ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে ‘যুক্তিসংগত শাস্তি’র বিধান কেন নয়, হাইকোর্টের রুল
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে দণ্ডবিধি ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে থাকা ২ বছরের শাস্তির বিধান পরিবর্তন করে 'যুক্তিসংগত শাস্তি'র বিধান কেন প্রণয়ন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত একটি রিটের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া।
অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া গণমাধ্যমকে আদেশের কথা জানান।
এর আগে, গত রবিবার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি 'মৃত্যুদণ্ড'র বিধান প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিট দায়েরের পর আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, 'বাংলাদেশ প্যানেল কোডে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগের মামলায় বর্তমানে দুই বছরের সাজার বিধান রয়েছে। এছাড়া নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনেও দুই বছরের সাজার বিধান রাখা হয়েছে। আমরা মনে করি এই সাজা অপ্রতুল।'
তিনি বলেন, 'এ কারণে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের মতো অনেকে মহান আল্লাহ এবং আমাদের নবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার সাহস পাচ্ছেন।'
তিনি আরও বলেন, 'রিটে আমরা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন পাস করার নির্দেশনা চেয়েছি।'
ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতের অভিযোগের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হলে এই অপরাধ করতে কেউ সাহস পাবে না বলে জানান অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া।
