রাজশাহীতে বিচারকের ছেলে হত্যা: আসামি লিমনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজশাহীতে বিচারকের ছেলে হত্যা এবং স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় একমাত্র আসামি লিমন মিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলাম সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এরপর রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতের বিচারক মামুন রশিদ পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার গাজিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসাধীন লিমন মিয়াকে হাসপাতাল ছাড়ার অনুমতি দেয়। পরে তাকে পুলিশি হেফাজতে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১টার পর থেকে তাকে আদালতের হাজতে রাখা হয়। দুপুর ২টার দিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর লিমন মিয়াকে রাজপাড়া থানায় নেওয়া হয়েছে, যেখানে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ড ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে মহানগরীর তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকায় বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় প্রবেশ করেন লিমন মিয়া। তিনি ছুরিকাঘাতে বিচারকের ছেলে তাওসিফ রহমান তৌসিফকে (১৫) হত্যার পাশাপাশি বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে আহত করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। ধস্তাধস্তির সময় হামলাকারী লিমন মিয়াও আহত হন। পরে বিচারকের স্ত্রী ও লিমন মিয়াকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার নিজে বাদী হয়ে লিমন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান।
এজাহারে বলা হয়, আসামি পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। মামলা দায়েরের পর শুক্রবার রাতে বিচারকের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার পুবলদিঘা ইউনিয়নের রুদ্রবয়রা চকপাড়া গ্রামে তৌসিফের লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
