বিক্ষোভে ‘স্যাবোটাজ’র আশঙ্কা, তৃতীয় পক্ষ নিয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক করল এনসিপি
শরীফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে সারা দেশে স্থানীয় পর্যায়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে এই আন্দোলনে নানা ধরনের হঠকারী গ্রুপ অনুপ্রবেশ করে স্যাবোটাজ করার পরিকল্পনায় আছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে দলটি। এ বিষয়ে তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের এক জরুরি বার্তায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তৃণমূলের উদ্দেশে দেওয়া বার্তায় আখতার হোসেন বলেন, 'বিক্ষোভ চলবে কিন্তু কোনোভাবে কোনো বিশৃঙ্খলায় জড়ানো যাবে না। আন্দোলনে নানা ধরনের হঠকারী গ্রুপ অনুপ্রবেশ করে স্যাবোটাজ করার পরিকল্পনায় আছে। এ বিষয়ে তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো।'
প্রতিবাদ কর্মসূচির ধরণ সম্পর্কে সতর্ক করে তিনি বলেন, 'প্রতিবাদী বক্তব্য হবে কিন্তু দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়ে এমন কোনো বিষয়ে এনগেজড হওয়া যাবে না। আমরা হাদি ভাইয়ের খুনিদের বিচার চাই। কিন্তু আমাদেরকে ব্যবহার করে কোনো তৃতীয় পক্ষ যেন দেশের নিয়ন্ত্রণ নেবার কোনো সুযোগ না পায়, সেটা আমাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে।'
বার্তায় এনসিপির নেতাকর্মীদের স্থানীয়ভাবে সর্বস্তরের জনতাকে সঙ্গে নিয়ে ৫টি দাবিতে বিক্ষোভ আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দাবিগুলো হলো: ১. শহীদ শরীফ ওসমান হাদি ভাইয়ের খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার। ২. জুলাই গণহত্যার খুনিদের ভারত থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন, বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। ৩. আওয়ামী সন্ত্রাসী ও দোসরদের গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা। ৪. সংবাদ মাধ্যমের ওপর হামলার প্রতিবাদ। ৫. ব্যর্থতার দায়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ।
জনসাধারণকে সাবধান রাখার দায়িত্ব নেতাকর্মীদের নিতে হবে উল্লেখ করে বার্তায় বলা হয়, সুশৃঙ্খলভাবেই এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
