কয়েক দশকে ভারতে যত প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনা
আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১ নম্বরের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আরোহীদের কেউই বেঁচে নেই বলে ধারণা করছে পুলিশ। এও আশঙ্কা করা হচ্ছে, যে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের ওপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখানেও নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরপরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এটি যুক্তরাজ্যের গেটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে গুজরাটের মেঘানিনগর আবাসিক এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া নগর পুলিশের কমিশনার জিএস মালিকের উদ্ধৃতি দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমানটি একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। সেখানে কিছু অফিসও রয়েছে। তাই হতাহতের সংখ্যাও বেশি।'
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে ঘটে যাওয়া কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিমান দুর্ঘটনা:
আগস্ট, ২০২০
কোঝিকোড়ে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে সামনের দিক দিয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় ২১ জন মারা যান।
মে, ২০১০
দুবাই থেকে মাঙ্গালুরুগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান রানওয়ে ছাড়িয়ে গিরিখাতে পড়ে যায়, এতে ১৫৮ জন যাত্রী নিহত হন।
জুলাই, ২০০০
কলকাতা থেকে দিল্লিগামী অ্যালায়েন্স এয়ারের একটি ফ্লাইট পাটনায় আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হলে ৫০ জনেরও বেশি প্রাণ হারান।
এপ্রিল, ১৯৯৩
ঔরঙ্গাবাদে উড্ডয়নের সময় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৫৫ জন নিহত হন।
আগস্ট, ১৯৯১
কলকাতা থেকে আসা ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ইম্ফলের কাছে বিধ্বস্ত হলে বিমানে থাকা ৬৯ আরোহীর সবাই মারা যান।
অক্টোবর, ১৯৮৮
মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদগামী একটি বিমান অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে ১৩০ জনের বেশি নিহত হন।
জানুয়ারি, ১৯৭৮
এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের পর পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারালে বিমানটি ভারতের অর্থনৈতিক কেন্দ্র মুম্বাই উপকূলের আরব সাগরে পড়ে যায় এবং বিমানের ২১৩ আরোহীর সবাই প্রাণ হারান।
