সবজির বাজারে স্বস্তি, বাড়তি চাপে পেঁয়াজ–তেল
সবজি, ডিম, মুরগি, আটাসহ বেশিরভাগ পণ্যের দাম কমায় নিত্যপণ্যের বাজারে সামগ্রিকভাবে স্বস্তি ফিরেছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে এখনও চাপের মুখে রয়েছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৩০–১৪০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল প্রায় ১২০ টাকা। নতুন পেঁয়াজ পাতাসহ কেজিতে ৭০–৮০ টাকা।
নিউমার্কেটে বাজার করতে আসা শিরিন আখতার বলেন, "সবজির দাম আগের তুলনায় কম। তবে শীত মৌসুমে আরও একটু কম হওয়া উচিত ছিল।"
সবজি বিক্রেতা তারেক বলেন, "এবার আমদানি ছাড়াই পেঁয়াজের চাহিদা মিটেছে। পুরোনো পেঁয়াজের মজুত শেষের দিকে হওয়ায় দাম কিছুটা বেশি। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে ঘাটতি নেই।"
এদিকে ভোজ্যতেলের দামও বেড়েছে। বোতলজাত সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৯৮ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন ১৮০ টাকা, আগের সপ্তাহে ১৭৪ টাকা। সুপার পাম ওয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা, আগে ছিল ১৬৩ টাকা।
গত সপ্তাহে খুচরায় কাঁচামরিচ কেজিতে বিক্রি হয়েছিল ১২০–১৫০ টাকায়, যা কমে এখন ৭০–১০০ টাকায় নেমেছে।
শিমের দাম হঠাৎ ১৫০ টাকা ছাড়ালেও এখন ৬০–৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০–৫০ টাকা প্রতিটি, ভালো মানের ফুলকপি ৬০ টাকা। টমেটো এখন ৮০–১০০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে ছিল ১২০–১৪০ টাকা। দেশি গাজর বেড়ে যাওয়া সরবরাহে ৬০–৮০ টাকা, আমদানিকৃত গাজর ১২০–১৩০ টাকা। বেগুন ৭০–৮০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে ছিল ৮০–১০০ টাকা। নতুন আলু ৮০–১০০ টাকা, পুরোনো আলু আগের মতোই ২৫ টাকা কেজি। করলা বেড়ে হয়েছে ১২০–১৪০ টাকা।
ডিমের দাম আরও কমেছে—ফার্মের ডিম ডজনপ্রতি ১২৫–১৩০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৩০–১৩৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৫০–১৭০ টাকা, আগে ছিল ১৬০–১৮০ টাকা। বাজারে গরুর মাংস ৭৫০–৮০০ টাকা কেজি, খাসি ১,২০০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি কক ৩০০–৩৫০ টাকা।
আটা, মসুর ও ছোলার দামও কমেছে। খোলা আটা ৪৫–৪৮ টাকা (আগে ৪৮–৫০ টাকা), বড় দানার মসুর ৯০–১০০ টাকা (আগে ৯৫–১০৫), ছোলা ৯৫–১১০ টাকা (আগে ১০০–১১৫) কেজি। দেশি রসুন ১৪০, আমদানি করা রসুন ১৬০ টাকা। আদা মানভেদে ১৬০–১৮০ টাকা।
সবজি, ডিম, মুরগির বাজারে স্বস্তি মিললেও মাছের দামে তেমন পরিবর্তন নেই। পাঙ্গাস ১৮০–২০০ টাকা, রুই ৩২০–৩৫০, কাতল ৩০০–৪০০, কালিবাউশ ৩৫০–৪০০, কৈ ১৮০–২০০, পাবদা ৩৫০–৪০০ এবং তেলাপিয়া ২০০–২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
