অবশেষে ট্রানশিপমেন্টের আওতায় ভুটানের পণ্য প্রবেশের অনুমোদন ভারতের; প্রথম চালান বুড়িমারী ছেড়েছে
বাংলাদেশের সড়কপথ ব্যবহার করে ভারতের ভেতর দিয়ে ভুটানের ট্রানশিপমেন্টের পণ্য পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে ভারত। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতের অনুমোদন পাওয়ার পর বিকালেই বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দরে কাস্টমসের প্রক্রিয়া শেষ করে কন্টেইনারবাহী ট্রাকটি ভুটানের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, '২৮ নভেম্বর ভুটানের ট্রানশিপমেন্টের পরীক্ষামূলক চালানটি বুড়িমারী বন্দরে পৌঁছায়। কিন্তু ভারতের অনুমোদন না থাকায় ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটি বন্দরে অবস্থান করেছে। আজ দুপুরের পরে অনুমোদন পাওয়ায় আমরা কাস্টমসের প্রক্রিয়া শেষ করেছি। ট্রাকটি ভুটানের উদ্দেশে বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে গেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এটি ট্রানশিপমেন্টের প্রথম চালান। এখন থেকে অন্যান্য চালানও নিয়মিতভাবে যাবে।'
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান টিবিএসকে বলেন, 'ভারতের বন্দরের অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল ভুটানের ট্রানশিপমেন্ট চালান। ভারতের বন্দর কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেওয়ার পরে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভুটানের পণ্যবাহী ট্রাকটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'
২০২৩ সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে একটি প্রটোকল চুক্তি সই হয়। এর এক বছর পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে ভুটানে আয়োজিত দুই দেশের বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়—বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ও সড়কপথ এবং ভারতের সড়কপথ ব্যবহার করে ভুটানে পরীক্ষামূলকভাবে দুটি ট্রানশিপমেন্ট চালান পাঠানো হবে।
তারই অংশ হিসেবে ভুটানের আমদানিকারক থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস করে সড়ক পথে ভুটানের নিয়ে যাচ্ছিল। থাইল্যান্ডের ল্যাম চ্যাবাং বন্দর থেকে পাঠানো ওই চালান ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে এসে পৌঁছায়। এরপর গত ২৮ নভেম্বর বুড়িমারীর স্থলবন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনারটি আনা হয়।
কিন্তু বাংলাদেশ থেকে সড়কপথে ভারত হয়ে ভুটানে এসব ট্রানশিপমেন্টের পণ্য যেতে প্রয়োজনীয় অনুমোদন ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে পায়নি। ফলে সেখানেই পড়ে ছিল ভুটানের ট্রানশিপমেন্টের পণ্য।
জানা গেছে, ভুটানের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আবিত ট্রেডিং এই চালানে ছয় ধরনের পণ্য- ফলের জুস, জেলি, শুকনা ফল, লিচু ফ্লেভারের ক্যান্ডি ও শ্যাম্পু আমদানি করেছে।
