জরিপের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এনসিপি নেতা সারজিস
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, কোন জরিপ কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কীভাবে হয় এবং এগুলোর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না, সেটিও বিবেচ্য বিষয়।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এনসিপির সিলেট জেলা ও মহানগরের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে সেদিন রাজধানীতে 'জনগণের নির্বাচন–ভাবনা' শীর্ষক জরিপের দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় পর্বের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। জরিপটি পরিচালনা করেছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনোভিশন কনসাল্টিং। সহযোগিতা করেছে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ভয়েস ফর রিফর্ম ও বিআরএআইএন।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪ হাজার ৭২১ জন ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের পছন্দের দলের কথা জানিয়েছেন। ফলাফলে দেখা যায়- বিএনপিকে পছন্দ করেছেন ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ উত্তরদাতা। জামায়াতে ইসলামীকে ৩০ দশমিক ৩০ শতাংশ। জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ৪ দশমিক ১০ শতাংশ। আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে পছন্দ করেছেন ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতা।
চলতি বছরের মার্চের তুলনায় সেপ্টেম্বরে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট দিতে চাওয়া মানুষের হার বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ।
এই ফলাফল নিয়ে সিলেটের সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে সারজিস আলম বলেন, 'আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি, মানুষ আশা দিচ্ছে।'
আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার ছবি নিয়ে আসলেও থুথু দেবে। আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।'
গণঅধিকার পরিষদের সাথে একীভূত হওয়ার বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, 'আলোচনা ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। আগামী নির্বাচনে বা যেকোনো বিষয়ে সক্রিয় থাকতে আমাদের সমমনা দলগুলোর একত্রিত হওয়া খুব প্রয়োজন।'
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফররত এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'এতে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি, যা সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ করে। যারা প্রতিনিধিদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছেন তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।'
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়ার প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, 'এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে।'
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সিলেট জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
