রিজার্ভ চুরি: ফিলিপাইনের ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বাজেয়াপ্তের নির্দেশ আদালতের
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি) ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন বা ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বাজেয়াপ্ত করতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত সিআইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (২০১৫ সালে সংশোধিত) এর ১৭(২)(৭) ধারা অনুসারে এই আদেশ দেন। ফিলিপাইন থেকে প্রাপ্ত মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) সহ অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই রায় দেওয়া হয়।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিআইডি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায়।
তারা জানায় ফিলিপিন্সের আরসিবিসি ব্যাংকে থাকা অর্থ বাজেয়াপ্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের একটি আদালত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
আদেশের অনুলিপি ফিলিপিন্সের ব্যাংকটির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলেনে।
তবে আদালত নির্দেশ দিলেও কতদিনের মধ্যে অর্থ ফেরত আসবে বা ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক আদালতের আদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে কিনা, সেসম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারেনি সিআইডির প্রতিনিধি দল।
তদন্ত পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারছেন না বলেও বলা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি প্রতিনিধি দল আশা প্রকাশ করে যে সিআরবিসি ব্যাংক তাদের খ্যাতি ধরে রাখতে অতিসত্বর এই অর্থ বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬২৩ ডলার চুরি হয়। নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে সেই টাকা রক্ষিত ছিল।
এর মধ্যে দুই কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলঙ্কা এবং ৮ কোটি ১০ লক্ষ ডলার চলে যায় ফিলিপিনের জুয়ার আসরে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঐ ঘটনাকে এই মূহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাংক তহবিল চুরির একটি বলে ধরা হয়।
চুরি হওয়া ডলারের মধ্যে শ্রীলঙ্কা থেকে দুই কোটি ডলার ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ।