নির্বাচনী প্রচারণা সময়সীমার বাইরে কর্মসূচির জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে: ইসি
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন, পাশাপাশি ধর্মীয়, সামাজিক ও অন্যান্য কর্মসূচি নির্ধারিত প্রচারণা সময়সীমার বাইরে আয়োজন করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হলো—এসব কর্মসূচির কারণে নির্বাচনী পরিবেশ ব্যাহত করা যাবে না এবং অবশ্যই আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।
এ ধরনের কোনো কর্মসূচি আয়োজনের আগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে পূর্বানুমতিও নিতে হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিভাগীয় কমিশনার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাসস।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-২) মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল গত ১১ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চিঠিতে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য প্রণীত নির্বাচন আচরণবিধি ২০২৫-এর ১৮ নম্বর বিধির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ভোটগ্রহণের তিন সপ্তাহ আগে থেকে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে।
এতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত প্রচারণা সময়সীমার বাইরে জাতীয় দিবস পালন কিংবা ধর্মীয়, সামাজিক ও অন্যান্য কর্মসূচি আয়োজন করা যেতে পারে, যদি সেসব কর্মসূচির কারণে নির্বাচনী পরিবেশ ব্যাহত না হয় এবং আচরণবিধি মেনে চলা হয়। তবে সেক্ষেত্রে কোনো কর্মসূচি আয়োজনের আগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে অবশ্যই পূর্বানুমতি নিতে হবে।
