যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পানামা খাল নিয়ে কোনো আলাপ হবে না: পানামার প্রেসিডেন্ট

পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক মার্কো রুবিওর সঙ্গে পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনো আলাপ করবেন না। রুবিও দ্রুত মধ্য আমেরিকার দেশটিতে সফর করবেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মুলিনো আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেছিলেন, পানামা খাল চীনের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে।
ট্রাম্প পানামা খালের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাংবাদিকদের কাছে মুলিনো বলেন, "আমি চুক্তি করতে পারব না। আর খালের বিষয়ে আলোচনা শুরু করা তো দূরের কথা। এটা চূড়ান্ত। খালটি পানামার অধিকার।"
কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, রুবিও দ্রুত পানামা এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশে সফর করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম বিদেশ সফর হবে।
যুক্তরাষ্ট্র পানামা খাল নির্মাণে সাহায্য করেছিল। ১৯১৪ সালে খালটির কাজ প্রথম সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে নিয়ন্ত্রণও করেছিল। তবে ১৯৭৭ সালের একটি চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৯ সালে খালটির পুরো নিয়ন্ত্রণ পানামার কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত হয়।
ট্রাম্প পানামা খাল অধিগ্রহণ করা তার পররাষ্ট্র নীতির শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেছেন, পানামা যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজগুলোর ওপর অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করছে এবং খালের আশেপাশে চীনের সামরিক উপস্থিতি অনুমোদন দিয়েছে।
চলতি মাসে যখন ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি এই লক্ষ্য অর্জনে সামরিক শক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা বাদ দেবেন কি না, তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন: "আমি সেটা সম্পর্কে কোনো প্রতিশ্রুতি দেব না।"