‘ইউক্রেন অভিযান শেষ করার মতো শক্তি রাশিয়ার আছে’: পুতিন

ইউক্রেন সংকটকে একটি যৌক্তিক পরিণতিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার যথেষ্ট শক্তি ও উপায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
একইসঙ্গে, ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও এর প্রয়োজন হবে না বলেই আশা প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রবিবার (৪ মে) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত একটি সাক্ষাৎকারের খণ্ডাংশে পুতিন এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি টেলিগ্রামে প্রকাশ করেছে টিভি চ্যানেলটি। সেখানে পুতিন জানান, ইউক্রেন সংকটকে একটি যৌক্তিক পরিণতিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার যথেষ্ট শক্তি ও উপায় রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, 'এই (পারমাণবিক) অস্ত্র ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজন পড়েনি... এবং আমি আশা করি, ভবিষ্যতেও পড়বে না।'
তিনি আরও বলেন, '২০২২ সালে যা শুরু হয়েছিল, তা রাশিয়ার কাঙ্ক্ষিত ফলাফলে নিয়ে যেতে আমাদের যথেষ্ট শক্তি ও সামর্থ্য আছে।'
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে 'বিশেষ সামরিক অভিযান' শুরু করে রাশিয়া। প্রথমদিকে কিয়েভ দখলের চেষ্টা ব্যর্থ হলেও বর্তমানে ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের প্রায় ২০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার হাতে রয়েছে।
সম্প্রতি পুতিন শান্তি আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও কূটনৈতিক উপায়ে যুদ্ধ শেষ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে এই সংঘাতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা পশ্চিমাদের কৌশলগত চিন্তাভাবনায় বড় ভূমিকা রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর সাবেক পরিচালক উইলিয়াম বার্নস বলেছেন, ২০২২ সালের শেষ দিকে রাশিয়ার ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রকৃত ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল।