‘যুক্তরাজ্যে আসবেন না’; চাকরি না পেয়ে আমার ৯০% সহপাঠী ফিরে গেছেন: যুক্তরাজ্যপ্রবাসী নারী

যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত এক ভারতীয় নারী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে মাস্টার্স করতে না আসার পরামর্শ দিয়েছেন।
কারণ হিসেবে তিনি দাবি করেন, পড়াশোনা শেষে সেখানে (যুক্তরাজ্যে) চাকরি পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।
এই নারী নিজে ভারতে স্নাতক শেষ করে যুক্তরাজ্যে মাস্টার্স করতে গিয়েছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে তিনি সেখানে একটি চাকরি পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি একজন মার্কেটিং পেশাজীবী।
তবে তিনি জানিয়েছেন, তিনি সৌভাগ্যবানদের একজন, কারণ তার ব্যাচের প্রায় ৯০% সহপাঠীই কোনো চাকরি না পেয়ে দেশে ফিরে গেছেন।
তিনি বলেন, 'যারা মনে করেন ইউকে-তে মাস্টার্স করে সহজেই সেটেল হওয়া যাবে বা চাকরি পাওয়া যাবে — বাস্তবতা তার চেয়ে অনেক কঠিন।'
গত ১১ মে এক্সে (আগের নাম টুইটার)- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, তার ব্যাচের ৯০% সহপাঠী চাকরি না পেয়ে দেশে ফিরে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যে চাকরি পাওয়ার চ্যালেঞ্জ এবং দেশটির ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রণমূলক অভিবাসন নীতি এর জন্য দায়ী।
'কোনো চাকরি নেই'
এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, 'অনেকেই আমাকে বারবার ম্যাসেজ করেন যুক্তরাজ্যে মাস্টার্স করতে আসার ব্যাপারে, আমি তাদের এখানে আসতে না করব। আমার ব্যাচের ৯০% মানুষ চাকরি না পেয়ে দেশে ফিরে গিয়েছে। যদি আপনার টাকা নষ্ট করার ইচ্ছা না থাকে, তাহলে এ চিন্তা বাদ দিন।'
কমেন্ট সেকশনে তিনি দাবি করেছেন, আগে পরিস্থিতি অনেক ভালো ছিল, তখন ৬০-৭০% আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী চাকরি পেতেন।
তিনি এক কমেন্টের জবাবে লিখেছেন, তিনি এক কমেন্টের জবাবে লিখেছেন, 'আগের পরিস্থিতি এত খারাপ ছিল না।'
আরেকজন তার কাছে জিজ্ঞেস করেন: 'চাকরির ক্ষেত্রভেদে অবস্থা তো ভিন্ন হয়, তাই না? চিকিৎসা ও আর্থিক খাতে চাকরির অবস্থা তো ভালোই।'
জবাবে তিনি জানান, আর্থিক খাতেও চাকরির সুযোগ খুব কম।
তিনি লিখেছেন: 'আমি মেডিসিন ফিল্ডের লোকজনকে চিনি না, তবে ফাইন্যান্সেও চাকরি মিলছে না।'
অনেকেই তার পোস্টে মন্তব্য করে তাকে খোলাখুলি ও বাস্তবমুখী মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
একজন লেখেন: 'সত্যটা এভাবে স্পষ্টভাবে বলার জন্য ধন্যবাদ — এতে করে ঝুঁকি নেওয়ার আগে ভালোভাবে ভাবা যায়।'