শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, 'আধিপত্যবাদ বিরোধী সমাবেশ'-এ অংশ নিতে জড়ো হচ্ছেন ডাকসু নেতৃবৃন্দ
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে সারারাত দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার পর আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ঢাকার শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলছে। এতে তীব্র যাঞ্জটের সৃষ্টি হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, 'আধিপত্যবাদ বিরোধী সমাবেশ'-এর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের নেতৃবৃন্দ (ডাকসু) শাহবাগ মোড়ে উপস্থিত হয়েছেন।
এর আগে শরীফ ওসমান হাদির হত্যার প্রতিবাদে ও চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সারাদেশে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে শাহবাগে 'আধিপত্যবাদবিরোধী সমাবেশ' আয়োজনের ডাক দেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কর্মসূচির কথা জানান তিনি।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ সকাল ১০টার দিকে শাহবাগে প্রায় ২০০ বিক্ষোভকারীকে অবস্থান করতে দেখা যায়। তবে তারা কোনো দল বা প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে ছিলেন না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তারা চারদিকের সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল করছেন। তবে হাসপাতালের কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স পাশ দিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা সেসময় 'তুমি কে, আমি কে; হাদি হাদি', 'এই মুহূ্র্তে দরকার, বিপ্লবী সরকার'- এসব স্লোগান দিতে থাকেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তখন বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান করতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতেও শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে রাতভর বিক্ষোভ করেছে বিক্ষোভকারীরা। গতকাল ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তারা এ অবরোধের ডাক দেন।
এ সময় তারা 'তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি', 'জাহাঙ্গীরের গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে', 'আমরা সবাই হাদি হবো, গুলির মুখে কথা কব', 'লীগ ধর, জেলে ভর'সহ নানা স্লোগান দেন।
পরবর্তীতে গতকাল রাত ১২টার দিকে কয়েকশ' বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারী প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র ছায়ানট ভবনে ভাঙচুর চালিয়েছে একদল লোক। এ সময় তারা ভবনের সামনের সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
