অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ‘জিহাদ’ ঘোষণা করেছে কমিশন: ইসি আনোয়ারুল ইসলাম
দেশের ভবিষ্যৎ আসন্ন নির্বাচনের ওপর নির্ভর করায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন 'জিহাদ' ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছেন ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
সোমবার (১০ নভেম্বর) কুমিল্লার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি-বার্ডের সম্মেলন কক্ষে 'নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালায় তিনি এই কথা বলেন। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কাউকে ভয় না পাওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, 'দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, আসন্ন নির্বাচনে কাউকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। ১৮ কোটি মানুষের প্রত্যাশা একটি ভালো নির্বাচন। অতীতে আমরা বহুবার কলঙ্কিত হয়েছি, এবার সেই কলঙ্ক মুছে দিতে হবে। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চাই।'
নির্বাচন যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, 'নির্বাচনের আর মাত্র ৮০ থেকে ৯০ দিন বাকি। এরপরও কারো মনে যদি সন্দেহ থাকে-নির্বাচন হবে না, তাহলে সেটি ভুল ধারণা। নির্বাচন হবেই এবং তা হবে অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ।'
তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যা যা করার দরকার, তা করতে শপথ গ্রহণের পর থেকেই জিহাদ ঘোষণা করেছে।'
এবারের নির্বাচনে নতুন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'প্রবাসীদের ভোটার হওয়া এবং ভোট দেওয়ার জন্য যে রেজিস্ট্রেশন তা জাঁকজমক ভাবেই উদ্বোধন হবে। সেই ভোটের নাম হবে-'পোস্টাল ব্যালটে ভোটিং'।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'এই পোস্টাল ব্যালটে থাকবেন, নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী বাইরের জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নিয়োজিত প্রায় দেড় লাখ ভোটার। যারা কয়েদি আসামি, বিচারের অপেক্ষায় এখনও সাজা হয়নি, তারা যেন জেলখানায় বসে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থাও চলছে।'
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব মো. আব্দুল হালিম খান, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিবিটিইপি উপপ্রধান (উপ-সচিব) ও প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন। তারা মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনের সময় সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
