সিলেটে মধ্যরাতে গ্যারেজে আগুন, ১২টি যানবাহন পুড়ে ছাই
সিলেটের পাঠানটুলা এলাকায় একটি গাড়ির গ্যারেজে আগুন লেগে অন্তত ১২টি যানবাহন পুড়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে পুলিশের একটি গাড়িও রয়েছে। আগুন লাগার ঘটনাটি দুর্ঘটনা নাকি ইচ্ছাকৃত নাশকতা—তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পাঠানটুলা নবাবী মসজিদের পাশে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গাড়ি মেরামতের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, "ঢাকা অটো ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস–এ থাকা এক্স-নোহা, মাইক্রোবাস, দুইটি মোটরসাইকেল ও পুলিশের একটি পিকআপসহ মোট ১২টি যানবাহন পুড়ে গেছে। পাশাপাশি দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি।"
পুলিশ সূত্র জানায়, আগুন দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের মোট ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসীরাও আগুন নেভাতে সহায়তা করেন। রাত পৌনে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয়রা জানান, 'ঢাকা অটো ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস' নামের গাড়ি মেরামত, ডেন্টিং ও পেইন্টিংয়ের দোকানটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। দোকানের ভেতরে থাকা একাধিক গাড়ি আগুনে পুড়ে যায়। আগুনে কয়েকটি গাড়ির ইঞ্জিনের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আশপাশের আরও কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আরও জানান, "যান্ত্রিক বা বৈদ্যুতিক ত্রুটি থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। পুরো বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস পরীক্ষা করছে। ভেতরে কোনো দাহ্য পদার্থ ছিল কি না, সেটিও যাচাই করা হচ্ছে। তাদের মতামত পাওয়ার পর আগুনের সঠিক কারণ জানা যাবে।"
ফায়ার সার্ভিস সিলেটের বিভাগীয় সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, "রাত দেড়টার দিকে আমরা খবর পাই। প্রথমে তিনটি ইউনিট পাঠানো হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আরও তিনটি ইউনিটসহ মোট আটটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।"
তিনি জানান, "ওয়ার্কশপে কেউ আহত বা নিহত হয়নি। রাত হওয়ায় দোকানের মালিকও উপস্থিত ছিলেন না। এখানে মোট ১০টি গাড়ি ও তিনটি মোটরসাইকেল ছিল। মূলত গ্যারেজ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয় এবং সম্ভবত শর্টসার্কিটের কারণে তা ছড়িয়ে পড়ে। তবে সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে।"
