Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
July 08, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, JULY 08, 2025
আরাকান আর্মিকে ঠেকাতে রাখাইনের ঘাঁটিগুলোতে মিয়ানমার জান্তার খাদ্য সরবরাহ বন্ধ

আন্তর্জাতিক

দ্য ইরাবতী
08 July, 2025, 10:15 am
Last modified: 08 July, 2025, 10:16 am

Related News

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে ফের মাইন বিস্ফোরণে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
  • ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদন: আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধে কক্সবাজার আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গারা
  • রাখাইনে মানবিক সহায়তা প্রদান নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর দিল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
  • রাখাইন করিডোর ইস্যুতে দুপুর ২টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান
  • সীমান্ত বাংলাদেশকে ম্যানেজ করতে হবে: আরাকান আর্মির প্রসঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

আরাকান আর্মিকে ঠেকাতে রাখাইনের ঘাঁটিগুলোতে মিয়ানমার জান্তার খাদ্য সরবরাহ বন্ধ

কিয়াউকফিউয়ের এক বাসিন্দা বলেন, ‘সামরিক বাহিনী তাদের জাহাজ থেকে মালপত্র নামিয়ে মজুত করছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য কোনো সরবরাহ ছাড়ছে না।’
দ্য ইরাবতী
08 July, 2025, 10:15 am
Last modified: 08 July, 2025, 10:16 am
কিয়াউকফিউ শহরে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সাইট। ছবি: ইরাবতী

মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যের কিয়াউকফিউ শহরে জান্তা বাহিনী ও জাতিগত আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের কারণে খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে।

চালের দাম প্রতি ৫০ কেজির বস্তার দাম প্রায় ৫ লাখ কিয়াত (প্রায় ১১০ মার্কিন ডলার) পর্যন্ত পৌঁছেছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে সামরিক সরকার শহরটিকে অবরোধ করে, ফলে কেবল সেনাবাহিনী অনুমোদিত কার্গো জাহাজগুলোই বাইরে থেকে চাল, খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি আনার অনুমতি পায়। তাই শহরের মানুষ পুরোপুরি এই সীমিত জাহাজগুলোর ওপরই তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য নির্ভর করছে।

কিন্তু লড়াই শহরের আরও কাছে চলে আসায় কার্গো জাহাজগুলো আসা বন্ধ হয়ে গেছে।

এর ফলে স্থানীয়রা প্রায় এক মাস ধরে চালের ঘাটতি ও মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে লড়াই করছেন। ইয়াঙ্গুন থেকে আসা উন্নতমানের চালের দাম প্রতি বস্তা প্রায় ২ লাখ কিয়াত থেকে বেড়ে ৪ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৫ লাখ কিয়াতে এসে দাড়িয়েছে। নিম্নমানের চালের দামও এখন প্রতি বস্তা প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার কিয়াত।

অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও বেড়ে গেছে — এখন এক লিটার ভোজ্যতেলের দাম প্রায় ২০ হাজার কিয়াত, একটি ডিমের দাম ১,৮০০ কিয়াত এবং ১ ভিস (প্রায় ১.৬ কেজি) পেঁয়াজের দাম ১০ হাজার কিয়াতের বেশি।

'চাল একেবারেই অপ্রতুল — কিনতেই পারছেন না,' বলেন কিয়াউকফিউয়ের এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, 'যা সামান্য আছে, তা মানুষ খুব হিসাব করে খাচ্ছে। দিনমজুররা আর চাল কিনতে পারছে না, কারণ দামের ঊর্ধ্বগতি সবকিছুইকেই হাতের নাগালের বাইরে নিয়ে গেছে। গ্রাম থেকে কোনো চাল আসছে না, আর সামরিক কার্গো জাহাজও অনেক দিন ধরে আসছে না।'

কিছু নিম্ন আয়ের মানুষ ও দিনমজুর খারাপ মানের বা ভাঙা চাল দিয়ে তৈরি পাতলা খিচুড়ি খেয়ে কোনোভাবে বাঁচছেন।

এক স্থানীয় নারী বলেন, 'কিছু মানুষ এখনো কোনোভাবে চাল কিনে খেতে পারছে, কিন্তু অনেকেই না খেয়ে থাকছে। সবাই সাশ্রয় করছে — কেউ খিচুড়ি খাচ্ছে, কেউ দিনে এক বেলাই খাচ্ছে, আবার কেউ কেউ প্রতিবেশীর কাছ থেকে চাল চেয়ে নিয়ে কোনোভাবে চলছে।'

সামরিক সূত্রগুলো জানিয়েছে যে জান্তা বাহিনী মাসের পর মাস ধরে চাল ও খাদ্যপণ্য মজুত করছে তাদের নিজস্ব ঘাঁটির জন্য, এর মধ্যে দানিয়াবাদি নৌঘাঁটিও রয়েছে।

কিয়াউকফিউয়ের আরেক বাসিন্দা বলেন, 'সামরিক বাহিনী তাদের জাহাজ থেকে মালপত্র নামিয়ে মজুত করছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য কোনো সরবরাহ ছাড়ছে না। তারা কয়েক সপ্তাহ পরপর মাত্র একটি জাহাজ আনছে। এ কারণে জিনিসপত্রের অভাব হচ্ছে আর দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গেছে।'

সিত্ত্যেও, যা একইভাবে অবরোধের মধ্যে রয়েছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। সেখানে চালের দাম প্রতি বস্তা প্রায় ২ লাখ কিয়াত থেকে বেড়ে ২ লাখ ৫০ হাজার কিয়াত হয়েছে। লাকড়ি, কয়লা, মাংস ও মাছের দামও আকাশছোঁয়া হয়েছে।

এক বস্তা কয়লার দাম আগে প্রায় ১০ হাজার কিয়াত ছিল, এখন তা প্রায় ৫০ হাজার কিয়াত হয়েছে। মাংসের দাম প্রতি ভিস (১.৬ কেজি) প্রায় ৭০ হাজার কিয়াত, আর মাছের দাম প্রতি ভিস ১ লাখ কিয়াত পর্যন্ত উঠেছে বলে জানান শহরে আটকে পড়া বাসিন্দারা।

সিত্ত্যেতে একটি শরণার্থী ক্যাম্পে চার সদস্যের পরিবারের সঙ্গে আশ্রয় নেওয়া এক গৃহহীন নারী বলেন, 'রান্নার জন্য শুধু কয়লা কিনতেই দিনে প্রায় ৪ হাজার কিয়াত খরচ হচ্ছে।'

স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, এর বিপরীতে আরাকান আর্মির (এএ) নিয়ন্ত্রণাধীন শহর ও গ্রামগুলোতে কৃষকরা এখনও ফসল ফলাতে পারছেন, আর চাল স্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে।

তবে নতুন করে লড়াই শুরু হওয়ার পর, ২০২৩ সালের শেষের দিকে, সামরিক সরকার রাখাইন রাজ্যকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত সব বাণিজ্যিক পথ বন্ধ করে দেয়।

এরপর যখন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা দখলে নেয়, তখন কিছু সীমান্ত বাণিজ্য পথ আবার খুলে যায় ভারতের সঙ্গে এবং বাংলাদেশের সঙ্গেও। এর ফলে স্থানীয়দের উপর আর্থিক চাপ কিছুটা হলেও কমেছে।

যদিও সিত্ত্যে ও কিয়াউকফিউয়ের বহু বাসিন্দা নিরাপদ স্থানে পালিয়ে গেছেন, তবুও প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ এখনও সেখানে রয়ে গেছেন। এখন তারা আর আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত নিরাপদ অঞ্চলে যেতে পারছেন না — তাদের একমাত্র উপায় হলো আকাশপথে ইয়াঙ্গুন যাওয়া, কিন্তু সেখানে টিকিট বিক্রিও সামরিক সরকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।

জান্তা শহরের সব প্রবেশ ও প্রস্থান পথ এবং বন্দরগুলোতে চেকপয়েন্ট বসিয়েছে এবং মাঝখানে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রেখেছে, যা বহু মানুষের মৃত্যু বা আহত হওয়ার কারণ হয়েছে।

সূত্রগুলো জানায়, সিত্ত্যে ও কিয়াউকফিউয়ে কর্মরত সরকারি কর্মচারীরাও ইয়াঙ্গুনে যেতে পারছেন না — তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সেখানেই দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।

জান্তা বাহিনী সিত্ত্যের আশেপাশের গ্রামাঞ্চলের মানুষদের জোর করে শহরে স্থানান্তর করেছে — যা রাখাইন সম্প্রদায় ও মানবাধিকার কর্মীরা কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, এটি সাধারণ মানুষকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করার কৌশল। বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার মানুষ শহরে আটকে আছেন, যারা প্রায়ই আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বা মঠে আশ্রয় নিচ্ছেন।

২০২৪ সালে যে বাইয়ান ফিউ গ্রামে সামরিক বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছিল, সেখান থেকে জোরপূর্বক স্থানান্তরিত এক নারী বলেন, 'আমরা গ্রামে পালিয়ে যেতে চাই, সেখানে অন্তত কিছু কাজের সুযোগ আছে। কিন্তু এখন শহরে আটকে আছি — কাজ নেই, আয় নেই, অথচ সবকিছুর দাম বাড়ছেই।' তিনি আরও বলেন, 'এখানকার বেশিরভাগ মানুষ না খেয়ে আছে। আমরা যুদ্ধের চেয়ে না খেয়ে মরার ভয়েই বেশি আতঙ্কিত।'

মানবাধিকার কর্মীরা জান্তার এই জোরপূর্বক স্থানান্তরকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে নিন্দা করেছেন।

আরাকান হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স অ্যান্ড প্রোমোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক উ মিয়াত তুন বলেন, 'শাসকগোষ্ঠীর কোনো প্রাণহানির প্রতি কোনো গুরুত্বই নেই। সিত্ত্যে ও কিয়াউকফিউয়ে আটকে পড়া মানুষজন পালাতে পারছে না। তাদের মানবঢালের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন।'

তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে কিয়াউকফিউয়ে প্রতিদিন অভিযান ও ধরপাকড় চালাচ্ছে সামরিক সরকার, আর গত এক মাসেই অন্তত চারজন সাধারণ মানুষকে আটক করা হয়েছে।

এখন আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের ১৪টি টাউনশিপ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং বাকি তিনটি — সিত্ত্যে, কিয়াউকফিউ এবং ম্রাউকউ — এর দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

Related Topics

টপ নিউজ

মিয়ানমার / রাখাইন রাজ্য / আরাকান আর্মি / সামরিক জান্তা / চাল মজুত / খাদ্যের দাম / খাদ্য সংকট

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • আগামী নির্বাচনে বিএনপি ৩৯%, জামায়াত ২১%, এনসিপি ১৬% ভোট পাবে মনে করে তরুণরা: সানেম জরিপ
  • বর্ষায়ও পাতে উঠছে না ইলিশ, নেপথ্যে ঠিক কী কারণ?
  • কবে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসতে পারে; ৫ বছরের মধ্যে- ১১.৬%, কখনো না- ২২.৮%
  • ট্রাম্পের শুল্ক নীতির অনিশ্চয়তায় যেভাবে বদলে যেতে পারে এশিয়ার ব্যবসা পরিস্থিতি
  • নদী দখল ও দূষণকারী কারখানা পেল 'গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড'
  • ব্রিকসের পক্ষ নিলেই বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

Related News

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে ফের মাইন বিস্ফোরণে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
  • ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদন: আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধে কক্সবাজার আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গারা
  • রাখাইনে মানবিক সহায়তা প্রদান নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর দিল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
  • রাখাইন করিডোর ইস্যুতে দুপুর ২টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান
  • সীমান্ত বাংলাদেশকে ম্যানেজ করতে হবে: আরাকান আর্মির প্রসঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

Most Read

1
বাংলাদেশ

আগামী নির্বাচনে বিএনপি ৩৯%, জামায়াত ২১%, এনসিপি ১৬% ভোট পাবে মনে করে তরুণরা: সানেম জরিপ

2
বাংলাদেশ

বর্ষায়ও পাতে উঠছে না ইলিশ, নেপথ্যে ঠিক কী কারণ?

3
বাংলাদেশ

কবে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসতে পারে; ৫ বছরের মধ্যে- ১১.৬%, কখনো না- ২২.৮%

4
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের শুল্ক নীতির অনিশ্চয়তায় যেভাবে বদলে যেতে পারে এশিয়ার ব্যবসা পরিস্থিতি

5
বাংলাদেশ

নদী দখল ও দূষণকারী কারখানা পেল 'গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড'

6
আন্তর্জাতিক

ব্রিকসের পক্ষ নিলেই বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net