Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Friday
August 01, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
FRIDAY, AUGUST 01, 2025
রাশিয়ার সঙ্গে ধৈর্য পরীক্ষায় টিকে থাকতে পারবে পশ্চিমারা?

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
11 July, 2022, 10:45 am
Last modified: 11 July, 2022, 11:00 am

Related News

  • বিশ্ব নতুন এক পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার দ্বারপ্রান্তে: সিপ্রি
  • ‘ইউক্রেন-রাশিয়ার আরও কিছুদিন যুদ্ধ করা উচিত’: পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর বললেন ট্রাম্প
  • ১৮ মাসের প্রস্তুতি, রাশিয়ায় ড্রোন পাচার: যেভাবে রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের দুঃসাহসিক হামলা
  • রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে হামলার আগে কাঠের ছাউনিতে ড্রোন লুকিয়ে রেখেছিল ইউক্রেন
  • রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে ‘বাফার জোন’ তৈরি করছে রুশ বাহিনী: পুতিন

রাশিয়ার সঙ্গে ধৈর্য পরীক্ষায় টিকে থাকতে পারবে পশ্চিমারা?

রাশিয়াকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা আর কতদিন ধরে ইউক্রেনকে সামরিক, রাজনীতিক ও আর্থিক সহায়তা দান চালিয়ে যেতে পারে- তার ওপরই নির্ভর করছে ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতি।
টিবিএস ডেস্ক
11 July, 2022, 10:45 am
Last modified: 11 July, 2022, 11:00 am
চলতি মাসে ইউক্রেনের আরপিনে ধ্বংসকৃত গাড়িগুলোর স্তূপ; ছবি- দ্য নিউইয়র্ক টাইমস

ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে এতদিন পর্যন্ত যে প্রতিরোধ গড়েছে- তার পেছনে মূল অবদান রেখেছে দেশটিকে দেওয়া পশ্চিমাদের সহায়তা। অর্থ, অস্ত্র, প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা তথ্য- কী না পাচ্ছে কিয়েভ! পশ্চিমা কিছু দেশের নাগরিকও সেখানে রাশিয়া-বিরোধী লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। নিয়মিতভাবে ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। যেমন গত শুক্রবার প্রিসিসান গাইডেড গোলা ও রকেট লঞ্চারের নতুন এক চালান ইউক্রেনে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে পেন্টাগন। 

কিন্তু, জ্বালানির চড়া দামে বিশ্ব অর্থনীতি যখন রেকর্ড মূল্যস্ফীতির কবলে, আমেরিকার জনগণও যখন মন্দা আশঙ্কা করছে তখন সাহায্যের এই উদারহস্ত নীতি কতদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব- সে প্রশ্নই তুলেছে প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন।  

লিখেছেন দুই প্রভাবশালী সাংবাদিক ডেভিড ই. স্যাঙ্গার এবং পিটার বেকার।

স্যাঙ্গার টাইমসের হোয়াইট হাউজ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিনিধি। ৩৮ বছর ধরে যুক্ত রয়েছেন দৈনিকটির সাথে। এসময়ে তিনি জিতেছেন পুলিৎজার পুরস্কার। মার্কিন পররাষ্ট্র মহলের গতিবিধি সম্পর্কে তিনি অন্তর্দৃষ্টিমূলক খোঁজখবর রাখেন।

প্রতিবেদনের সহ-লেখক বেকার-ও টাইমসের হোয়াইট হাউজ প্রতিনিধি। ওয়াশিংটন পোস্ট এবং টাইমসের হয়ে তিনি আমেরিকার সাবেক পাঁচজন প্রেসিডেন্টের মেয়াদে এ দায়িত্ব পালন করেছেন। আমেরিকার রাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে লিখেছেন ছয় ছয়টি বই।

সাংবাদিকদ্বয়ের বিশ্লেষণ যেন আগামীদিনে আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণেরই পরামর্শ।

তারা বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর কেটে গেছে চার মাস। ধারণা করা হয়েছিল, এ যুদ্ধে রাশিয়া দুর্দান্ত গতিতে বিজয় অর্জন করবে। কিন্তু, পশ্চিমা সমর্থন ও ইউক্রেনীয় প্রতিরোধে মস্কোকে এখন প্রতি ইঞ্চি ভূমি দখলে লড়তে হচ্ছে, অচিরেই লড়াই শেষ হওয়ার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। ফলে পশ্চিমা দুনিয়ার সাথে রাশিয়ার শক্তি, সামর্থ্য ও ধৈর্য্যের কৌশলগত পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে যুদ্ধ। ভ্লাদিমির পুতিন আশা করছেন, এই দ্বৈরথে তিনিই জয়ী হবেন, কারণ পশ্চিমাদের ধৈর্য্যের বাঁধ এক পর্যায়ে ভেঙে পড়বে। অর্থাৎ, তারা ইউক্রেনকে এখনকার মতো ব্যাপক সহায়তা দান থেকে সরে আসতে বাধ্য হবে। 

পুতিন হয়তো হিসাবে বড় একটা ভুল করেননি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন যদিও বলেছেন যে, 'যতদিনই লাগুক' (রাশিয়াকে হারাতে) যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের পাশেই থাকবে। তবে আমেরিকা ও তার মিত্ররা নিজেরা সরাসরি যুদ্ধে না নেমে কতদিন দূর থেকে এভাবে সাহায্য দান চালিয়ে যেতে পারবে, কতটুকুই বা তাতে অবস্থার পরিবর্তন হবে- নিশ্চিতভাবে তা বাইডেন বা অন্য কেউই বলতে পারছেন না।

বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিচ্ছেন মার্কিন কর্মকর্তারাও। তারা বলছেন, একপর্যায়ে আমেরিকা ও ইউরোপের অস্ত্রের মজুদে ঘাটতি দেখা দিবে। তাছাড়া, আমেরিকাই সবচেয়ে বেশি বা ৫৪ বিলিয়ন ডলারের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সাহায্যের এই অর্থ ফুরালে আমেরিকা আরও ৫৪ বিলিয়ন ডলার দেবে এমন আশা তারা কেউই করছেন না। 

রাশিয়ার সাথে সরাসরি যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার ঝুঁকি দিনকে দিন বাড়ছে বলে মনে করছে হোয়াইট হাউস। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত নিরসনের পরিবেশ নেই আর। আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিকদের মধ্যেও যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। এ পরিস্থিতিতে বাইডেন ও তার সহযোগীরা ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী একটি কৌশল নির্ধারণের চেষ্টা করছেন। 

ডেলাওয়ার রাজ্যের ডেমোক্রেট সিনেটর ক্রিস কুনস সম্প্রতি বলেছেন, 'যুদ্ধের অর্থনৈতিক মূল্য চুকাতে হচ্ছে অনেক দেশকে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে তাদের জনগণ, উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো আরও অনেক বিষয়ও রয়েছে'। গেল সপ্তাহে স্পেনের মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমন কথা বলেছেন বাইডেনের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত ক্রিস।

মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির এ সদস্য বলেন, 'আমি মনে করি, আমাদের ইউক্রেনকে দ্ব্যর্থহীনভাবে সমর্থন দান অব্যাহত রাখতে হবে। এভাবে কতদিন চলবে, ভবিষ্যৎ গতিপথ কী হবে- এ মুহূর্তে আমরা তা জানি না। কিন্তু, ইউক্রেনকে সমর্থন দান বন্ধ করলে ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরও বাজে হবে'।

ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে এখন মূল যুদ্ধ চলছে, তবে সংঘাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার প্রমাদ গুনছে ওয়াশিংটন। সম্প্রতি মধ্য ইউক্রেনের একটি শপিং সেন্টারে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভিত্তিতে হোয়াইট হাউস অনুমান করছে, সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম অস্ত্রের ঘাটতিতে পড়েছে রাশিয়া। ফলে তারা অপেক্ষাকৃত নিখুঁত লক্ষ্যভেদে অপেক্ষাকৃত কম সক্ষমতার ও পুরোনো প্রযুক্তির অস্ত্র ব্যবহারে ঝুঁকছে, এতে বেড়ে গেছে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তু অনিচ্ছাকৃত হামলার শিকারে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি। পুরোনো প্রযুক্তির রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ভুল করে ইউক্রেনের সীমান্তের বাইরে ন্যাটো সদস্য দেশ- রোমানিয়া বা পোলান্ডে আঘাত হানতে পারে। ন্যাটো সনদ অনুযায়ী, তখন সামরিক জোটটির সকল সদস্য দেশকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থাৎ, রাশিয়ার সাথে সর্বাত্মক যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে তখন। মার্কিন কর্মকর্তারা আরও আশঙ্কা করছেন যে, যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনীর ধীর অগ্রগতিতে এক পর্যায়ে অধৈর্য্য হয়ে উঠতে পারেন পুতিন, নিতে পারেন কৌশলগত (ছোট আকারের) পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত।

বাইডেন প্রশাসন অনুমান করছে, রুশ নেতা যুদ্ধের পরিধি আবার বিস্তার করতে চান। তিনি পুনরায় কিয়েভ দখলের পরিকল্পনা করছেন।

গত সপ্তাহে আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স- এর পরিচালক এভ্রিল ডি. হেইনস বলেন, 'আমরা মনে করি, পুতিন ইউক্রেনের অধিকাংশ অঞ্চল দখলের রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়েছেন।'

গত বৃহস্পতিবার এই অনুমানকেই যেন প্রায় নিশ্চিত করেন পুতিন। এসময় তার হাতে যুদ্ধজয়ের আরও ব্যয়বহুল উপায় আছে বলে পশ্চিমা দুনিয়াকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মস্কোতে পার্লামেন্ট নেতাদের উদ্দেশ্যে এদিন পুতিন বলেন, 'সবার (পশ্চিমাদের) জেনে রাখা উচিত, আমরা এখনও কিছু (সর্বাত্মক যুদ্ধ) শুরুই করিনি। আমরা শুনছি, তারা রণাঙ্গনে আমাদের হারাতে চায়। আমি বলব- তারা সে চেষ্টা করেই দেখুক'।

আমেরিকার কৌশল নির্ধারণের সাথে জড়িত কর্মকর্তারা নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন, তারা যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে নিজেদের সেনাশক্তি সুসংহত করার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু, ইউক্রেনের নেতারা সেনা সংখ্যা বাড়িয়ে পাল্টা আক্রমণ করে রাশিয়ার কাছ থেকে দখলীকৃত এলাকা মুক্ত করার পরিকল্পনা করছেন। তাত্ত্বিকভাবে আমেরিকান কর্মকর্তারা এই লক্ষ্যকে সমর্থন দিচ্ছেন তা সত্য, কিন্তু সেটা প্রকাশ্যে। আসলে তারা চাইছেন, ইউক্রেনের সামরিক ক্ষয়ক্ষতি যথাসম্ভব কম হোক। তাতে দেশটিকে সহায়তা দানের চাপও কমবে। তাছাড়া এ ধরনের পাল্টা আক্রমণ সফলভাবে বাস্তবায়নে কিয়েভের সামর্থ্য নিয়েও সন্দিহান তারা।

গেল সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি জি-৭ দেশের সরকার প্রধানদের বলেন, তিনি এই বছরের শেষ নাগাদ যুদ্ধ শেষ করতে চান। তবে সামরিকভাবে ইউক্রেনের এ লক্ষ্য অর্জনকে অসম্ভব বলেই মনে করছে ওয়াশিংটন।

তবে সমস্যা হলো- পশ্চিমা দেশের জনগণের মধ্যে ইউক্রেনের প্রতি সহানুভূতি রয়েছে। নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য হলেও প্রকাশ্যে জেলেনস্কির প্রতি চাপ প্রয়োগ করতে চায় না বাইডেন প্রশাসন। তাছাড়া, যুদ্ধ নিরসনে মস্কোর সাথে কোনো চুক্তি করলে- তা সশস্ত্র আগ্রাসনকে ওয়াশিংটনের অনুমোদন দেওয়ার শামিল হবে।

মার্কিন কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, যুদ্ধ নিয়ে আটলান্টিকের উভয় পাড়ে সরকারি পর্যায়ে অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে। টানা সমর্থন দিতে গিয়ে গোপনে গোপনে ক্লান্ত অনেক দেশের সরকার। ফলে আগামীতে ইউক্রেনকে এখনকার মতো করে বাস্তবিক সাজসরঞ্জাম সরবরাহ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।

মার্কিন কংগ্রেস এ পর্যন্ত ইউক্রেনের জন্য যে পরিমাণ সামরিক সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে- তা দিয়ে আগামী অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত সহায়তা দিতে পারবে আমেরিকা। কিন্তু, ইউক্রেন যুদ্ধাক্রান্ত দেশ হওয়ায় সামরিক সরঞ্জাম দিতে হচ্ছে চটজলদি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মার্কিন বাহিনীর নিজস্ব মজুদ থেকে। এতে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে আমেরিকার যুদ্ধ সক্ষমতায়। তাই প্রশ্ন উঠছে-  আমেরিকার নিজস্ব সামরিক প্রস্ততি ব্যাহত না করে এভাবে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ কী আসলেই আগামী বছর বা তারপরও চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে?

এ সমস্যার সমাধানে যেসব দেশের কাছে সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি অস্ত্র মজুদ রয়েছে সেগুলি ইউক্রেনকে অনুদানের উৎসাহ দিচ্ছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। আগামী সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য সফরেও এই এজেন্ডা থাকছে বাইডেনের। এই সফরে যেসব আরব দেশ আগে মস্কোর অস্ত্রের বড় ক্রেতা ছিল তাদের সরকার প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি।

ন্যাটোতে আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং থিঙ্ক ট্যাংক- শিকাগো কাউন্সিল অন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট আইভো এইচ ডালডার বলেন, 'এখনও সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট সুযোগ আছে। কিন্তু আগামী ছয় মাস এভাবে চালিয়ে যাওয়া দরকার হবে- আর সেটা যে গুরুত্বপূর্ণ এই উপলদ্ধি সবার হয়েছে। আগামী ছয় মাসে আমরা আরও দেখতে পারব, কোনো পক্ষ হয়তো রণেভঙ্গ দিবে, অথবা দুই পক্ষই (রাশিয়া ও পশ্চিমারা) দিতে পারে। তখন তারা যুদ্ধ থেকে বেড়িয়ে আসার পথ খুঁজতে থাকবে।'' 

তার আগেই যতটা পারা যায় বৈদেশিক সমর্থন জোটাতে চাইছে বাইডেন প্রশাসন। ব্রাজিল, চীন ও ভারতের মতো যেসব বৃহৎ অর্থনীতির দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞায় যোগ দেয়নি- এবার তাদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।

তবে এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা কতটুকু সফল হবে তা নিয়ে রয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি, সার ও অন্যান্য কাঁচামাল রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়ার সাথে আলোচিত রাষ্ট্রের সরকারগুলি সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইবে না নিজ অর্থনীতির স্বার্থেই।

তাছাড়া, এসব দেশের কূটনৈতিক সমর্থন লাভ করতে হলে আমেরিকা শান্তি চায় এটাও প্রমাণ করতে হবে। বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে যে, ইউক্রেন ও আমেরিকা যুদ্ধের সমাপ্তি চায়। সবচেয়ে কঠিন কাজটি হলো- দখলীকৃত ভূখণ্ডে মস্কোর কর্তৃত্ব মেনে না নিয়েই এমনটা প্রমাণের চ্যালেঞ্জ। কিন্তু, তা করা গেলে প্রমাণিত হবে যে রাশিয়াই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়। তখন বিশ্ব অর্থনীতির স্বার্থে রাশিয়ার মিত্র বা নিরপেক্ষ দেশগুলিও মস্কোর ওপর চাপ প্রয়োগ করবে- এমন প্রত্যাশা হোয়াইট হাউসের।

কিন্তু, সংকট শুধু জ্বালানির নয়। বিশ্বের ঘাড়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছে খাদ্য সংকটের মহাঝুঁকি। জাতিসংঘ দিচ্ছে দুর্ভিক্ষের হুঁশিয়ারি। ইউক্রেনকে পশ্চিমা বিশ্বের সহায়তা দানকে তাই উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলো–বিশেষ করে যারা খাদ্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল–নিজেদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা শুরু করেছে। এজন্য অতি দ্রুততর সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে থাকা খাদ্যশস্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি নিশ্চিত করতে হবে পশ্চিমাদের। তাছাড়া, ইউক্রেন যদি খাদ্যশস্য-সহ অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি করতে না পারে– তাহলে দেশটির অর্থনীতি সম্পূর্ণ ধসে পড়বে। চারিদিকে যখন আসন্ন বিশ্বমন্দার পদধ্বনি- তখন কিয়েভের অর্থনীতি সম্পূর্ণরূপে সহায়তা দিয়ে টিকিয়ে রাখার গুরুভারও আর নিতে চায় না আমেরিকা। 

  • দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস অবলম্বনে 
     

Related Topics

টপ নিউজ

ইউক্রেন সংকট / ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ / ইউক্রেন উত্তেজনা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • বাংলাদেশের ওপর পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল যুক্তরাষ্ট্র
  • জাতীয় সরকার নিয়ে মির্জা ফখরুলের বক্তব্য সত্য নয়; সাদিক কায়েম সমন্বয়ক ছিল না: নাহিদ ইসলাম
  • ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলা: জামিন পেলেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফারাবী
  • যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শেষ হচ্ছে আজ, শিগগিরই জানা যাবে শুল্কের হার 
  • ব্যাংক একীভূতকরণে সরকার বিনিয়োগ করে লাভসহ ফেরত পাবে: গভর্নর
  • ইরান থেকে পেট্রোলিয়াম কেনার অভিযোগে ৬ ভারতীয় কোম্পানিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

Related News

  • বিশ্ব নতুন এক পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার দ্বারপ্রান্তে: সিপ্রি
  • ‘ইউক্রেন-রাশিয়ার আরও কিছুদিন যুদ্ধ করা উচিত’: পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর বললেন ট্রাম্প
  • ১৮ মাসের প্রস্তুতি, রাশিয়ায় ড্রোন পাচার: যেভাবে রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের দুঃসাহসিক হামলা
  • রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে হামলার আগে কাঠের ছাউনিতে ড্রোন লুকিয়ে রেখেছিল ইউক্রেন
  • রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে ‘বাফার জোন’ তৈরি করছে রুশ বাহিনী: পুতিন

Most Read

1
বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ওপর পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল যুক্তরাষ্ট্র

2
বাংলাদেশ

জাতীয় সরকার নিয়ে মির্জা ফখরুলের বক্তব্য সত্য নয়; সাদিক কায়েম সমন্বয়ক ছিল না: নাহিদ ইসলাম

3
বাংলাদেশ

ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলা: জামিন পেলেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফারাবী

4
অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শেষ হচ্ছে আজ, শিগগিরই জানা যাবে শুল্কের হার 

5
অর্থনীতি

ব্যাংক একীভূতকরণে সরকার বিনিয়োগ করে লাভসহ ফেরত পাবে: গভর্নর

6
আন্তর্জাতিক

ইরান থেকে পেট্রোলিয়াম কেনার অভিযোগে ৬ ভারতীয় কোম্পানিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net