ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ফুটবলে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল (৪ জুন) ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। আগামী ৯ জুন থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।
ট্রাম্প আরও সাতটি দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। দেশগুলো হলো বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা। তবে এসব দেশের নাগরিকদের জন্য কিছু 'সাময়িক কাজের ভিসা' দেওয়া হবে।
এই নিষেধাজ্ঞা ফুটবল বিশ্বে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, কারণ আগামী ১৩ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বড় ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে: ১৪ জুন থেকে শুরু হওয়া ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ এবং ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ, যা কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করছে।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে ইরান, সুদান ও ভেনেজুয়েলার খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।
তবে, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে উল্লেখ রয়েছে যে, বিশ্বকাপ, অলিম্পিক বা পররাষ্ট্র সচিব কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য বড় ক্রীড়া ইভেন্টের জন্য অ্যাথলেট, কোচ, সহায়ক কর্মী এবং তাদের নিকট আত্মীয়দের ভ্রমণে ছাড় দেওয়া হবে।
২০২৫ সালের ১৪ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য কনকাকাফ গোল্ড কাপে হাইতি অংশগ্রহণ করবে।
তবে, এই টুর্নামেন্ট ট্রাম্পের আদেশে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না থাকায়; হাইতির খেলোয়াড় ও সমর্থকদের ভিসা পাওয়া অনিশ্চিত।
মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিওর সিদ্ধান্তের ওপর এটি নির্ভর করবে।
নিষেধাজ্ঞার ফলে; খেলোয়াড়দের নিকট আত্মীয় ছাড়া অন্যান্য সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। বিশেষ করে হাইতি, ইরান ও ভেনেজুয়েলার সমর্থকদের জন্য এটি একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
ট্রাম্প প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞার পেছনে জাতীয় নিরাপত্তা ও ভিসা ওভারস্টে সমস্যা উল্লেখ করেছে।
তবে, সমালোচকরা এটিকে বৈষম্যমূলক ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অমানবিক বলে অভিহিত করেছেন।
ফিফা ও কনকাকাফ এখন এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেবে, তা দেখার বিষয়।
বিশ্বকাপ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।