিল তাদের কাছে শিল্প গড়ার মতোই ব্যাপার।   

মামুন বললেন, "এগুলোর বেশিরভাগের গায়েই মেইড ইন পাকিস্তান বা মেইড ইন ইন্ডিয়া লেখা আছে। বয়স হবে ৭০ বা ৮০ বছর। আমার সংগ্রহের সবচেয়ে ছোট সুরমাদানির দৈর্ঘ্য সোয়া ইঞ্চি আর সবচেয়ে বড়টির দৈর্ঘ্য হবে ১০ ইঞ্চির মতো।" 

জিজ্ঞেস করলাম, আপনিই কি দেশের সবচেয়ে বড় সুরমাদানি সংগ্রাহক?

মামুন: এটা নিজের মুখে বলা শোভা পায় না। মুদ্রা, ডাকটিকিট বা গ্রামোফোন রেকর্ডের বড় বড় সংগ্রাহক আছেন আমাদের দেশে। তবে সুরমাদানিকে থিম করে সংগ্রহ আমিই প্রথম শুরু করেছিলাম। এখন চট্টগ্রামের একজন করছেন, অল্পদিনে বেশ এগিয়েও গেছেন। সংগ্রাহকদের খুব হুশিয়ার থাকতে হয়, কখন কোথায় কী আসে। অনেকের কাছে টাকা কোনো ব্যাপার না, জিনিসটা পাওয়াই বড় ব্যাপার। দেরি করলেই জিনিস হাতছাড়া হয়ে যায়।

ছবি- মামুন হোসেনের সৌজন্যে

কোনো জিনিস হাতছাড়া হওয়ায় আপনার মন খারাপ হয়েছিল?

মামুন: একবার একটা কুপি দেখি এক দোকানে। আমার পছন্দ হলো খুব। দাম চাইল ১৮০০ টাকা। আমি ভাবলাম দাম খুব বেশি চাইছে। কিছুক্ষণ দরাদরি করেও কোনো সুরাহা করতে পারলাম না। তারপর কাছেই একটা জায়গায় গিয়ে বসে থাকলাম কিছুক্ষণ। কিন্তু আমার মন কিছুতেই শান্ত হচ্ছিল না। কুপিটার জন্য অস্থির লাগছিল। শেষে আবার গিয়ে কিনে নিয়ে আসি।

পরিবার থেকে কেমন সহযোগিতা পান?

ছবি- মামুন হোসেনের সৌজন্যে

মামুন: আমার পরিবারকে বিশেষ করে স্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। তিনি আমার সংগ্রহ গুছিয়ে রাখেন। অনেক সময় পরামর্শ দেন কোনটা ভালো, কোনটা ভালো নয় এসব নিয়ে।

আপনার সংগ্রহের বিশেষ সুরমাদানি কোনটাকে বলবেন?

মামুন: দুটি সুরমাদানিকে আমি বিশেষ বলতে পারি, একটি পোড়ামাটির তৈরি অন্যটি রুপার। 

Related Topics

টপ নিউজ

সুরমা / সুরমাদানি / সংগ্রহশালা / অ্যান্টিক সংগ্রহ / প্রাচীন

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • আহমেদাবাদে মেডিক্যাল হোস্টেলের ওপর বিমান বিধ্বস্ত: নিহতের সংখ্যা দুই শতাধিক, ১ জনকে জীবিত উদ্ধার
  • ইরানের বাড়তি পারমাণবিক উপাদান সরিয়ে নিতে প্রস্তুত রাশিয়া
  • সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি জব্দ করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজি হননি কিয়ার স্টারমার: এফটি
  • ‘পুলিশ যেতে ভয় পেয়েছে’: মুজিবের বাড়ি ভাঙার সময় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্নে ইউনূস
  • দিল্লিতে দাবা টুর্নামেন্ট: রানী হামিদের সঙ্গীকে ঢুকতে দেয়নি ভারত, ঘটনায় ‘বিপর্যস্ত’ ৮০ বছর বয়সি এ দাবাড়ু

Related News

  • প্রাচীনতম সেলুন ট্রুফিট এন্ড হিল: যেভাবে বাকিংহাম প্যালেস থেকে গুলশানে
  • এক পিতার অদ্ভুত শখ, কন্যার জন্য সংগ্রহ করেন কুপিবাতি!
  • বই সংগ্রহই তাদের নেশা!
  • ইতিহাসের ধুলিমাখা পুরাকীর্তি ও সংগ্রাহকদের ঝলমলে দুনিয়া
  • বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পুরনো সংবাদপত্রের প্রিন্ট সংস্করণ

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

আহমেদাবাদে মেডিক্যাল হোস্টেলের ওপর বিমান বিধ্বস্ত: নিহতের সংখ্যা দুই শতাধিক, ১ জনকে জীবিত উদ্ধার

2
আন্তর্জাতিক

ইরানের বাড়তি পারমাণবিক উপাদান সরিয়ে নিতে প্রস্তুত রাশিয়া

3
বাংলাদেশ

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি জব্দ করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি

4
বাংলাদেশ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজি হননি কিয়ার স্টারমার: এফটি

5
বাংলাদেশ

‘পুলিশ যেতে ভয় পেয়েছে’: মুজিবের বাড়ি ভাঙার সময় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্নে ইউনূস

6
খেলা

দিল্লিতে দাবা টুর্নামেন্ট: রানী হামিদের সঙ্গীকে ঢুকতে দেয়নি ভারত, ঘটনায় ‘বিপর্যস্ত’ ৮০ বছর বয়সি এ দাবাড়ু

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net