Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
June 11, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, JUNE 11, 2025
আখমত: ইউক্রেনে ওয়াগনারের স্থান দখলে নেওয়া রুশ ছায়া বাহিনী

আন্তর্জাতিক

এল পাইস
15 April, 2025, 02:50 pm
Last modified: 15 April, 2025, 02:51 pm

Related News

  • ইউক্রেনকে আরো পর্যুদস্তু করতে রাশিয়ার গ্রীষ্মকালীন আক্রমণ শুরু
  • ইউক্রেনে রুশ সামরিক বাহিনীর নতুন অগ্রগতি দাবি, তবে অস্বীকার করছে ইউক্রেন
  • রাশিয়ার ‘আন্ডারকভার’ ড্রোন যুদ্ধ: ‘হোম কল’, ছদ্মবেশ—আরও যত কৌশল
  • রাশিয়ান গ্যাস থেকে মুক্তি চায় ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা হয়তো ভিন্ন
  • যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা: ইউক্রেন যত বলছে, রাশিয়ার তত বিমান ধ্বংস হয়নি

আখমত: ইউক্রেনে ওয়াগনারের স্থান দখলে নেওয়া রুশ ছায়া বাহিনী

ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান প্রিগোজিন ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনার ধরন নিয়ে প্রায়ই অনেক সমালোচনা করছিলেন। পরে তিনি এক বিমানের দুর্ঘটনায় নিহত হন। অনেকেই এটিকে পূর্বপরিকল্পিত বলে সন্দেহ করেছে। তবে মস্কোর বিরুদ্ধে তার সেই কঠোর প্রতিবাদ আজও প্রতিধ্বনিত হয় তার সাবেক যোদ্ধাদের কথায়, যারা এখন লুহানস্কের (রাশিয়া-সমর্থিত বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্ব ইউক্রেনের একটি এলাকা) একটি গোপন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। তারা এখন ‘আখমত’ রেজিমেন্টের সদস্য।
এল পাইস
15 April, 2025, 02:50 pm
Last modified: 15 April, 2025, 02:51 pm
আখমত সদস্যরা লুহানস্ক প্রদেশের একটি ড্রোন সুবিধায় ফ্যাসিলিটিতে সরঞ্জাম মেরামত করছেন। ছবি: হাভিয়ের কুয়েস্তা

২০২৩ সালে ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ব্যর্থ বিদ্রোহের দুই মাস পর নিহত হন ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। তিনি দীর্ঘদিন রুশ প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তার ভাড়াটে বাহিনী নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। প্রিগোজিনের হাজার হাজার অভিজ্ঞ যোদ্ধা রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া তার একসময়ের মিত্র চেচেন প্রজাতন্ত্রের প্রধান রমজান কাদিরভের বাহিনীতে যোগ দেন।

ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান প্রিগোজিন ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনার ধরন নিয়ে প্রায়ই অনেক সমালোচনা করছিলেন। পরে তিনি এক বিমানের দুর্ঘটনায় নিহত হন। অনেকেই এটিকে পূর্বপরিকল্পিত বলে সন্দেহ করেছে। তবে মস্কোর বিরুদ্ধে তার সেই কঠোর প্রতিবাদ আজও প্রতিধ্বনিত হয় তার সাবেক যোদ্ধাদের কথায়, যারা এখন লুহানস্কের (রাশিয়া-সমর্থিত বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্ব ইউক্রেনের একটি এলাকা) একটি গোপন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। তারা এখন 'আখমত' রেজিমেন্টের সদস্য। রমজান কাদিরভের নিহত পিতার নামে এই বাহিনীর নামকরণ করা হয়েছে।

হাসপাতালটির একজন চিকিৎসক এল পাইসকে বলেন, 'আমাদের একটা হাসপাতাল আর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটা হাসপাতাল যদি পাশাপাশি থাকে, সবাই আমাদেরটিতেই যেতে চায়, কারণ আমরা কাউকে ফেলে রাখি না।'

ওয়াগনার বিদ্রোহের পর রাশিয়ার সামরিক উচ্চপর্যায় সমস্ত স্বতন্ত্র বাহিনীকে নিয়মিত সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে বাধ্য করে। তবে আখমতের বিশেষ বাহিনী এখনো কিছুটা স্বাধীনতা ভোগ করে এবং মূলত রমজান কাদিরভের অর্থায়নে পরিচালিত হয়।

প্রেটোরিয়ান গার্ডের মতো নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ধরে রাখার পাশাপাশি, কাদিরভ এখন সেনাবাহিনী ও তথাকথিত দেশপ্রেমিক মহলে আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন। তার বাহিনীতে এখন শুধু চেচেন নয়, বরং রাশিয়ার নানা প্রান্ত থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবকরা যোগ দিচ্ছে। এভাবেই তিনি নিজের সামরিক শক্তি বিস্তৃত করেছেন।

চিকিৎসা গাউন পরে সহযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়ে ডব্রিনিন বলেন, 'আমরা এক দেশ—মস্কো থেকে আরাল আর সুদূর প্রাচ্য পর্যন্ত।' তিনি আখমত বাহিনীর একজন লম্বা সৈনিক, যিনি মার্চের মাঝামাঝি 'অপারেশন পাইপলাইন'-এ অংশ নিয়েছিলেন। ওই অভিযানে রুশ শহর সুদজা পুনর্দখলের চেষ্টা হয়। কুরস্ক অঞ্চলের এই শহরের কিছু অংশ তখন ইউক্রেনীয় বাহিনীর দখলে ছিল।

ডব্রিনিনের দলটি ছিল নবনিযুক্ত প্রায় ৩০ জন আখমত আক্রমণকারী সেনা নিয়ে গঠিত। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন একজন সাবেক ওয়াগনার সদস্য। তারা ছয় দিন ধরে অগ্রসর হয়ে একটি পরিত্যক্ত গ্যাস পাইপলাইন ধরে ইউক্রেনীয়দের ঘাঁটিতে হানা দেয়। সেই পাইপলাইনটি ছিল বিদ্যুৎবিহীন, বিষাক্ত গ্যাস ও ভারী ধাতুতে দূষিত। অভিযান শেষে ডব্রিনিনকে স্ক্যান করলে চিকিৎসকেরা বিস্মিত হয়ে দেখেন, তার ফুসফুস পুরোপুরি সাদা হয়ে গেছে।

হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কনস্টান্টিন ফ্লোরিচ বলেন, 'আমাদের চিকিৎসা না পেলে ওদের খুব দ্রুত সিস্টিক ফাইব্রোসিস আর ফুসফুসের ক্যান্সার হয়ে যেত।' তিনি মলদোভান এবং এক সময়ের ওয়াগনার সদস্য। তিনি 'বুলিয়া' নামে পরিচিত। 

বুলিয়া বর্তমানে ১১৫ জন আহত সৈনিক, নয়জন চিকিৎসক এবং ১,৫০০-এর বেশি আহতের অপেক্ষমাণ তালিকার দায়িত্বে আছেন। তার অধীনে থাকা এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্যান্য ইউনিটের সঙ্গে পার্থক্যের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, 'আমরা সঠিক ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করতে পেরেছিলাম এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্য হাসপাতালগুলোকে আমাদের সহায়তা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মাত্র একটি হাসপাতাল তাদের চিকিৎসা পদ্ধতি পরিবর্তন করেছিল। বাকিরা সবাই ভাবত, তারা ঠিকঠাকই করছে। আমাদের নিজেদের রোগীদেরও সেখান থেকে সরিয়ে আনতে হয়েছে, কারণ তাদের অবস্থা খারাপ হচ্ছিল।'

হাসপাতালের কক্ষে ঝুলছে কাদিরভের পিতার মুখছবিযুক্ত পতাকা ও ওয়াগনারের খুলি-চিহ্নিত পতাকা। একটি কক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছে রুসিচ গ্রুপের কয়েকজন সদস্য, ওয়াগনারের অধীনে কাজ করা একটি গোয়েন্দা ইউনিট। এই গ্রুপটি প্রতিষ্ঠা করেন ইয়ান পেট্রোভস্কি, যিনি রাশিয়ার কুখ্যাত এক নব্য-নাজি। তার আহত সৈন্যদের একজন ইকুয়েডরের নাগরিক।

ওরিওল, যিনি 'আগিলা' নামে পরিচিত এল পাইসকে বলেন, 'আমি এর আগে কখনও যুদ্ধে অংশ নেইনি, রুশ ভাষাও খুব কম জানি। আমি ইকুয়েডরে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। এখানে এসেছি ডাকে সাড়া দিয়ে, কোনো মতাদর্শের কারণে নয়।'

এই সৈনিককে গত ডিসেম্বর ফ্রন্টলাইনে পাঠানো হয়। অল্প কিছুদিন পরই তোরেস্কের যুদ্ধে ড্রোন হামলায় আহত হন তিনি। ওই হামলায় তার শ্রবণশক্তি চলে যায়।

পশ্চিম দোনেৎস্ক অঞ্চলে অবস্থিত তোরেস্ক ইউক্রেন যুদ্ধের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা। এই বিধ্বস্ত শহরে এবং পার্শ্ববর্তী গোরলোভকায় [যা কয়েক মাইল দূরে এবং যেখানে সাধারণ মানুষ বসবাস করে] ড্রোন হামলা অত্যন্ত বিধ্বংসী। হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অনেক সেনা সেই ফ্রন্টলাইনের থেকে আসা।

'ডিয়েগো' ছদ্মনামের সার্জন 'মালায়া' নামের নার্স সৈনিক কিরিল গ্রোমভের পা থেকে শিরস্ত্রাণ বের করছেন। তিনি চতুর্থ মোটরাইজড ব্রিগেডের সদস্য, যিনি আগে লুহানস্কের এক মিলিশিয়া যোদ্ধা ছিলেন।

নিজের অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করে ডিয়েগো বলেন, 'আমি রাজনৈতিক বা আর্থিক কারণে হাসপাতালে যোগ দেইনি, শুধু আহতদের সাহায্য করতে চেয়েছিলাম।' তিনি দেড় বছরের সামরিক চিকিৎসক। এখন তিনি প্রতিদিন একটি বা দুটি অপারেশন করেন। তবে বাখমুতে আক্রমণের সময় [যুদ্ধের অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এখানে হয়েছিল] প্রতিদিন ১০ জন গুরুতর আহত মানুষের অপারেশন করতেন।

আজকের অপারেশনটি সহজ ছিল। এটি পূর্ব পরিকল্পিত ছিল, কারণ আহত সেনাকে ফ্রন্টলাইন হাসপাতালে স্থিতিশীল করা হয়েছিল। গ্রোমভ একটি ড্রোন হামলার শিকার হন। তবে সময়মতো মাটিতে লুটিয়ে পড়তে সক্ষম হন। তার ব্যাকপ্যাক তাকে রক্ষা করে।

তিনি বলেন, 'ইউক্রেনীয়রা ড্রোনের ব্লেড পরিবর্তন করেছে। এখন এগুলো দূর থেকে শনাক্ত করা যায় না, সেই ভয়াবহ শব্দও শোনা যায় না।'

চতুর্থ মোটরাইজড ব্রিগেডের সেনা জুচারাকে কাদিরভের অর্থায়নে অত্যাধুনিক সিটি স্ক্যান যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা হয়, যা অন্যান্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাসপাতালগুলোতে পাওয়া যায় না। দুই দিন আগে অজ্ঞাত এক রাসায়নিক অস্ত্রের হামলায় তিনি আক্রান্ত হন। যার ফলে তার ডান ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এই তরুণ সেনাকে তার সহযোদ্ধারা উদ্ধার করেন। যদিও তিনি বিষাক্ত বাতাস থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন, তারপরও তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

জুচারার চিকিৎসা করা এক ডাক্তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'যেসব রোগী বা সেনাদের ধারণা বা বিশ্বাস তারা বাঁচবে না, তাদেরকেও আমরা আখমতে চিকিৎসা দেই। আমরা সবার জন্য যুদ্ধে নামি, তাদের প্রত্যেকের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করি। এটাই এই ইউনিটের প্রতি আমার ভালো লাগা।'

হাসপাতাল কমান্ডার বুলিয়া জোর দিয়ে বলেন, এভাবেই আখমত কিছু রুশ সশস্ত্র বাহিনীর থেকে আলাদা। 'এটা ছিল ইয়েভগেনি ভিক্টোরোভিচ [প্রিগোজিন] এর মতো; তিনি আহতদের দেখতে আসতেন এবং আমাদেরকে আক্রমণকারী সেনাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন। যদি ১০টি চকলেট বার থাকত, তবে নয়টি তাদের জন্য এবং একটি ডাক্তারদের জন্য।'

বুলিয়া বলেন যে, এই দর্শন আখমতে যোগ দেওয়ার পরও অব্যাহত ছিল। 'আপতি আরানোভিচ [আলাউদিনভ, আখমতের জেনারেল] আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, আমাদের ছেলেদের বাঁচানোর জন্য কিছু করুন।'

বুলিয়া বলেন, 'আপতি আরানোভিচ, ইয়েভগেনি ভিক্টোরোভিচ, দাদু দিমিত্রি উটকিন [ওয়াগনারের সামরিক কমান্ডার, যিনি প্রিগোজিনের সঙ্গে একই বিমানে নিহত হন]... এরা সেই ধরনের মানুষ, যারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেন এবং ক্ষমতার জন্য নয়, তারা যোগ্য কমান্ডার। এরা সেই [কমান্ডাররা], যাদের রুশরা ভালোবাসে।'

ড্রোন হামলা আরও বেশি প্রাণঘাতী

হাসপাতালে একটি আর্মার্ড অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে সেটিকে এখন মাড ম্যাক্স সিনেমার কোনো যানবাহনের মতো দেখায়। ১৫০ কিলোগ্রাম ওজনের দরজা বিশিষ্ট এই বিশাল গাড়ি ৫০টি যাত্রায় পাঁচবার ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে এবং একবারই একটি চাকা হারিয়েছে। এটিকে 'একটি লোভনীয় লক্ষ্যবস্তু,' হিসেবে নিয়েছেন বুলিয়া।

রুশ সেনাবাহিনী দাবি করছে, ড্রোনের হুমকি, যা পুরো যুদ্ধকালীন সময়ে বিদ্যমান ছিল, শেষ দুই মাসে অসহনীয় হয়ে উঠেছে। ডা. ডিয়েগো বলেন, 'আমি প্রায় কোনো গুলিবিদ্ধ রোগী পাই না, সর্বোচ্চ ১ শতাংশ।'

আখমতের একটি ড্রোন ইউনিটের কমান্ডার ভাসিলি, যার ডাকনাম 'পসিজ' বলেন, ড্রোনই অর্ধেক মৃত্যুর কারণ। দুই বছর আগে যখন আমি প্রথম ড্রোন দেখেছিলাম, আমি জানতাম না এটি কী। যুদ্ধ পুরোপুরি বদলে গেছে; এটি আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।'

তার ইউনিট গ্রামগুলোর মধ্যে বাড়ি থেকে বাড়ি জায়গা পরিবর্তন করে, ইউক্রেনীয় হাইমার্স থেকে লুকানোর জন্য। এক বাড়িতে, তারা তাদের ড্রোনগুলো মেরামত এবং সংস্কার করেন। প্রতিপক্ষের ওপর ড্রোন হামলা চালানো কেন লাভজনক সেটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পসিজ বলেন, 'একজন শত্রুকে হত্যা করলে আমাদের তিনজনকে বাঁচানো যায়। তাছাড়া প্রশিক্ষণ, হাসপাতালে ভর্তি বা পরিবারে ক্ষতিপূরণের খরচও বাঁচানো হয়।'

'সর্বাধিক বিপজ্জনক ড্রোন হল ফাইবার-অপটিক কেবল ড্রোন,' বলেন আখমতের আরেক কমান্ডার ফার্তোবি। তিনি বলেন, 'ইলেকট্রনিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা সেগুলোর ওপর প্রভাব ফেলে না।'

এই ধরনের যুদ্ধ মোকাবিলার একমাত্র উপায় ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, 'অদৃশ্য থাকতে চেষ্টা করুন বা বনভূমিতে পালিয়ে যান। একজন দক্ষ পাইলট আপনাকে আপনার সরঞ্জাম নিয়ে দৌড়াতে বাধ্য করবে, যাতে তিনি আপনাকে ক্লান্ত করে আক্রমণ করতে পারেন।'

এই আখমত ইউনিটে কামিকাজে থেকে শুরু করে পর্যবেক্ষণ ড্রোন পর্যন্ত সকল ধরনের ড্রোন রয়েছে। এবং ১,৫০০ এরও বেশি সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পসিজ বলেন, 'আমরা লক্ষ্য করি, অন্যান্য [রুশ] বাহিনী অনুশীলনের প্রতি কম গুরুত্ব দেয়। আমরা অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের সাথে অনুশীলন করি।'

নতুন সেনারা গ্রামাঞ্চলের মাঝখানে একটি প্রশিক্ষণ সেশনে অংশ নেন। একটি বোমা শুকনো ঘাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। 'তিওপলি' নামে পরিচিত এবং ২০১৪ সাল থেকে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ভলোদিয়া বলেন, 'আমি কেন যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলাম, সেটা আপনাকে বলতে পারি?'

'আমি যোগ দিয়েছিলাম যখন ইউক্রেনীয় বাহিনী আমার গ্রামে, আমার দুই ছেলের ওপর আক্রমণ করেছিল, সেখানে কোনো লড়াই ছিল না,' বলেন তিওপলি। এগারো বছর পরে তার বড় ছেলের বয়স ১৮ বছর হবে, যা সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার বয়স। 

তিনি বলেন, 'আমি গর্ব নিয়ে কিছু ভাবি না। আমি চাই না আমার সন্তানরা সেই দুঃখ-কষ্ট ভোগ করুক যা আমি ভোগ করেছি, আমি ক্লান্ত।' 

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,  'ইউক্রেনীয়দের জন্য আমি ছিলাম মস্কাল (মস্কোভিতদের জন্য একটি অপমানজনক শব্দ), আর রুশদের জন্য ছিলাম জোজোল (ইউক্রেনীয়দের জন্য একটি অপমানজনক শব্দ)। এগুলো সবই কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা যেতে পারত।' তিওপলির মতে, লক্ষ্য হওয়া উচিত শান্তি, 'কিয়েভ নয়।' 

'স্টুডেন্ট' নামে পরিচিত বিশ বছর বয়সী আন্দ্রে বলেন, 'আমরা স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই কিন্তু এটি ইউক্রেনের ওপরও নির্ভর করে।'

 


অনুবাদ: তাসবিবুল গনি নিলয়
 

Related Topics

টপ নিউজ

আখমত / ওয়াগনার গ্রুপ / ইউক্রেন যুদ্ধ / ভ্লাদিমির পুতিন / ড্রোন হামলা / রুশ বাহিনী

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ‘আমার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই’: দুবাইতে মেয়ের ফ্ল্যাট নিয়ে জয়ের অভিযোগের জবাবে গভর্নর
  • ‘আমাদের সমস্যা তো চীন এসে ঠিক করে দেবে না’: বুয়েট শিক্ষকদের ডিজাইনে নিরাপদ অটোরিকশা
  • বরিশাল রুটের বিলাসবহুল বাসে আগুন কেন লাগছে! 
  • ফ্রোজেন শোল্ডার: এক বাস্তব শারীরিক সমস্যা, যা বেশি ভোগায় নারীদের
  • ছাড়পত্র পেয়েও হাসপাতাল ছাড়ছেন না জুলাই আন্দোলনে আহতরা, ‘জিম্মি’ ৩ হাসপাতাল
  • ‘অশ্লীলতা ও পরিবেশ নষ্টের’ অভিযোগ: সিলেটে পর্যটকদের বের করে দিয়ে পর্যটনকেন্দ্র 'বন্ধ ঘোষণা' এলাকাবাসীর

Related News

  • ইউক্রেনকে আরো পর্যুদস্তু করতে রাশিয়ার গ্রীষ্মকালীন আক্রমণ শুরু
  • ইউক্রেনে রুশ সামরিক বাহিনীর নতুন অগ্রগতি দাবি, তবে অস্বীকার করছে ইউক্রেন
  • রাশিয়ার ‘আন্ডারকভার’ ড্রোন যুদ্ধ: ‘হোম কল’, ছদ্মবেশ—আরও যত কৌশল
  • রাশিয়ান গ্যাস থেকে মুক্তি চায় ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা হয়তো ভিন্ন
  • যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা: ইউক্রেন যত বলছে, রাশিয়ার তত বিমান ধ্বংস হয়নি

Most Read

1
বাংলাদেশ

‘আমার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই’: দুবাইতে মেয়ের ফ্ল্যাট নিয়ে জয়ের অভিযোগের জবাবে গভর্নর

2
ফিচার

‘আমাদের সমস্যা তো চীন এসে ঠিক করে দেবে না’: বুয়েট শিক্ষকদের ডিজাইনে নিরাপদ অটোরিকশা

3
বাংলাদেশ

বরিশাল রুটের বিলাসবহুল বাসে আগুন কেন লাগছে! 

4
আন্তর্জাতিক

ফ্রোজেন শোল্ডার: এক বাস্তব শারীরিক সমস্যা, যা বেশি ভোগায় নারীদের

5
বাংলাদেশ

ছাড়পত্র পেয়েও হাসপাতাল ছাড়ছেন না জুলাই আন্দোলনে আহতরা, ‘জিম্মি’ ৩ হাসপাতাল

6
বাংলাদেশ

‘অশ্লীলতা ও পরিবেশ নষ্টের’ অভিযোগ: সিলেটে পর্যটকদের বের করে দিয়ে পর্যটনকেন্দ্র 'বন্ধ ঘোষণা' এলাকাবাসীর

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net