ডিম, সবজির দাম বাড়ায় উদ্বিগ্ন ক্রেতারা

রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতারা উদ্বিগ্ন। ডিম ও সবজির দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকায় ক্রেতাদের দৈনন্দিন বাজারের বাজেটকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে।
বৃহস্পতিবার হাতিরপুল, কারওয়ান বাজার ও নিউমার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ডজন প্রতি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, যা আগে ছিলো ১৩৫ টাকা। অন্যদিকে সাদা ডিমের দাম ডজন প্রতি ১৪৫ টাকা।
হাতিরপুলে বাজার করতে আসা শহীদ মিয়া বলেন, "মাছের দাম বেশি থাকায় ডিম কিনতাম কিন্তু দিন দিন ডিমের যে দাম বাড়ছে সামনে কী খাবো বুঝে উঠতে পারছিনা। আমাদের যে বাজেট তা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। "
হাতিরপুলের ডিম ব্যবসায়ী মিজান বলেন, "ডিমের সরবরাহ কম থাকায় হঠাৎ দাম বেড়ে গেছে। এই দাম কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পরে।"
সাধারণ সবজির বাজারেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ২০০ টাকা হয়েছে যা আগে ছিল ১২০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ এবং গোল বেগুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢ্যাঁড়স ও করলার দাম যথাক্রমে ৮০ ও ১০০ টাকা, বরবটির দাম বেড়ে ১২০ টাকা, গাজরের দাম ৮০–১৪০ এবং শিম ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে যা আগে ছিল ১৬০ টাকা।
অন্যান্য সবজির মধ্যে পটোল ৮০, কাঁকরোল ১০০, চিচিঙ্গা ৬০, ধুন্দল ৮০, শসা ৫০, মুলা ৬০, লাউ প্রতি পিস ৭০, কচুমুখী ৬০ এবং পেঁপে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপির দাম প্রতিপিস ৮০ টাকা।
মাংস ও মাছের বাজারে দাম না কমলেও তা স্থিতিশীল রয়েছে।
গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৮০ এবং পাকিস্তানি সোনালি কক ৩০০–৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে পাঙাশ ১৮০–২০০ টাকা, রুই ও কাতল ৪০০–৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০–২৮০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০–৫৬০ টাকা এবং পাবদা ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে সামান্য স্থিতিশীলতা দেখা গেছে। মিনিকেট চাল ৭৮–৮০ টাকা, পোলাও চাল ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডালের মধ্যে দেশি মসুর ১৫০, মুগ ১৬০, খেসারি ১০০ এবং বুটের ডাল ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মশলার বাজারে বড় ধরনের ওঠানামা দেখা যায়নি। কিশমিশ ৮০০, আলুবোখারা ৭০০, এলাচ ৪৮০০–৫২০০, লবঙ্গ ১৭০০–১৮০০, জিরা ৭০০ এবং গোলমরিচ ১৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দেশি আদা ১৩০, চায়না আদা ১৫০–১৬০, দেশি রসুন ১০০, চায়না রসুন ১৬০, দেশি পেঁয়াজ ৮০ এবং হাইব্রিড পেঁয়াজ ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায় আর চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়।