আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে দুই উপদেষ্টা

ঢাকায় আন্দোলনরত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার পর রেলভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। এতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১১ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
এদিকে নিজেদের পক্ষে ফলাফল না আসা পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন শাহবাগ মোড়ে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।
আজ সকাল ১১টার দিকে প্রকৌশলের শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত 'লংমার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিন দফা দাবি আদায়ে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুর দেড়টার দিকে তাদের যমুনা অভিমুখে পদযাত্রায় বাধা দেয় পুলিশ।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়, ইট, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
আজ সকাল ১১টার দিকে প্রকৌশলের শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত 'লংমার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিন দফা দাবি আদায়ে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুর দেড়টার দিকে তাদের যমুনা অভিমুখে পদযাত্রায় বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়, ইট, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারী ব্যক্তিদের পেশাগত দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য আজ কমিটি গঠন করে সরকার। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সেই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেন।
তাদের দাবিগুলো হলো
১. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত ও ন্যাক্কারজনক হামলার জন্য আন্দোলনকারীদের সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে।
২. প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এর আগে গঠিত কমিটিকে আমরা আমাদের প্রতিনিধিত্বের অনুপযুক্ত মনে করি এবং প্রত্যাখ্যান করি। অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিসহ প্রকৌশল আন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে কমিটি সংস্কার করে পেশকৃত তিন দফা দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নিয়ে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং এ মর্মে সংশ্লিষ্ট তিন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে আজই এসে এর নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৩. হামলায় আহত সব শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে এবং এই আন্দোলন চলাকালে সব শিক্ষার্থীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ দিয়ে এই যৌক্তিক আন্দোলনে আর কোনো হামলা করা যাবে না।
৪. রোকন ভাইয়ের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
৫. শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে হামলার জন্য ডিসি মাসুদকে বহিষ্কার করতে হবে।