ওয়াহাব-তামিমে খুলনা টাইগার্সের প্রথম জয়

এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও খুলনা টাইগার্স যেন একই বিন্দুতে। দুই দলেরই পথচলা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। হারে শুরুর পর শুধু হেরেই যাচ্ছিল দল দুটি। চতুর্থ ম্যাচে গিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় কুমিল্লা। এরপরের দিন হারের বৃত্ত ভাঙলো খুলনা টাইগার্সও। ওয়াহাব রিয়াজের আগুনে বোলিংয়ের পর তামিম ইকবালের ব্যাটে প্রথম জয়ের দেখা পেল তারা।
প্রথম জয় তুলে নেওয়ার ম্যাচে রীতিমতো শাসন করেছে খুলনা। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে দলটি। চার ম্যাচে এক জয়ে দুই পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পাঁচ নম্বরে উঠেছে খুলনা। এই ম্যাচে হেরে যাওয়া রংপুর চার ম্যাচে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে।
টস হরে আগে ব্যাটিং করতে নামে রংপুর রাইডার্স। ম্যাচসেরা ওয়াহাব রিয়াজ, আমাদ ভাট, নাহিদুল ইসলামদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারেনি তারা। পারভেজ হোসেন ইমন ও শেখ মেহেদির ব্যাটে ২০ ওভারে ১০ উইকেটে ১২৯ রান তোলে রংপুর। দলটির মাত্র চারজন দুই অঙ্কের রান করেন। জবাবে তামিম ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে ১০ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় খুলনা।
ছোট লক্ষ্যে শুরুটা খারাপ হয়নি খুলনার। উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান যোগ করেন তামিম ও মুনিম শাহরিয়ার। ২১ বলে ৩টি চারে ২১ রান করে মুনিম আউট হওয়ার পর জয়ের সঙ্গে ৭৭ বলে ৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তামিম। আগের তিন ম্যাচে ৪৯ করা বাঁহাতি অভিজ্ঞ এই ওপেনার ৪৭ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ৪২ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন জয়। খুলনার যাওয়া একমাত্র উইকেটটি নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
এর আগে ব্যাটিং করা রংপুরের ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নেন ওয়াহাব, আমাদ, নাহিদুলরা। খুলনার দাপুটে বোলিংয়ের সামনে কেবল শেখ মেহেদি ও ইমন রানের দেখা পান। ৩৪ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৮ রান করেন শেখ মেহেদি। ২৪ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ২৫ রান করেন ইমন। এ ছাড়া নাঈম শেখ ১৩ ও রকিবুল হাসান ১২ রান করেন। বাকিদের কেউ ৯ রান পেরোতে পারেননি।
ম্যাচসেরা হওয়া ওয়াহাব একাই রংপুরের ব্যাটিং লাইন আপ ধসিয়ে দেন। পাকিস্তানের বাঁহাতি এই পেসার ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রানে ৪টি উইকেট নেন। পাকিস্তানের আরেক পেসার আমাদ ৩ ওভারে ১৬ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন। ৩ ওভারে ২৩ রানে ২টি উইকেট নেন নাহিদুল।