চীনে মোদির সঙ্গে ‘লিমু-কূটনীতি’তে পুতিন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কা শীর্ষ সম্মেলনের মাত্র দুই সপ্তাহ পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আবারও তার লিমুজিনের পেছনের সিটে বসে কূটনীতিতে মেতে উঠেছেন। এবার তার সঙ্গী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
রাশিয়ায় তৈরি বিলাসবহুল 'অরাস' ব্র্যান্ডের বুলেটপ্রুফ লিমুজিন গাড়িতে ঘুরতে ঘুরতে বৈঠক করেন পুতিন ও মোদি। প্রায় ১৫ মিনিটের ছোট এ সফরে তারা বৈঠকস্থলে পৌঁছান। তবে এর পর আরও ৪৫ মিনিট গাড়ির ভেতরেই অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চালান বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
অবশ্য একারণে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজকরা নির্ধারিত সময়সূচী পরিবর্তনে বাধ্য হন।
বিশ্ব নেতাদের এমন 'লিমুজিন ভ্রমণে' আমন্ত্রণ জানিয়ে পুতিন একদিকে যেমন নিজের দেশে তৈরি বিলাসবহুল গাড়িকে তুলে ধরেন, তেমনি এটিকে কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করেন।
এর আগেও পুতিন তার লিমুজিনে বিভিন্ন দেশের নেতাকে চড়িয়েছেন। যেমন, ২০২৪ সালে উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন, গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং ২০১৮ সালে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল-ফাত্তাহ আল-সিসি পুতিনের গাড়িতে ভ্রমণ করেন।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে আয়োজিত তিয়ানজিনে এসসিও সম্মেলনের সাইডলাইনে পুতিন-মোদির এমন লিমুজিন ভ্রমণকে তাই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
কারণ চীন নিজ দেশের বিলাসবহুল গাড়ি 'হংকি' লিমুজিন নিয়েও বেশ গর্বিত। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত চীনা ভাষায় এ ব্র্যান্ডের অর্থ 'লাল পতাকা'। এটি আধুনিক চীনের জন্ম দেওয়া কমিউনিস্ট বিপ্লবের প্রতি ইঙ্গিত করে।
আমেরিকান ক্রাইসলার ইম্পেরিয়াল সি৬৯ মডেল অবলম্বনে তৈরি হংকি প্রথমদিকে শুধু উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্যই বরাদ্দ ছিল। চীনা প্রেসিডেন্ট শি ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়ার সময় পেট্রোলচালিত বুলেটপ্রুফ এন৭০১ লিমুজিনে সফর করেন। সেই গাড়ি দেখে স্বয়ং বাইডেনও বলেছিলেন, 'অসাধারণ সুন্দর!'