মাস্কের 'লাভ টুইট' ও কঙ্গনা: চলচ্চিত্রের মাফিয়ারা আমাকে জেলে পুরতে চায়!

অভিনয়ের বাইরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য আলোচিত বলিউডের তারকা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। দীর্ঘদিন পর টুইটারে ফিরে নিজের প্রেম নিয়ে মন্তব্য করে আবারও আলোচনায় তার নাম।
টুইটার সিইও এবং বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের এক টুইটের প্রেক্ষিতে কঙ্গনা এ মন্তব্য করেন। মাস্ক টুইটে লেখেন, "প্রেমে পড়ার বিষয়টি খুবই পীড়াদায়ক যখন আপনি বুঝতে পারেন যে, ভালোবাসার মানুষটি আসলে সিআইএ (মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা) এর হয়ে আপনার সাথে অভিনয় করছেন। এটি একজন ব্যক্তিকে জীবনের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারে এমনকি একটি দেশের সরকারকেও বিপদে ফেলতে পারে।"
মাস্কের এ টুইটের সাথে নিজের জীবনের মিল খুঁজে পাওয়ায় হয়তো তা রি-টুইট করেন কঙ্গনা! তিনি বলেন, "আমার মনে হয় না যে, আমার জীবনের চেয়ে বেশি নাটকীয়তা অন্য কারও জীবনে আছে। আশ্চর্যের ব্যাপার, একটা প্রেমের সম্পর্কের কারণে সিনে জগতের মাফিয়ারা আমাকে জেলে পাঠাতে চায়।"
কঙ্গনার এ মন্তব্য নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা। অনেক ভক্ত আবার কঙ্গনার এ রি-টুইটে মন্তব্যের ঘরে বলিউডের আরেক সুপারস্টার হৃতিক রোশনের নাম লিখতে থাকেন।
২০১৭ সালে হৃতিক ও কঙ্গনা পরস্পর বিতর্কে জড়ান। গুঞ্জন ওঠে যে, এ দুই তারকা প্যারিসে লুকিয়ে প্রেম করছেন। এমনকি কঙ্গনার পক্ষ থেকেও এমন দাবিই করা হয়।
এ ঘটনার দুই বছর পর নীরবতা ভেঙে কঙ্গনার দাবি উড়িয়ে দেন হৃতিক নিজেই। কঙ্গনার করা দাবিগুলোকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, "আমি সৃজনশীল ও গঠনমূলক কাজে বিশ্বাসী। আমার কাজের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয় এমন সকল বিষয়কেই অপ্রয়োজনীয় মনে করে আমি এড়িয়ে চলি।"
অবশেষে অবস্থা এতটাই বাজে হয় যে, 'কৃশ' সিনেমার এ দুই সহশিল্পী পরস্পরের বিরুদ্ধে মামলা করে বসেন। এ প্রসঙ্গে হৃতিক বলেন, "অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা নিয়ে আমি সাধারণত প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে বরং নিজের সম্মান নিয়ে চুপ থাকাকেই ঠিক মনে করি। কিন্তু অনেক সময় এই এড়িয়ে চলা নিজের বিপক্ষে কাজ করে। এই ঘটনার ক্ষেত্রে আমার সাথে তাই হয়েছে।"
অন্যদিকে বলিউডে দীর্ঘদিন ধরেই স্বজনপ্রিয়তার অভিযোগ তুলছেন কঙ্গনা। করণ জোহরের শো 'কফি উইথ করণ' এর একটি পর্বে কঙ্গনা জানান, বলিউডের সিনেমা নির্মাতারাই স্বজনপ্রীতির ধারক।