ইউক্রেনে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাতে পারি: ট্রাম্প

ইউক্রেনে দীর্ঘপাল্লার টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এটি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে 'নতুন এক আগ্রাসনের ধাপ' হিসেবে দেখা যেতে পারে। খবর বিবিসি'র।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি ইউক্রেনে টমাহক পাঠাবেন কি-না; জবাবে ট্রাম্প বলেন, 'দেখা যাক... আমি পাঠাতে পারি।'
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেনের টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের অনুরোধ নিয়ে তিনি সম্ভবত রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি বলেন, 'আমি হয়তো তাদের [রাশিয়াকে] বলব যে যদি যুদ্ধ সমাধান না হয়, আমরা করতে পারি, নাও পারি, কিন্তু সম্ভবত করব।'
তিনি আরও বলেন, 'টমাহক তাদের [রাশিয়ার] দিকে যাবে, সেটা তারা চায়? আমি মনে করি না।'
এর আগের দিনই ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে দ্বিতীয় ফোন কল হয়, যেখানে জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর জন্য শক্তিশালী সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।
টমাহকের পাল্লা প্রায় ২,৫০০ কিলোমিটার হওয়ায়, ইউক্রেন চাইলে রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানতে পারবে। মস্কো আগেই সতর্ক করে বলেছে, ওয়াশিংটন যদি কিয়েভকে দীর্ঘদূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র প্রদান করে, তবে তা সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে দেবে এবং যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
কিয়েভ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বহুবার দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছে, যাতে তারা রাশিয়ার এমন শহরে হামলা চালাতে পারে যা ফ্রন্টলাইন থেকে দূরে অবস্থিত। বিভিন্ন ফোনালাপে জেলেনস্কি ও ট্রাম্প ইউক্রেনের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়াস নিয়ে আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ও দীর্ঘপাল্লার অস্ত্র বৃদ্ধি।
ইউক্রেনের শহরগুলো, বিশেষ করে কিয়েভ, রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্য হয়েছে। রাশিয়া বিশেষভাবে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও শক্তি অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে বড় ধরনের বিদ্যুৎবিচ্ছিন্নতা দেখা দিয়েছে।
গত মাসে ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিথ কেলোগ ফক্স নিউজকে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশিয়ার গভীর এলাকায় হামলার অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো নিরাপদ এলাকা নেই।'
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন চালানোর পর বলেছিল, টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধের ফলাফল পরিবর্তন করতে পারবে না। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, 'টমাহক বা অন্য ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বদলাতে পারবে না।'