৪০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক কখনো মোদির নামই শোনেননি: পিউ রিসার্চের জরিপ

বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফরের প্রথম দিন থেকেই মোদিকে ঘিরে উত্তেজনার শেষ নেই। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন তিনি; মোদির সঙ্গে দেখা করেছেন খ্যাতনামা মার্কিন ব্যবসায়ী-ধনকুবের অনেকেই। কিন্তু ওয়াশিংটন ডি.সি-ভিত্তিক থিংক-ট্যাংক পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার একটি বড় অংশই নরেন্দ্র মোদিকে চেনেন না।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের 'স্প্রিং ২০২৩ গ্লোবাল অ্যাটিচিউডস সার্ভে' শীর্ষক জরিপের ফলাফল গত ২১ জুন প্রকাশিত হয়। সেখানে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ শতাংশ মানুষ কখনো নরেন্দ্র মোদির নামই শোনেননি; যে হার জরিপের অন্য যেকোনো নেতার তুলনায় বেশি।
নিচের দিক থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চেনেন না দেশটির ৩ শতাংশ মানুষ; চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ১৩ শতাংশ এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ১০ শতাংশ মানুষ চেনেন না। অর্থাৎ, এই তিন নেতা মার্কিনিদের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
গত ২০ থেকে ২৬ মার্চের মধ্যে ৩৫৭৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকান নাগরিকের উপর জরিপ চালিয়ে বিশ্লেষণের পর এমন ফলাফল প্রকাশ করেছে পিউ রিসার্চ সেন্টার।
কমবয়সী আমেরিকানদের (যাদের বয়স ৩০ এর নিচে) ৫৯ শতাংশই কখনো নরেন্দ্র মোদির নাম শোনেননি বলে জানিয়েছেন। আর যারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চেনেন, তাদের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তি মোদির ওপর তাদের যথেষ্ট আস্থা নেই বলে জানিয়েছেন। জরিপে আরও দেখা গেছে, বৈদেশিক বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে মোদির যোগ্যতার বিষয়ে ৩৭ মার্কিন নাগরিকের আস্থা খুব সামান্য বা নেই বললেই চলে।
তাছাড়া, দুই শতাংশ মার্কিনি এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি বা এড়িয়ে গেছেন।
তবে ৬৫ বছর বয়সের উর্ধ্বে যেসব মার্কিন নাগরিক, এদের অধিকাংশই মোদিকে চেনেন। এই বয়সের মাত্র ২৮ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন যে তারা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে চেনেন না।
এদিকে নরেন্দ্র মোদিকে না চিনলেও, প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকানকদের অর্ধেকেরও বেশি নাগরিক ভারত সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাবই প্রকাশ করেছেন। শিক্ষিত নাগরিকরা এই দেশটি সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচকই রেখেছেন।
অন্যদিকে, রাজনৈতিকভাবে ডেমোক্রেট ও তাদের দিকে ঘেষা স্বতন্ত্রদের ভারতকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখার সম্ভাবনা ছিল। জরিপে দেখা গেছে, ৫৫ শতাংশ ডেমোক্রেট ভারত সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে ৪৮ শতাংশের এই একই মনোভাব রয়েছে। এর বিপরীতে ২৩ শতাংশ বিশ্বাস করে যে ভারতের প্রভাব বেড়েছে এবং ১১ শতাংশ মনে করে যে দেশটির বৈশ্বিক প্রভাব হ্রাস পেয়েছে।