ঢাকায় শীতকালীন সবজি ও নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই
কাঁচাবাজারে শীতের আগমনি বার্তা নিয়ে শীতের সবজি এলেও দাম বেশ চড়া। ক্রেতারা এ নিয়ে বেশ চাপেই আছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর নিউমার্কেট, হাতিরপুল এবং পলাশী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকায়, ফুলকপি-বাঁধাকপি আকারভেদে ৬০-৮০ টাকা এবং মূলার কেজি ৬০ টাকা।
নিউমার্কেট কাঁচাবাজারের বাবুল জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী বাবুল হোসেন জানান, বাজারে শীতকালীন সবজি নতুন ওঠায় দাম বেশি। ধীরে ধীরে দাম কমে যাবে।
এদিকে খোলাবাজারে চালের দাম বাড়ছেই। সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট চালের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ টাকায় এবং পোলাও চাল এর দামেও ৫ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫ টাকা।
হাছকি ও পাইজাম চালের দাম কেজিপ্রতি ৬২ টাকা এবং আঠাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে।
সবজির দাম এখনো ক্রেতাদের স্বস্তির মধ্যে নেই। বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১২০ টাকা, ঢেড়স ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, লাউ ৭০-৮০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়। শুধু পেপের দাম রয়েছে নাগালের মধ্যে। প্রতি কেজি পেপের মূল্য ৩০ টাকা।
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা কেজি প্রতি। এছাড়া, গাজরের দাম ১৪০-১৬০ টাকা, শসা ৬০-৮০ টাকা।
হাতিরপুল কাঁচাবাজারে কথা হয় আলতাফ হোসেন নামের একজন ক্রেতার সাথে। পেশায় তিনি রিকশাচালক। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই সবজির দাম লাগামহীন। নিম্নবিত্ত মানুষের পক্ষে এতো দাম দিয়ে সবজি কিনে খাওয়াও সম্ভব নয়। মাছ-মাংস তো দূরের কথা।
বাজারে কাঁচামরিচের ঝাঁঝ এখনো কমেনি। রান্নার জন্য অত্যাবশ্যকীয় এ উপাদানের দাম এখন কেজিপ্রতি ২০০-২৪০ টাকা। পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০ টাকায় এবং রসুন পাওয়া যাচ্ছে জাতভেদে ১২০-১৮০ টাকায়।
বাজারভেদে ফার্মের ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০-১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০-৩৩০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা কেজিতে এবং খাসির মাংস ১১০০-১২০০ টাকা কেজিতে।
এছাড়া বাজার ঘুরে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফার্মের লাল ডিম এবং সাদা ডিমের দাম অপরিবর্তিত দেখা গেছে। ফার্মের লাল ডিম ডজন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায় এবং সাদা ডিম ১৪৫ টাকায়। দেশি মুরগির ডিম ডজনপ্রতি ২৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ডজন প্রতি ২৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি এবং চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ায়, শীত মৌসুমের শুরুতেই ক্রেতাদের অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে।
