বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেব: হাসনাত
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, 'যারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, নির্বাচন বানচাল করতে চায়, ওসমান হাদিকে হামলায় জড়িত, এমনকি সীমান্তে বাংলাদেশি ভাই–বোনদের ঝুলিয়ে রাখছে, তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ভারত।'
তিনি বলেন, 'ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই, যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, সম্ভাবনা, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এ দেশের সন্তানদের ওপর আস্থা রাখে না, আপনারা যেহেতু তাদের আশ্রয়–প্রশ্রয় দিচ্ছেন, আমরাও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব।'
ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও শকুনদের হাত থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। আবারও শকুনেরা বাংলাদেশের মানচিত্রে থাবা বসানোর চেষ্টা করছে।' ভারত বাংলাদেশকে আরেকটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, 'শেখ হাসিনা ও তার পৃষ্ঠপোষকেরা অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মানুষ দাঁড় করাচ্ছে। ক্ষমতা, গদি ও মন্ত্রণালয়ের লোভে যারা দিল্লিকে কেবলা বানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা তৃতীয়বারের মতো বিক্রি করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।'
নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'বর্তমান নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন। একজন ইলেকশন কমিশনার ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। এটি অমানবিক।'
তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'কোনো প্রেসক্রিপশনে ইলেকশন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়? যোগ্য ইলেকশন কমিশনারের অভাব হবে না। শাহবাগ থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত বহু যোগ্য মানুষ পাওয়া যাবে।'
বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন নিয়েও কথা বলেন এনসিপির এই নেতা। বলেন, ''এখনও এক শ্রেণির আওয়ামী লীগ শিক্ষক পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কার্যক্রম চালাচ্ছে। টকশোর নামে টেলিভিশনে হত্যার বৈধতা উৎপাদন করা হচ্ছে। নাটক ও সিনেমার মাধ্যমে সংগ্রামী মানুষের মৃত্যুকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নীল দলের আওয়ামী 'পা-চাটা' শিক্ষকদের ধরে ধরে বের করে দিতে হবে। একইভাবে নাটক–সিনেমা থেকে আওয়ামী ও মুজিবপন্থী শিল্পীদের স্টেজ থেকে নামিয়ে বাড়িতে পাঠাতে হবে।''
