কাতারে ইসরায়েলি হামলার পর দোহায় জড়ো হচ্ছেন মুসলিম দেশের নেতারা

কাতারের রাজধানী দোহায় গত সপ্তাহে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছিল, সেই হামলার আনুষ্ঠানিক জবাব নিয়ে আলোচনার জন্য শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে শহরটিতে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর নেতারা। আগামীকাল সোমবার এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ বিন মোহাম্মদ আল-আনসারি কাতার নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, এই শীর্ষ সম্মেলনে দোহায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জাসেম আল থানি বলেছেন, কাতার এই হামলার জবাবে সম্মিলিত প্রতিক্রিয়ার জন্য কাজ করবে। কারণ, এই হামলা পুরো অঞ্চলকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।
উল্লেখ্য, গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও আঞ্চলিক ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে মধ্যস্থতাকারীরর ভূমিকা পালন করে আসছে কাতার।
সম্মেলনে কারা থাকছেন?
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্র ও আরব লীগভুক্ত ২২ দেশ এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও এ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। হামলার পর ইসরায়েল অবশ্য দাবি করে যে তাদের এ হামলার লক্ষ্য ছিলেন হামাস নেতারা। তাদের এই হামলা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দুই বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি প্রস্তাব নিয়ে দোহায় হামাস নেতারা যখন আলোচনা করছিলেন, ঠিক তখন এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
অথচ হামলার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সার দাবি করেছিলেন, ইসরায়েল ট্রাম্পের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। এ প্রস্তাবের অধীনে হামাসের হাতে জিম্মি ৪৮ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময়ে ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
দোহায় ওই হামলায় হামাসের পাঁচ সদস্য ও কাতারের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। তবে ইসরায়েল যে উদ্দেশে হামলা চালিয়েছিল, সেটি ব্যর্থ হয়েছে। অর্থাৎ, ইসরায়েল যাদের লক্ষ্যবস্তু করেছিল, তারা সুরক্ষিত আছেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গত বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতভাবে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
এদিকে আজ যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা ও মন্ত্রীরা দোহায় আসছেন, ঠিক তখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ইসরায়েল সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তারা পশ্চিম তীরের বড় অংশ দখলের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।