পাকিস্তানে ভারতের হামলা: পাকিস্তানের পাশে তুরস্ক, শান্ত থাকার আহ্বান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে 'অপারেশন সিন্দুর' ঘোষণা করেছে ভারত। গত মাসে কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান চালায় দেশটি।
চলমান ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে তুরস্ক।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে জানায়, 'দুই পক্ষই আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে গভীরভাবে আলোচনা করে সমন্বয় ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।'
পেহেলগাম হামলার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান দুই দেশকে উত্তেজনা কমাতে আহ্বান জানান। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরকালে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, কাশ্মীর ইস্যুটি জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। তিনি এসময় কাশ্মীরের জনগণের আকাঙ্ক্ষাও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন।
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হলেও ভারতের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক জটিল।
২০২৪ সালে ভারতে সব ধরনের অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত সামগ্রী রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তুরস্ক। এর ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। এছাড়া ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোরে (আইএমইসি) ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে তুরস্ক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ একে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে কৌশলগত স্বার্থের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছে তুরস্ক।
এদিকে চীন, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারত-পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনায়ি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চীন দুই পক্ষকেই বৃহত্তর শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে শান্ত, সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে এবং এমন কোনো পদক্ষেপ না নেয় যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, তারা ভারত-পাকিস্তানের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ পরিস্থিতিকে 'লজ্জাজনক' বলে অভিহিত করেছেন। এছাড়া ইসরায়েল, রাশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও একইভাবে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে এমন পদক্ষেপ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।