জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমের গ্রেপ্তার-কারাবাসে এইচআরএফবি’র নিন্দা

জুলাই অভ্যুত্থান-সংশ্লিষ্ট হত্যাচেষ্টা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক অধ্যাপক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।
আজ শনিবার (১ জুন) পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ৬৯ বছর বয়সী এই শিক্ষকের জামিন নামঞ্জুর ও কারাবন্দির ঘটনায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও হতাশ।
ফোরামটি দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা উল্লেখ করে জানায়, প্রবীণ নারী হিসেবে আনোয়ারা বেগমের বয়স ও সামাজিক মর্যাদা বিবেচনায় নিয়ে জামিন প্রশ্নে বিশেষ বিবেচনা প্রাপ্য ছিল।
বিবৃতিতে জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত ও যথাযথ বিচারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে এইচআরএফবি।
তবে সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে জানায়, শত শত মানুষকে একযোগে আসামি করে গ্রেপ্তার ও বিচার ছাড়াই কারাবাসে পাঠালে মামলার ন্যায়সঙ্গত প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।
ফোরামটির মতে, অপরাধের অভিযোগ থাকলে তা প্রচলিত আইনি প্রক্রিয়ায় তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু বিশেষ করে হত্যা মামলার মতো গুরুতর অভিযোগে নির্বিচারে গ্রেপ্তার বিচারপ্রক্রিয়ার পথেই বাধা সৃষ্টি করে।
সংগঠনটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার বিভাগকে আরও সতর্কতার সঙ্গে জুলাই অভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, কেবল প্রকৃতভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরই গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
উল্লেখ্য, আনোয়ারা বেগম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এবং আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য ছিলেন।
গত ২৮ মে জবি ক্যাম্পাসের কাছে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ঢাকার একটি আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সাবেক জবি ছাত্রদল নেতা সুজন মোল্লা সূত্রাপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় নাম উল্লেখ রয়েছে তার।