ভারত থেকে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
ভারত থেকে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ৫০ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। আজ রোববার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই শেষে এসব প্রতিষ্ঠানকে আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আইপির জন্য এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৫০০টি আবেদন জমা আছে। আজ ৫০টি আবেদন বাছাই করা হয়েছে। সার্ভারে যারা আগে ঢুকতে পেরেছেন, তারাই আইপির জন্য বিবেচিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে আজ কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) সাংবাদিকদের বলেন, পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি আমদানিকারক একবার আইপি (আমদানি অনুমতি) পাবেন, সর্বোচ্চ ৩০ মেট্রিক টন করে। দৈনিক ৫০টি করে আইপি দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছিল কেজি প্রতি প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মতো। গতকাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবরে আজকে আবার একটু দাম কমেছে।
তিনি বলেন, এই যে কারসাজিগুলো করে কৃষকদের যেমন ঠকানো হচ্ছে, ভোক্তাদের আরও বেশি ঠকানো হচ্ছে। এই চক্রটা খুঁজে বের করতে হবে। আমরা সে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাই কৃষক ও ভোক্তা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হোক, উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ হোক।
ডিএই জানায়, আমদানির অনুমতি বা আইপির মেয়াদ থাকবে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার কারণে গতকাল শনিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছিল, গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আইপির জন্য আবেদন করেছেন, তারাই পাবেন এই সুযোগ।
এদিকে আমদানির ঘোষণায় এক দিনের ব্যবধানে আজ ঢাকার খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
