যেভাবে সরকারি চাকরি প্রস্তুতির ধরনই বদলে দিয়েছে ‘লাইভ এমসিকিউ’
চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বইয়ের সুউচ্চ স্তূপ, নতুন বইয়ের সন্ধানে দৌড়ঝাঁপ আর কোচিং সেন্টারের ভিড়। আর এর সঙ্গে যোগ হয় কাড়িকাড়ি টাকার হিসাব।
বইয়ের তালিকাও কম বৈচিত্র্যপূর্ণ নয়! আজ প্রশ্নব্যাংক, কাল বিষয়ভিত্তিক গাইড, তো পরশু ডাইজেস্ট। এর সঙ্গে থাকে নিয়মিত মডেল টেস্ট, সাম্প্রতিক তথ্যের সাময়িকী আর নানা অনলাইন কোর্স। সব কিছু মিলিয়ে চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেকের জন্য হয়ে ওঠে ক্লান্তিকর ও ব্যয়বহুল।
তবে এই জটিল আর ব্যয়বহুল প্রস্তুতির ধারা ভাঙতে ২০১৬ সালে নতুন সম্ভাবনার আলো নিয়ে হাজির হয় একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম- 'লাইভ এমসিকিউ'। অভূতপূর্ব সব সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে অসংখ্য চাকরি প্রত্যাশীর কাছে এটি এখন এক নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম। সরকারি চাকরির জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই ডিজিটাল অ্যাপ এক দশকেরও কম সময়ে প্রচলিত চাকরি প্রস্তুতির ধরনই বদলে দিয়েছে।
শুরুটা হয়েছিল কুমিল্লায়
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান ফারহাদের আগ্রহ ছিল কম্পিউটার ও প্রযুক্তি জগতে। পড়তেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, ফলে ব্যবসার বুনিয়াদটাও ভালোই জানতেন। তার সঙ্গে যুক্ত হন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র জিকো কুমার পাল।
ক্যারিয়ার নিয়ে নানা পরিকল্পনা ছিল তাদের। দুজনেই ফ্রিল্যান্সিং করতেন, পাশাপাশি প্রযুক্তিখাতে বড় কিছু করার স্বপ্নও দেখতেন। একসময় ভেবেছিলেন গেম তৈরি করবেন! তবে অনেকের মতো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বিসিএসও তাদের স্বপ্নের বাইরে ছিল না।
বিসিএস প্রস্তুতি নিতে গিয়েই একসময় মাথায় আসে নতুন পরিকল্পনা। তারা ভাবেন, 'বিসিএস জব সলিউশন' ধরনের একটি অ্যাপ বানানো যেতে পারে। কিন্তু বাজারে তো এমন অ্যাপ আরও আছে। নতুন কী করা যায়? তখনই মাথায় আসে "লাইভ পরীক্ষা" নেওয়ার ধারণাটি, যা শহরের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্যও সমান সুযোগ তৈরি করবে।
এই চিন্তা থেকেই ২০১৬ সালের আগস্টে শুরু করেন নিজেদের এডুটেক প্রতিষ্ঠান 'ক্রাকটেক'। ছয় মাস রাত-দিন পরিশ্রমের পর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয় 'লাইভ এমসিকিউ' অ্যাপ।
প্রথমদিকে কুমিল্লায় ছোট্ট একটি অফিসে গুটিকতক মানুষ নিয়ে শুরু হয় তাদের যাত্রা। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান চিফ টেকনোলজি অফিসার জিকো কুমার পাল বলছিলেন সেদিনের কথা, 'মানুষ যা করছে, তার ব্যতিক্রম কিছু করার ভাবনা আমাদের ছিল। মানুষ কোচিং সেন্টার বাদ দিয়ে এখানে কেন আসবে? এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল। মেহেদি ভাই ব্যবসা সম্পর্কে পড়াশোনা করেছেন, তিনি জানতেন কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে। সমস্যা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমরা লাইভ এক্সামের ব্যবস্থা করলাম।'
'আমাদের সৌভাগ্য, মানুষ দ্রুত গ্রহণ করেছে। ফেসবুকে মানুষ আমাদের নিয়ে আলাপ করেছে। আমরা দিন দিন উন্নতি করেছি, আর "ওয়ার্ড অফ মাউথ"-এর মাধ্যমেই আমাদের ব্যবহারকারী বেড়েছে।'
মেহেদি হাসান ফারহাদ 'লাইভ এমসিকিউ'-এর মূল প্রতিষ্ঠান 'ক্রাকটেক'-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি জানালেন, কোচিং সেবার আওতার বাইরে থাকা মানুষদের কথা ভেবেই কাজটি শুরু করেছিলেন। 'শুরুতে এত বেশি পরিশ্রম করতে হতো, ভেবেছিলাম বন্ধ করে দেব। কিন্তু ব্যবহারকারীদের দাবির মুখে আমাদের কাজ করে যেতে হয়েছে। ৩৮তম বিসিএস-এ আমরা প্রথম সাফল্য পাই। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি।'
ছোট পরিসরে কয়েকজন মিলে শুরু হলেও আজ এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ, যারা প্রতিদিন প্রযুক্তির মাধ্যমে চাকরি প্রস্তুতিকে আরও সহজ করে তুলতে কাজ করছেন। কুমিল্লা ও ঢাকায় তাদের আলাদা অফিস রয়েছে।
যা কিছু দরকার, সবই আছে এখানে
'লাইভ এমসিকিউ' অ্যাপে রয়েছে এক্সাম, স্টাডি এবং প্রিমিয়াম নামে তিনটি আলাদা সেকশন। প্রতিষ্ঠানটির চিফ প্রোডাক্ট অফিসার মেহেদি হাসান জানান, এক্সাম সেকশন মূলত বিভিন্ন পরীক্ষাভিত্তিক প্রস্তুতির জন্য তৈরি। এখানে রয়েছে ফ্রি সাপ্তাহিক মডেল টেস্ট, যা বিসিএস প্রিলিমিনারির আদলে নেওয়া হয়।
বিসিএসের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির পাশাপাশি নতুনদের জন্যও রয়েছে বিশেষ কোর্স ও রুটিনভিত্তিক পরিকল্পনা। প্রতিটি বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে এখানে নিয়মিত পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। প্রতিটি অংশেই নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর সিলেবাস, ভিডিও ক্লাস, লিখিত ম্যাটেরিয়ালস থাকে। এছাড়াও প্রশ্নব্যাংক, পূর্ববর্তী সব সরকারি চাকরির প্রশ্ন সমাধান এবং আলাদা করে ব্যাংক নিয়োগ, শিক্ষক নিবন্ধন, বার কাউন্সিল ও বিজিএস প্রস্তুতির সুযোগ রয়েছে।
স্টাডি সেকশনে ব্যবহারকারীরা পান বিষয়ভিত্তিক ভিডিও লেকচার। প্রতিটি বিষয়ে দক্ষ শিক্ষক এনে ক্লাসগুলো নিজস্ব স্টুডিওতে করানো হয়। পিডিএফ সেকশনে রয়েছে সব বিষয়ের প্রশ্ন, শিট, সাপ্তাহিক বুলেটিন এবং দরকারি রেফারেন্স ম্যাটেরিয়াল। তাছাড়া রয়েছে অডিও সেকশন ও স্টাডি গ্রুপ, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা একে অপরের সঙ্গে মিলে প্রস্তুতি নিতে পারেন।
প্রিমিয়াম সেকশন অংশটি মূলত তাদের জন্য, যারা আরও জোরেশোরে প্রস্তুতি নিতে চান। এখানে আছে আর্কাইভ, সেন্ট্রাল জব সলিউশন, ফ্যাকাল্টি ভিত্তিক জব সলিউশন, সেন্ট্রাল রেজাল্ট এবং কুইজ মাস্টার।
এই অ্যাপটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির একটি প্যাকেজ, বলছেন মেহেদি হাসান। জানালেন, এতসব বিষয় থাকা সত্ত্বেও তারা প্রতিনিয়ত নানান জিনিস এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করে যাচ্ছেন। তারা সবসময় চেষ্টা করেন ব্যবহারকারীদের চাহিদা ও সমস্যাকে গুরুত্ব দিতে।
'ব্যবহারকারীরা যা চান, সেটা পূরণই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা অ্যাপে ওএমআর শিট যুক্ত করেছি, যাতে যে কেউ প্রিন্ট করে বাস্তব পরীক্ষার মতো করে প্র্যাকটিস করতে পারে। অনেকের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এখন অফলাইন সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছি। যদিও ভিডিও ও পিডিএফ ডাউনলোড করার সুবিধা আগেও ছিল, এবার অফলাইনেও পরীক্ষা দেওয়া যাবে,' বললেন মেহেদি হাসান।
চাকরি প্রস্তুতিতে ভরসার নাম
৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারের দ্বিতীয় হয়েছিলেন মোছাদ্দেকা বেগম বৃষ্টি। এখন কর্মরত আছেন সিলেটে। ক্যাডার হওয়ার পূর্বে পরপর ৪টি বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি সে গল্পই তুলে ধরেছেন।
তিনি লিখেছেন, 'প্রথম বারের মতো যখন লাইভ এমসিকিউ অ্যাপটিতে বিসিএস প্রিপারেশন নেওয়া শুরু করি, "লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট" এর মতো ঠাস করে প্রেমে পড়ে যাই। এই একটা মাত্র অ্যাপ আমার প্রিপারেশনকে এতটা স্ট্রং করে দেয় যার বদৌলতে ৪ টি বিসিএসে আমি টানা টিকি।'
কেউ যখন তাকে জিজ্ঞেস করে, কোন বই পড়ে প্রস্তুতি নিয়েছেন, তিনি বলতে পারেন না। 'আমি তো দিন রাত খালি লাইভেই পড়ে থাকতাম। দিনভর আমরা গ্রুপে পড়তাম, আর রাত হলে লাইভ এমসিকিউ-তে পরীক্ষা দিতাম', আরও লিখেছেন তিনি।
এমন গল্প মোছাদ্দেকা বেগম বৃষ্টির একার নয়। প্রতিষ্ঠার পর বছরের পর বছর অসংখ্য মানুষকে সরকারি চাকরি পেতে সাহায্য করেছে লাইভ এমসিকিউ, জানালেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাকরি-বাকরির গ্রুপগুলোতেও আলোচনায় থাকে অ্যাপটি।
ইকরামুর রহমান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে পড়ছেন। তার মতে, 'লাইভ এমসিকিউ'-এর একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো রিয়েল-টাইম অভিজ্ঞতা। নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষার্থীরা একসঙ্গে যুক্ত হয়ে অংশ নেন অনলাইন এমসিকিউ টেস্টে—ঠিক আসল পরীক্ষার মতো পরিবেশে। ফলাফল পাওয়া যায় সঙ্গে সঙ্গে, দেখা যায় কোন প্রশ্নে ভুল হয়েছে, কোন বিষয়ে আরও মনোযোগ দরকার। এতে শুধু নিজের প্রস্তুতির মান যাচাই নয়, বরং অন্য প্রতিযোগীদের তুলনায় নিজের অবস্থানও স্পষ্টভাবে জানা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বললেন, 'অ্যাপে পরীক্ষা দিয়ে নিজের ফলাফলের ভিত্তিতে অবস্থান যাচাই করা যায়, এইটা অনেক বড় একটা সুবিধা। মূল পরীক্ষার আগে এক ধরনের অনুশীলন হয়ে যায়।'
তিনি মনে করেন, যারা কোনো শহরে বসবাস করেন না, কিংবা আশেপাশে কোচিং করার কোনো সুযোগ নেই, তাদের জন্যও দারুণ এক সুযোগ এই প্ল্যাটফর্ম। 'এখানে খরচ অনেক কম। কোচিংয়ের পেছনে হাজার হাজার টাকা খরচ করে যা পাইনি, এখানে অল্প খরচে তা পেয়েছি।'
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে অ্যাপটির সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিলেন প্রায় ৩ লাখ ২ হাজার। এখন পর্যন্ত অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ২২ লাখ বারেরও বেশি!
মেহেদি হাসান বলেন, 'আমাদের ব্যবহারকারীরা গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৪ ঘণ্টা করে অ্যাপে সময় কাটান। অর্থাৎ কেউ যদি মাত্র ২ মিনিট ব্যবহার করে বের হয়ে যান, তবে অন্য কেউ হয়তো ৮ ঘণ্টা ব্যবহার করছেন। এটা আমাদের জন্য খুবই ইতিবাচক। কারণ এটি প্রমাণ করে, ব্যবহারকারীরা সত্যিই অ্যাপটির সঙ্গে যুক্ত থাকছেন এবং এর সুবিধা পাচ্ছেন।'
সাবস্ক্রিপশন খরচ
মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইট- দুই মাধ্যমেই 'লাইভ এমসিকিউ'-এর সেবা পাওয়া যায়। যদিও অনেক সুবিধা ফ্রি ইউজাররাও নিতে পারেন, তবে সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা পেতে প্রয়োজন হয় প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন।
প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে মাসিক ও বার্ষিক উভয় ধরনের সাবস্ক্রিপশন ব্যবস্থা। মাসিক ১৯৯ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২,৯৯৯ টাকায় চার বছর মেয়াদী 'স্বাধীন প্রিমিয়াম' প্যাকেজ—সব ধরনের পরীক্ষার্থীর প্রয়োজন ও সামর্থ্য অনুযায়ী সাজানো হয়েছে প্যাকেজগুলো। অ্যাপের ভেতর থেকেই ব্যবহারকারীরা বিস্তারিত তথ্য দেখতে ও সরাসরি পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারেন।
এছাড়াও রয়েছে স্পেশাল এক্সাম প্যাকেজ। ব্যাংক নিয়োগ, বার কাউন্সিল, শিক্ষক নিবন্ধন কিংবা বিজিএস প্রস্তুতির জন্য আলাদা কোর্সভিত্তিক সাবস্ক্রিপশন। ব্যবহারকারীরা নিজের লক্ষ্য অনুযায়ী প্যাকেজ বেছে নিয়ে অনুশীলন করতে পারেন।
একাধিক প্ল্যাটফর্ম, নানান সেবা
'ক্রাকটেক'-এর লক্ষ্য একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা ইকোসিস্টেম তৈরি করা। ইতোমধ্যে সে পথে বেশ অগ্রসর হয়েছেন তারা, জানালেন প্রতিষ্ঠাতা মেহেদি হাসান ফারহাদ।
প্রতিষ্ঠানটির অধীনে রয়েছে কয়েকটি স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্ম, যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রয়োজনের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি।
লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য তাদের রয়েছে 'লাইভ রিটেন' নামের একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই চূড়ান্ত পরীক্ষার মতো লিখিত মডেল টেস্টে অংশ নিতে পারেন। উত্তরপত্র মূল্যায়ন করাতে পারেন পিয়ার ও অভিজ্ঞ ক্যাডার শিক্ষকদের মাধ্যমে। এর ফলে পরীক্ষার্থীরা মূল পরীক্ষার পূর্বেই নিজেদের ভুল বুঝে তা সংশোধন করতে পারেন।
অন্যদিকে, 'মেডিকেল হাইয়ার স্ট্যাডি' চিকিৎসকদের জন্য তৈরি একটি বিশেষ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তারা রিয়েল টাইমে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রস্তুতির মান যাচাই করতে পারেন। অভিজ্ঞ মেন্টরদের তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয় নিয়মিত পরীক্ষা ও পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করা হয়।
এছাড়া তাদের রয়েছে প্রকাশনা সংস্থা 'লাইভ পাবলিকেশন'। ইতোমধ্যে ইংরেজি, কম্পিউটার ও বিজ্ঞান বিষয়ে তিনটি বই প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সব মিলিয়ে, 'ক্রাকটেক' এখন প্রিলিমিনারি থেকে লিখিত, এমনকি পেশাগত প্রস্তুতিতেও সবকিছু নিয়ে এসেছে এক ছাতার নিচে।
ছবি: জুনায়েত রাসেল/টিবিএস