জুলাই সনদ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট না: আলতাফ পারভেজ
লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেছেন, জুলাই সনদ ও বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে রাজনীতিতে বিভক্তি শুরু হয়েছে। সরকার কি চাইছে, সেটা বোঝা মুশকিল।
তিনি বলেন, 'জুলাই সনদ ও বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে রাজনীতিতে সিরিয়াস বিভক্তি শুরু হয়েছে। এই বিভক্তি মূলত সরকারই সৃষ্টি করেছে। সরকার কি চাইছে, সেটা বোঝা মুশকিল। সরকার যদি চায় রাজনীতিতে সংঘাত বাড়ুক, তাহলে তো কিছু বলার থাকে না।'
তিনি সতর্ক করে বলেন, 'রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংঘাত যত বাড়বে, বিনিয়োগকারীরা ততো বেশি শংকিত হবে। এমনিতেই এক বছর ধরে বিদেশি বিনিয়োগ নেই, দেশি বিনিয়োগও নেই। আর দুষ্টচক্রের মতো বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বাড়ছে, সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।'
'এর প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিকল্পিতভাবে দক্ষিণপন্থিরা নানা প্রচার-অপপ্রচারে লিপ্ত হচ্ছে এবং রাজনীতিতে জায়গা দখল করে নিচ্ছে,' তিনি যোগ করেন।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, 'বিভিন্ন দেশ ও সমাজে দেখা যায়, রাজনীতিতে বিভেদ হলে রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকার উদ্যোগী হয়ে সেই বিভেদ দূর করার চেষ্টা করে। কিন্তু বাংলাদেশে এবার যে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হচ্ছে, তা অনিশ্চিত করতেই যদি নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে তা খুবই উদ্বেগজনক।'
তিনি বলেন, 'ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে যে ৪৮টি বিষয় অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে, সেখানে কোনো কোনো বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট ছিল, সেগুলোকেও গণভোটে পাঠানো হয়েছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।'
আলতাফ পারভেজ বলেন, 'সবাই ধরে নিয়েছিল যে, রাজৈনৈতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে, সেসব বিষয়ে গণভোট হবে। সবাই এটার জন্য প্রস্তুতও ছিল। কিন্তু এখন যেভাবে নোট অব ডিসেন্টে থাকা বিষয়গুলোকেও গণভোটের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে, এমন বিতর্কিত গণভোটের জন্য কোনো দল প্রস্তুত ছিল না। এটা খুবই সন্দেহজনক ও শঙ্কাজনক।'
তিনি আরও বলেন, 'এর মধ্য দিয়ে জনগণকেও বিপদের মধ্যে ফেলছে সরকার। একটি হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে ৪৮টি বিষয়ে মতামত চাওয়া হচ্ছে। একটি ভোটের মাধ্যমে এতগুলো বিষয়ে মতামত দেওয়া জনগণের জন্যও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।'
