‘প্র্যাঙ্ক’-এর নামে সহকর্মীর প্যান্ট টেনে নামানোয় দক্ষিণ কোরিয়ায় নারীর জরিমানা

দক্ষিণ কোরিয়ার এক আদালত যৌন হয়রানির অভিযোগে এক নারীকে প্রায় ২ হাজার ১০০ ডলারের জরিমানা করেছে। ওই নারী সহকর্মীর প্যান্টসহ ভুলবশত অন্তর্বাসও খুলে দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
জরিমানার পাশাপাশি তাকে আট ঘণ্টার যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে গত বছরের অক্টোবরে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গাংওন প্রদেশের একটি রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে। অভিযুক্ত নারীর বয়স ৫০-এর কোঠায়, ভুক্তভোগী সহকর্মী তখন বিশের কোঠায় ছিলেন।
চুনচন জেলা আদালত শনিবার রায়ে জানায়, অভিযুক্ত নারী দাবি করেছিলেন—ঘটনাটি নিছক মজার ছলে করা একটি প্র্যাঙ্ক। তবে আদালত সেটি নাকচ করে জানায়, এ ধরনের কাজ 'প্র্যাঙ্ক' নয়, এটি যৌন হয়রানির আওতায় পড়ে।
রায়ে আরও বলা হয়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আগের কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই এবং তিনি ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে অনুতপ্ত বলে আদালত তা শাস্তি নির্ধারণে বিবেচনায় নিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সহকর্মীর প্যান্ট টেনে নামানো—যা 'প্যান্টসিং' বা 'ডিব্যাগিং' নামে পরিচিত—কখনও কখনও মজার ছলে করা হলেও, এটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেকেই একে অপমানজনক ও নিপীড়নমূলক আচরণ হিসেবে দেখেন।
২০১৯ সালে অলিম্পিক স্বর্ণপদকজয়ী শর্ট ট্র্যাক স্কেটার লিম হিউ-জুন এক পুরুষ সতীর্থের প্যান্ট খুলে দেওয়ায় এক বছরের জন্য বরখাস্ত হন। ২০২১ সালে উত্তর জিওল্লা প্রদেশে একদল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছোট এক শিশুর প্যান্ট টেনে নামালে, সেটিও পুলিশের তদন্তের আওতায় আসে।
তবে, এই ঘটনাটি নিয়ে অনলাইনে মতভেদও দেখা গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, 'এটা তো নিছক এক প্র্যাঙ্ক ছিল, শাস্তিটা বেশি হয়ে গেছে।' তবে আরেকজন লিখেছেন, 'এ ধরনের কাজ কি প্র্যাঙ্ক বলা যায়? শাস্তিটা একেবারে যথাযথ হয়েছে।'