লঞ্চে প্রকাশ্যে নারীদের মারধর করা সেই যুবক গ্রেপ্তার

মুন্সীগঞ্জ সদরের লঞ্চঘাটে অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই নারী যাত্রীকে প্রকাশ্যে মারধর করা যুবক নেহাল আহমেদ জিহাদকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তার বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় অনুতাপ জানিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন ওই যুবক।
আজ শনিবার (১০ মে) দুপুর দেড়টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশের একটি টিম ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী হুমায়ুন রশিদ জানান, "এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।"
এর আগে, শুক্রবার (৯ মে) রাতে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতি করা ঢাকা-লালমোহন রুটে চলাচলকারী এমভি ক্যাপ্টেন নামের লঞ্চের কেবিনে থাকা কয়েকজন নারী যাত্রীকে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়। এ সময় সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করেন উপস্থিত ৫০-৬০ জন।
ঘটনাস্থলে ছিলেন এমন একজন সাংবাদিক জানান, "লঞ্চটি ঢাকা-লালমোহন রুটের প্রায় ৩০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলো। লঞ্চটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার বেশ কয়েকটি কেবিনে ২০-২৫ জন কিশোর-যুবক ও ২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী ছিলেন। তারা ঢাকা থেকে ওই লঞ্চের কেবিন ভাড়া করে সারাদিন পিকনিক করে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন।"
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা রঙের পোশাক পরা আনুমানিক ১৫-১৭ বছর বয়সী এক নারীকে লঞ্চের একেবারে সামনের অংশে উঠিয়ে বেল্ট দিয়ে বেপরোয়াভাবে পেটাচ্ছেন মুন্সীগঞ্জ শহরের নেহাল আহমেদ জিহাদ নামের একজন। এসময় ৫০-৬০ জন বিভিন্ন বয়সী পুরুষ সেই দৃশ্য তাদের মোবাইল ফোনে ধারণ করে উল্লাস করছেন ও বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিডিওতে মারধর করতে থাকা নেহাল আহমেদ জিহাদ বলেন, "স্থানীয় ২০০-৩০০ লোক তাদের আচরণ ও বেশভূষায় ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করতে চলে আসে। আমি তাদের নিবৃত্ত করতে ভাই হিসাবে শাসন করেছি। এটা আমার করা উচিৎ হয়নি। আবার আমি এটা না করলে মানুষজন নারীদের জামাকাপড় টেনে খুলে ফেলতো। আরও বেশি হেনস্তা করতো।"
"তাছাড়া, স্থানীয়দের কাছ থেকে অন্তত ৮টি মোবাইল আমি তাদের উদ্ধার করে দিয়েছি। আমি মারধরের ঘটনায় অনুতপ্ত," যোগ করেন তিনি।