ডি ব্রুইনা-হলান্ডে বিধ্বস্ত আর্সেনাল, সিটির হাতে নাটাই

শক্তিমত্তার হিসেবে পার্থক্যটা জানাই ছিলো। তবে কাগজে-কলমে গার্দিওলার দল এগিয়ে থাকলেও এই মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ভালোই লড়াই করছিলো আর্সেনাল। অবশেষে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিলো সিটি। আর্সেনালকে ৪-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ভাগ্য এখন নিজেদের হাতে নিয়েছে তারা।
ম্যাচের স্কোরলাইন দেখলে যেমনটা মনে হবে তার থেকেও বেশি আধিপত্য দেখিয়েছে সিটি। পুরো ম্যাচেই আর্সেনালকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছে গার্দিওলার দল। এই মৌসুমের দুর্দান্ত আর্সেনাল যেন অসহায় তাকিয়ে দেখল ডি ব্রুইনা-হলান্ডদের অসাধারণ ফুটবল।
ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই সিটি নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে থাকে। হাই প্রেসিং ফুটবলে আর্সেনালের নাভিশ্বাস তুলে দেন সিটির খেলোয়াড়েরা। ফলাফল পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। হাওয়ার ভেসে আসা বল দারুণ শক্তিমত্তা দেখিয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন হলান্ড, এরপর আলতো ছোঁয়ায় ডি ব্রুইনাকে এগিয়ে দেন গোলের দিকে। বক্সের বাইরে থেকে বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের শট মাটি কামড়ে ঢুকে যায় আর্সেনালের জালে।
এরপর একের পর এক হানা দিতে থাকে সিটি। কিন্তু কখনো আর্সেনাল গোলরক্ষক রামসডেল আবার কখনো ফিনিশিংয়ের ভুলে গোল বাড়াতে পারেনি সিটি। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগে ডি ব্রুইনার ফ্রি-কিক থেকে হেডে বল জালে পাঠিয়ে সিটিকে ২-০ তে এগিয়ে দেন স্টোনস।
বিরতির পরেও একই উদ্যমে খেলতে থাকে সিটি। দিন যেন গোল করার চেয়ে করানোর দিকেই বেশি মনোযোগী ছিলেন হলান্ড। ৫৪ মিনিটে ডি ব্রুইনার পরের গোলটাও হলো তারই পাস থেকে।
ম্যাচ কার্যত শেষ হয়ে যায় সেখানেই। এই ম্যাচে এরপর আর্সেনাল ঘুরে দাঁড়াবে, অবিশ্বাস্য কিছু করে জেতা তো দূরে থাক ড্র অন্তত করতে পারবে, এমনটা ভাবার কোনো কারণই ছিল না। গানারদের খেলায় সেই লক্ষণও ছিল না।
তবে একেবারে শেষদিকে সিটি কিছুটা গা ছাড়া হয়ে পড়ে, সেই সুযোগে আর্সেনালের হয়ে ব্যবধান কমান হোল্ডিং। ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে অনেক। বরং যার গোলের জন্য অপেক্ষা ছিলো, সেই হলান্ড যোগ হওয়া সময়ে পেয়ে যান নিজের পরম আরাধ্য গোলটি। লিগে এই মৌসুমে যেটা তার ৩৩তম গোল, সিটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলে ৪৯তম। প্রিমিয়ার লিগের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড এখন হলান্ডেরই।
এ হারের পরেও লিগের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষেই আছে আর্সেনাল, ৩৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭৫। সিটি ওদের ঠিক পেছনেই আছে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে, তবে পেপ গার্দিওলার দল ম্যাচ খেলেছে আর্সেনালের চেয়ে দুটি কম। লিগের ট্রফিতে সিটি এক হাত দিয়ে রেখেছে, এটা এখন সম্ভবত বলাই যায়।