এস আলম গ্রুপের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ৪ শীর্ষ ব্যাংকার গ্রেপ্তার

বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং খাত নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণার অভিযোগে চার শীর্ষ ব্যাংকারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃত চারজনের মধ্যে ৩ জনই ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা।
ইসলামী ব্যাংকের মালিক এস আলম গ্রুপের এক কর্মকর্তার করা মামলায় চার ব্যাংকারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গুলশান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা হয় এ মামলা।
ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ইউনিটের এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার মনিরুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিবির দেওয়া তথ্যমতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সাঈদ উল্লাহ ও শহীদুলাহ মজুমদার, ইসলামী ব্যাংকের সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান এবং একই ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোশাররফ হোসেন। বর্তমানে মোশাররফ হোসেন সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চিফ রেমিট্যান্স অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ গণমাধ্যমকে জানায়, শীর্ষ এ চার ব্যাংকারকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিবি প্রধান আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত চার ব্যাংকারের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংক নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।
গণমাধ্যমকে ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ বলেন, "ইসলামী ব্যাংক একটি স্বনামধন্য ব্যাংক। কিছু ব্যাক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বাংলাদেশের ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক খাতে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে।"
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে যুক্ত।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, জামাত-শিবিরের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যাক্তি মিডিয়াকে ব্যবহার করে ইসলামী ব্যাংক ও এস আলম গ্রুপ সম্পর্কে গুজব ছড়াচ্ছেন। ইসলামী ব্যাংক ও এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে সেদিন মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করার তথ্য দিয়েছিল ডিবি।
গত ৮ জানুয়ারি ডিবির সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ঐ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: মোহাম্মদ নূর উন নবি, আফসার উদ্দিন রোমান, আবু সাইদ সাজু, মো. স্বাধীন মিয়া এবং মো. আব্দুস সালাম।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। এর ফলে তদন্তের শিকার হয় ব্যাংকটি।
প্রতিবেদনে উঠে আসে, এ পরিমাণ অর্থ ব্যাংকের এনটাইলমেন্টের চেয়েও বেশি। পুরো বিষয়টি তদন্তে ইসলামী ব্যাংকে একজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।